somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চলার পথের কিছু কথা ৪

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বরিশাল ১
তখন কিশোর মজলিস স্কুলে ক্লাশ ২ এ পড়ি। স্কুল থেকে আসার পথে স্কুলেরই এক ছাত্রী আমাকে জোর করে চিঠি গছিয়ে দিতে চেষ্ঠা করে। চিঠি ফেলে এক দৌড়ে নিকটবর্তী বন্ধুর বাসায়। সব খুলে বলতেই বন্ধু বললো কি চিঠি দিছে দেখতে। সে আর আমি সেখানে গিয়ে অনেক খুঁজেও পাই নাই চিঠিটা। ঘটনা আর এন্ড এইচ অফিস কাম রেসিডেন্স এর প্রধান গেইট এর সামনের। বেশ বিব্রতকর অব্স্থা। কারণ সেখানের কলোনীতে থাকি। পরদিন স্কুলে গেলাম। ক্লাশ করার মাঝে রেসট রুমে যাওয়ার পথে দেখলাম সেই মেয়েসহ কয়েক জন বারান্দার কর্ণারে রাখা বিনে কি যেন খুঁজছে। ক্লাশে আসার কিছুক্ষণ পর একজন শিক্ষিকা আমাকে ডেকে নিয়ে যান মেয়েদের সেকশনে। এরপর আমাকে ক্ষমা চাইতে হয় চিঠির জন্য। আমার মাথা কাজ করছিল না। শিক্ষিকা যা বলতে বলেন তাই বলি। বন্ধুকে পরে সব বলি। সে আফসোস করে কেন আমি বিস্তারি সব বলি নাই। যাই হোক ঐ দিন ক্লাশ ছুটির পর বাসায় যাওয়ার সময় তার সাথে দেখা।আমাকে বিব্রত করে কি তার সুখ। টের পাইছো মনু! সাথের বন্ধুটি বলে ওকে বেজি বলে ডাক।একটু জোরে বেজি বলে ডাকতেই তার অগ্নিমূর্তি। কোন মতে ছুটতে ছুটতে বাসায় আসি। ওমা এই মাইয়া ঠিকই বাসা চিনে মার কাছে বিচার দিল। "আন্টি আপনার ছেলে আমাকে বেজি বলে ডাকে"। সেদিন আম্মার চক্ষু গরম করেছিলেন মাত্র। মারধর কিছুই করেন নাই। এর পর এই মাইয়া আমাকে দেখেই ছড়া কাটা শুরু করে। "আকনের মা.... কলা খাইও না.................." এ যেন শনির দশা আমার। আমি বেজি বলে ডাকতাম। সে চক্ষু গরম করে তাকাতো। অল্প পরে রণ ভঙ্গ করে তার পথে চলে যেত। ঐ বছরই আমরা পটুয়াখালী চলে যাই।

অনেক বছর পর বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যা্ই সেই কলোনীতে। মেয়েটির নাম জিজ্ঞাসা করি তাকে। মেয়েটির নাম বললো "লাবনি"।

চট্টগ্রাম ১
তখন থাকি চট্টগ্রাম। স্কুলের বন্ধুদের সাথে বহুতল কলোনীতে স্কুল ছুটিতে ক্রিকেট, ফুটবল খেলি নিয়মিত। একদিন বন্ধুদের সখ হলো জাম্বুরী মাঠে ক্রিকেট খেলবে। খেলার পর জাম্বুরী মাঠের পুকুরে গোসল করবে।গেলাম খেলতে।ঘন্টাখানে খেলে দুই একজন ছাড়া সবা্ই নামলো সেই পুকুরে। আমি নামি নাই ঘোলা পানি দেখে। সবসময় সাঁতার কেটেছি স্বচ্ছ জলে। এই ছাতার ঘোলা জলে ভক্তি হয় নাই। এই কোমর সমান গভীর পুকুরে নামার আগ্রহ হয় নাই । এর উপর কিছুদিন পূর্বেই এখানে বস্তি ছিল। যাই হোক বন্ধুরা ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে কোমর সমান পানিতে দাপাদাপি করলো। কিছুক্ষণ পর তাদের এই দাপাদাপিতে একটি মৃত কুকুর ভেসে উঠলো। ওয়াক থুথু বলে যে যেদিক পারলো পারে উঠলো। আর তওবা করলো এখানে আর গোসল করবে না।

ঢাকা ১
এবার কোরবানির আগে আগে ফ্রীজে সমস্যা। ঠান্ডা হয় না ঠিক মত। মেরামতের জন্য দুই দিন বন্ধ থাকবে ফ্রীজ। ফ্রীজ খালি করা হলো। শুধু আব্বা আম্মার ইনসুলিন রাখতে নিচের বাসার আন্টিদের বাসা গেলো আাম্মা। আন্টির ছেলে খুব নেগেটিভ, তাদের বাসার ফ্রীজে রাখা যাবে না। কিন্তু আন্টি তার পরও রাখেন ।
বছরখানেক পূর্বেও এই বিষয়টা ছিল কমন। ছোট ফ্রীজ সবার বাসায় ছিল, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হলে, প্রতিবেশীর বাসায় রিকোয়েস্ট করলে রাখতো, কোন জটিলতা ছিল না। আর এখন ইনসুলিনের মত প্রয়োজনী ওষুধ রাখাও সমস্যা।

ঢাকা ২
ঘটনা বড়বোনের কাছে শুনা। বিহারী মেয়ে, সুন্দরী, শিক্ষিত, মার্জিত। পরিবার বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজে কিন্তু পায় নাই।যখনই বিহারী শুনে, সবাই না করে দেয়। শেষে বিয়ে দিল এক পীরে ছেলের কাছে, এখন সব মুরিদ আম্মা বলে ডাকে।

ঢাকা ৩
২০১৩ সালে আমি গার্মেন্টস এ জব করি। একদিন প্রোডাকশন ম্যানেজার, এক সুপাভাইজারকে ডাকলো। আসার পর বিভিন্ন সমস্যা ধরার পর বললো "তুই একটা চু**র ভাই" (গার্মেন্টস এর জবে স্লং একটি ল্যাগুয়েজ, এটা না জানলে কেউ পাত্তা দেয় না)।
সুপাভাইজার সোলজারদের মত এটেনশন হয়ে বললো " স্যার, আমারে একটু বলেন আমি ক্যামনে চু**র ভাই হই"
প্রোডাকশন ম্যানেজার তার দিক কটমট করে তাকিয়ে বলে " তুই ফ্লোরে যা, চু**র ভাই ক্যামনে হস বুঝাইয়া বলমু তোকে।"





সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৪৮
১২টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমিও যাবো একটু দূরে !!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২২

আমিও যাবো একটু দূরে
যদিও নই ভবঘুরে
তবুও যাবো
একটু খানি অবসরে।
ব্যস্ততা মোর থাকবে ঠিকই
বদলাবে শুধু কর্ম প্রকৃতি
প্রয়োজনে করতে হয়
স্রষ্টা প্রেমে মগ্ন থেকে
তবেই যদি মুক্তি মেলে
সফলতা তো সবাই চায়
সফল হবার একই উপায়।
রসুলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×