অবশেষে শীত এল। মাঝ পৌষ পেরিয়ে মাঘ ছুইছুই করে।কুয়াশার চাদরে আচ্ছাদিত হয়ে নায়রির বেশে যেন নেমে এল হিমালয় থেকে।প্রতিদিনের মত ঘুম ভেঙ্গে দুয়ার খুলে বাইরে এসে যেন কাঁটা কাঁচের আঁচ পেলাম।পড়ে গেল শোরগোল।আসবে আসবে করে আসছিল না।তাইতো কম্বল,লেপ-কাঁথা, আর সব গরম কাপড়ের খোঁজ এত দিন রাখা হয়নি।এবার সে সবেরও খোঁজ শুরু হয়ে গেল। সূর্যও শুরু করে দিল ডুব সাঁতার। তাইতো আকাশের কাঁন্না।যে ছাপ লেগে আছে ঘাস,পাতা আর ফুলের ডগায়।গাছের পাতা বেয়ে টুপটুপ শব্দে ঝরে পড়াতে যার পরিণতি।অথচ তা যেন দীর্ঘ স্থায়ী নয়। রোদের আঁচ লেগে চকচক করে উঠা শিশির যেন নিমিষেই শুকিয়ে যায়।আর তাই হয়তো শীত রুক্ষ হয়ে উঠে । গাছের পাতা ঝরিয়ে বৈরাগ্য যাপন করে। কিন্তু তার আড়ালেই যে নতুনের আহ্বান শুনতে পাওয়া যায়। শীতের রুক্ষতার বক্ষে পা রেখেই পাতা ঝরা নেড়া সকাল ঘুচিয়ে আসে বসন্তের কচি সবুজ সকাল ।তাইতো রবীন্দ্রোনাথ ঠাকুর বলেছেন, এসেছে শীত গাহিতে গীত বসন্তেরই জয়/ যুগের পরে যুগান্তরে মরন করে লয়/ । বিশ্ব উষ্ণায়নের এই যুগে ঋতু পরিবর্তন যেন ভুলেই গেছে।তবুও শীত আমাদের নাড়া দিয়ে যায়।শুরু হয় ঘরে ঘরে পিঠা-পুলির উৎসব। বাহারি গরম কাপরে আচ্ছাদিত হয়ে শীতকে পাশ কাটিয়ে হই আমরা ফুলবাবু।আধুনিক সব অনুসঙ্গে ঘরকে করি উত্তপ্ত।আড়-মোড়া ভেঙ্গে ধুয়া তুলা এক কাপ চা অথবা কফি পিয়ে শীতকে জানাই শুভ সকাল। কিন্তু এই শহরেই গরম কাপড়ের অভাবে ভাসমান মানুষেরা দুঃস্বপ্নের ঘুম জাগা দীর্ঘ রাত কাটায়। সড়ক দ্বীপ অথবা পায়ে হাঁটা রাস্তায় নোংরা চট আর ছেড়া কাপড় জড়িয়ে আত্নসমর্পণ করে শীতের কাছে।বোধ করি তারা আমাদের মত শীতের সকাল কে শুভ সকাল বলতে পারে না।বরং শীত যেন তাদের কাছে অভিশাপ। অথচ এই শহরেই শীতের সকাল আসে আভিজাত্যের ঘোড়ায় চড়ে। আর জিপসি মানুষেরা চাপা পড়ে সেই ঘোড়ার পায়ের তলে। অসাধু শিকারীর শ্যুন দৃষ্টি রঞ্জিত করে শুক তারাকে লক্ষ্য করে হিমালয়ের দেশ থেকে আসা অতিথি পাখির পালক।আর আমরা ফুলবাবুরা সেই পাখির ঝুল পিয়ে বলি মারহাবা , শুকরিয়া।অথচ আমাদের একটু সহানুভূতিই জাগ্রত করতে পারে তাদের বাঁচার আকুতি। আমাদের একটি পুরনো কাপড়ের উম জিপসি মানুষদের দিতে পারে উষনতা। বেঁচে থাকের স্বাধকে দিতে পারে নতুন দ্যোতনা।জাগ্রত হবে কী আমাদের বিবেক?উদয় হবে কী শুভ বুদ্ধীর?
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।