কিছু মানুষের উপস্থিত দেখে একজন ভদ্র লোক এসে বলল- আপনারা কি জানেন ঘোড়ায় ডিম পারে। একএকজন একএকজনার মুখের দিকে তাকেতে থাকল। তখন সবাই স্বমস্বরে বলে উঠল- হ্যাঁ গুরু আপনার কথা ঠিক। দু-এক জন বলল- না আপনার কথা ভূল। ভদ্রে লোকটি তখন যৌক্তি উপস্থাপন করতে লাগল- আপনরা কি কখনো শুনেন না? স্কুলের বা প্রাইভেট স্যার বলতো পড়ালেখা না করলে ঘোড়া ডিম পাবে। আর সেই ডিম কেরোসিন তৈল দিয়ে ভেজে খাবে। আপনারা সামান্য কিছু পড়ালেখা করতেন বলে ঘোড়া ডিম পাওয়া হতো না। আর ভেজে খাওয়াও সম্ভব হতো না। তার এই যৌক্তিকতা সাথে উপস্থিত সবাই সমর্থন দিলে বাকী এই দু-একজন বলে উঠল হ্যাঁ। গুরু আপনার কথা ঠিক।
আমরা এক বাঙ্গালী জাতি যে আমরা আমাদের পরিচয়টাই ভূলে গেছি। যেখানে আমরা বলব- বাংলাদেশী। সরকারী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে জাতীয়তা বাংলাদেশী না লিখে দিয়ে বাঙ্গালী লিখে দিলে কেমন হয়? নিশ্চয় কপালে দূর্গতি ছাড়া আর কিছু নাই। কাগজপত্রে লিখলাম বাংলাদেশী আর মুখে বললাম বাঙ্গালী। ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছি আমরা বাংলাদেশীরা। তবে এখানে যদি বলা হয়যে অন্যান্য দেশের বাঙ্গালীরাও আমাদের সাথে প্রাণ দিয়েছে তাহলে তা ভিন্ন কথা। যেখানে প্রশাসনের কর্মকর্তারাও বাঙ্গালী কথাটা ব্যবহার করছে। মনে পড়ে একটি উক্তি- “আমরা মাছে-ভাতে বাঙ্গালী” এই কথাটা সঠিক ভাবে – “আমরা মাছে-ভাতে বাংলাদেশী”। লিখলে অসামঞ্জস্যতা কোথায়?
আমাদের সরকারের পালা পরিবর্তন হয়। কিন্তু আমরা জনগণ কে কোন দিক দিয়ে উপকৃত হয়েছি? সবাই আমাদেরকে বুলির ঝুড়ি শুনিয়ে যায়। আমরাও তা শুনে শুনে ব্যস্ত হয়ে যাই। আমাদের দেশের জনগন নির্বাচনী প্রার্থীদের ভবিষৎদ্বানী করতে পারে। এটা খুব গর্বের কথা। আমাদের জনগণ জানে কার ভবিষ্যৎ কেমন হবে। এরপরও কেন জানি ঐ ভবিষ্যৎ এর পিছু ছাড়ে না। ভবিষ্যৎ এর পিছুও ছাড়বে না সরকারের সমালোচনাও বাদ দিবেনা। “আমরা হয়তো জানিনা; হয়তো আমাদের অবস্থা উপরোক্ত ভদ্রলোকের কথার মত আস্থাভাজন”।