somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছেলেরা বিয়ের সময়ের ৫ বছর যেভাবে পার করে (স্বপ্ন ধ্বংস, সময় নষ্ট) Up 20 yrs

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের বর্তমান সামাজিক ব্যবস্থায় শিক্ষিত সমাজে ছেলেদের ৩০ বছরের কোঠায় বিয়ে করতে হয়। ইসলামিক দৃষ্টিকোন থেকে, বাংলাদেশের আবহাওয়ায় BBA পাশের পর বিয়ে ফরজের ফরজ হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা এমনভাবে গন্ডিঘেরা, ঐ সময় বিয়ে করা কোন সচেতন ছেলের পক্ষে করা সম্ভব হয়না। MBA/Master’s Complete করে তাকে ছুটতে হয় চাকরির খোজে। তখন তার বয়স ২৭-৩০ এর কোঠায়।

BBA পাশের পর তাদের যে জৈবিক যন্ত্রনা তা একটি ঘটনা প্রকাশের মাধ্যমে তুলে ধরব: নিচে

কেবল BBA থার্ড ইয়ার পরীক্ষা শেষ। টিভি দেখি, ফনে কথা বলি, আর ভাল লাগে না। সেই যে নাইন থেকে প্রেম শুরু করেছি। কত যে আসল গেল হিসেব নেই। চেহারা ভাল না থাকলে হয় কেউ আমার দিকে ফিরেও তাকাতো না। তবে আমি ফোনে কথাও বলতে পারি জটিল, মেয়ে পটাতে আমার ১০ দিনের কাজ। রীতিমত গুছিয়ে কথা বলে একটু হাসাতে পারলেই হয়, ব্যস কেল্লা ফতে, তারপর বন্ধুত্ব তার পর দেখা, তার পর প্রেম। কিছু গিফট চালাচালি করলেই চলে। তাছাড়া আমি খুব সহজ হতে পারি মেয়েদের সাথে সাক্ষাততে প্রেম জমিয়ে উঠতে পারি। আসলে আমি সব প্রেমইতো করি ইচ্ছে করে, সময় পাস করতে। জীবনে একবারই প্রেমে পড়ে ছিলাম, এখনও ভুলতে পারিনি, সেই ইন্টার লাইফ এ কি বিয়ে করার সময়? হয়ে গেল বিয়ে তাই হারালাম তাকে। এরপর কত মেয়ে আসল গেল তার হিসেব নেই। টিউশনী করে নিজে যা পাই তা দিয়ে খুব ভালভাবেই চলতে পারি। নতুন ফোন নম্বর যোগার করি অথবা কারও পরিচয়ে পরিচিত হয়ে সামনাসামনি কিছু রোমান্টিক কথা বলেই শুরু করা যায় প্রেম , আর মেয়েরাও আছে, একটু প্রসংশা, আর কিছু মধু মাখানো গাল ভরা মিথ্যে কথা শুনলেই তারা সত্যের যুদিষ্ঠির মনে করে বিশ্বাস করে। চলতে থাকে প্রেম এভাবে, শুধু প্রেমেতো পোষে না। প্রেমে মন ভরে দেহতো ভরে না। দেহের চাহিদা দেহ দিয়েই মিটাতে হয়। কিন্তু আমিতো কাউকে শারিরিক ভাবে পরাস্ত করে, তার মনে চিরদিনের মত জায়গা করে নিতে চাই না। আমি কারও সাথে দৈহিক ভাবে মিশলে আমি নিজেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না, আর সে পারবে কি করে? সেক্স গভেষকদের মতে জানা গেছে, একজন সুস্থ্য যুবকের দেহে সর্বনিম্ব ৪০ মিনিট উত্তেজিত ভাব বিরাজ করে। তাই আমার একা থাকাটাওতো খুব কষ্টকর। তাছাড়া আমি বিয়ে করতেও অনেক সময় বিলম্ব।

এসব চিন্তা করা যাবে না, পড়াশুনায় মনযোগ দিতে হবে। তাছাড়া আমার রেজাল্টও ভাল। আরও ভাল করতে হবে, তবে বাবা মায়ের আশা পুরনে বড় চাকরি পাব। ফোন বন্ধ করে পড়ি যাতে প্রেমিকারা ডিস্টার্ব না করতে পারে। তাছাড়া প্রেমিকাতো একজনও নয়। সিমও অনেক, ফোনও দুইটা, সবাইকে ফাকি দিয়ে চলতে হয়। কারও গভীর কাছে যাই না, যখন মন মানে না, শরীর কাঁদে তখন একটু ফোন করে শান্ত হই। আমি দেখেছি, ভালকরে পড়াশুনায় মনোযোগ দিতে মনের ও শরীর শান্ত রাখতে হয়। মনকেতো শান্তি দিচ্ছি, কিন্তু দেহকেতো শান্তনা দিয়ে ঠাকাচ্ছি। পাব পাব ভাল সুন্দর, সুন্দরী, উত্তম চরিত্রের একটা বউ পাব। তাছাড়া আমিতো কোন পাপ করিনি।তাহলে কেন নিষ্পাপ বউ পাব না? একটাইতো আমার পাপ আমি প্রেম করি, কিন্তু তাদের সাথে একটু দুরত্ব রেখেই দেই, যাতে তারা আমাকে সহজেই ভুলে যেতে পারে, অন্য কারও সংস্পর্শে। আমি অন্য সবারই মত প্রেম করে বিয়ে করতে পারবো না, সেটেল ম্যারেজ করতে হবে। আমার বন্ধুরা সবাই প্রেম করে বিয়ে করেছে, তাদের বাবা মায়ের যে কি আক্ষেপ। তারা কিছুতেই মেনে নেয়না, মেনে নিয়ে বাধ্য হয়। কেন এই বাধ্যতা? আমি বিশ্বাস করি, যে কোন সুস্থ্য শিক্ষিত মেয়ে/ছেলেই রোমান্টিক। প্রেম করার সময় আমরা একটু বেশি কাছে যাই, মিশি তাই তাকেই উত্তম মনে হয়। আমি আমার বউকে ঠিকই খুব ভালবাসতে পারবো। তাকেও পারাবো, কি নাই আমার? সেযদি প্রেম, করেই থাকে, করুক না। তাকে আমার সর্বস্ব দিয়ে আমাকেই ভালবাসাবো। সুখে থাকবো, স্বপ্ন পুরণ করবো এই আশায় বুক বাধি।

তাছাড়া আমার বাবা মা প্রেম করাটাকে দোষের মনে করে, তারা কোনদিনও মেনে নিতে পারবো না। তারাই আমাকে মানুষ করছে, তারাই আমার জন্মদাতা। নিজে প্রেম করে, তাদের মেনে নিতে বাধ্য করে, সবার মত আজীবন অসুখি থাকতে চাইনা। কই যারা প্রেম করে বিয়ে করেছে তারা সবাইতো সুখি নয়, অনেকেই পারিবারিক ভাবে অসুখি। থাক আমি না হয়, সেটেল ম্যারেজেই অসুখি থাকলাম!

একদিকে ইসলাম, অন্যদিকে বিবেকের কয়েদে মন। মন যে বাধা মনে না, শরীর যে আর কথা শোনে না, যেথায় সেথায় যেতে চায়, কাছের মানুষের টানে কাছে যেতে চায়। সুযোগ হারাতে চায় না, কিন্তু একবার সুযোগ গ্রহন করলে যে আমি আমার মতো থাকতে পারবো না। তখন শরীরের ডাকেই সারা দিতে হবে। কি করবো দিশেহারা হয়ে যাই। তখন বই পড়া, টিভি দেখা, আড্ডা ইত্যাদিতে নিজেকে ব্যস্ত রেখে শান্ত করি। এভাবে প্রতিদিনই চলে মনের সাথে লুকোচুরি, এভাবে আর কত দিন?? শেষ পর্যন্ত একে কি আমি এর প্রত্যাশা আশা, আকাঙ্খা পুরণ করতে পারবো? কেন এই শিক্ষা ব্যবস্থা, কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থাই একমাত্র শিক্ষা থাকলে, অবশ্যই আমার পড়াশুনা অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত। তখন আর এভাবে অতিকষ্টে সময় অতিবাহিত করতে হতো না। আমিতো সারা দিনের ৯ ঘন্টা ব্যস্তই থাকি কিন্তু যতক্ষন অবসর পাই তখনতো নিজের শরীর মাথা তুলে বিবেকের সামনে দাড়ায়। তর্ক করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লেও, শরীরতো ঘুমায় না। ঘুম থেকে জেগে দেখি, সে আবারও বিবেকের মুখোমুখি। ওর মাঝে ক্লান্তি নেই নেই কোন ঘুম। নিত্যই ৫ বছর ধরে চলছে এমন।

MBA শেষ করলাম এভাবে, এখন চাকরি খুজতে হবে। যৌবন কি আর লাগাম দিয়ে, দরি দিয়ে বেধে রাখা যায়? যে সময় চলে যাচ্ছে সময় কি আর ফিরে পাব? এখনতো আমার চাকরির বাজারও গরম ২-৩ বছর নিম্ন বেতনে চাকরি করে অভিজ্ঞতা নিয়ে উচ্চপদে অবস্থান নেয়া যাবে। তার মানে আমার ভালমানের চাকরি হতেও আর ৩ বছর বাকি। কি করব? আর যে সইতে পারি না, সেই যে আমি নিজেই নিজেকে বোঝাতে শুরু করেছি, আর তো পারি না। আমি জানি কাজের চাপে একটি হয়তো আমার এই শারিরিক চাপ থাকবে না। আমার গড়েতোলা এত স্বপ্ন , আশা , ভালবাসা রয়েই যাবে বাকি। যখন আমার প্রিতম বউকে পাব সেদিন হয়তো আর সেই আবেগ, গতি, অস্থিরতা, জৈবিকতা থাকবো না। তবে কেন এত পড়াশুনা, এত পরিশ্রম ? সুখে থাকতে ? যৌবন হারিয়ে, স্বপ্ন পুড়িয়ে, শেষ বয়সে বিয়ে করে বাচ্চা ফুটিয়ে সংসার বাচিয়ে রাখার ক্রমাগত পরিশ্রমের নামই জীবন??????

আপনারা কেন চান?????

সুত্রঃ বন্ধু সুমন
১৮টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×