বয়স যখন 23-28, সময়টা খুই লন্ডভন্ড। সারা বছর যে ভাবেই কাটুক না কেন, ঈদের প্রতিবেশী দিনগুলোতে যেন, মনের ভিতর একটা হাহাকার কাজ করে। সারা বছর প্রেমিকা বিহীন এত বেশি খারাপ লাগে না যতটা ঈদদিনগুলিতে লাগে। সব আছে আমাদের, বাবা মা ভাই বোন, বন্ধু, বান্ধবী, তবু যেন একটা ফাকা জায়গা পড়ে থাকে, ইটের ভাটা জ্বালিয়ে। কি যেন যন্ত্রনা কাজ করে। নিচে এমনই কিছু ঘটনা তুলে ধরব.....
লিভিয়া ফেরত হয়ে এসেই দেখি আমার যা পুজি পাটি ছিল সবই শেষ। যা গার্মেন্টস এর চাকরি তাতে নিজের ভাতই জোটে না, তার উপর বাবা-মা ভাই বোনদেরও চালাতে হয়। ঈদ তো আসে না, আমার জন্য আসে, চৈত্র মাসের গলা শুকানো দিন। অনেক কষ্টে সকলকে শান্ত করতে হয় স্বল্প উপার্জন দিয়ে। তিন দিনের ছুটিতে এসে সময় কাটতে চায় না, ভাল লাগেনা একাকীত্ব, সবাই যখন ব্যস্ত, প্রেমিকার হাত ধরে আমি তখন বিছানায় ঘুমের ভান করতে করতেই ঘুমিয়ে পড়ে কখন যে অতীতে ফিরে যাই। স্কুল লাইফে কেন আমি প্রেমে পড়লাম, কেন মেয়েটি আমাকে ভালবাসলো না? কেন আমি তাকে এত পছন্দ করতাম? আর কোন মেয়ের সঙ্গে মিশতে পারিনি, ওর কথা মনে পড়লেই সিগারেট ফুকতাম। পড়াশুনাও করা হল না, তাই ভাল কিছু করতেও পারলাম না। জীবন এমন হল কেন ভাবতে ভাবতেই ঈদের আগের ও পরের দিন কেটে যায়। কোন বন্ধু বাড়িতে দেখা করতে আসলে একটু হাসাহাসি করি, না আসলে কারও কাছে যেতে মন চায় না। আবার চলে যাই যাই সেই একঘেয়ে কাজের চাপে..এভাবেই চলছে জীবন।
ছাত্র জীবন শেষতো হয় নি, চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত বিয়ে করতে পারবো না বলে প্রেমও করলাম না, এই ভেবে যে কাউকে কষ্ট দিয়ে নিজেতো সুখি হতে পারব না। পারবো নিজেকে মাফ করতে তাই একাই রয়ে গেলাম। কয়েক বছর ধরেই বিশেষ দিনগুলি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। এ দিনগুলিতে বন্ধুদের ফোন করে একটু যোগাযোগ করি, হয়তো বা কারও বাড়িতে বেড়াতে যাই। এতেই আমার ঈদ সমাপ্তি অন্যদিকে বন্ধুরা অনেকেই চুটিয়ে প্রেম করছে, গিফট দেয় গিফট পায়, ডেটিং ফিক্সড করে, আমি? খাই দাই আর ঘুমাই এভাবেই বিরক্তিতে ক্লান্তিতে, অজানা বিরহে কেটে যায় সময়। আড্ডাও ভাল লাগে না। বাবা-মাকে খুশি রাখতে নতুন কাপড় পড়তে হয়, হাসতে হয়, অানন্দে থাকার ভান করতে হয়। অভিনয় করে চলি নিজের সাথে নিজেই। কেন এই সাজ? কিসের জন্য , কি নিয়ে এত উচ্ছ্বাস আমার? কে দেখবে আমাকে? কাকে খুশি দেখতে চাই আমি?
শুধু প্রেমিকা নিয়ে জীবন নয় কিন্তু প্রেমিকা ছাড়া বাকি সবই অর্থহীন।
সূত্র: উদাসীন কতিপয় বন্ধু
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।