এদেশের সেক্যুলার সুশীল সমাজ তাকে মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে ন্যারেটিভ তৈরি করলেও প্রকৃতপক্ষে সে ছিল এই মুসলিম ভূখণ্ডের প্রথম স্বীকৃত ধর্মীয় ও সামাজিক স্বকীয়তা বিক্রি করে দেওয়া ব্রিটিশদের কলোনিয়াল স্লেইভ!

তার লেখার বেশিরভাগই হলো ইসলামের ফরজ বিধান পর্দার বিপক্ষে! তাছাড়া সে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নিয়ে কটূক্তিমূলক লেখালেখি করেছে!

বেগম রোকেয়া তার লেখায় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নিয়ে কটূক্তি করে বলে,
“তারপর মহাত্মা মহম্মদ আইন প্রস্তুত করিলেন যে, “রমণী সর্ব্বদাই নরের অধীনা থাকিবে, বিবাহের পূর্বে পিতা কিংবা ভ্রাতার অধীনা, বিবাহের পর স্বামীর অধীনা, স্বামী অভাবে পুত্রের অধীনা থাকিবে।” আর মূর্খ নারী নত মস্তকে ঐ বিধান মানিয়া লইল [1]।”!!

রোকেয়ার এসব জঘণ্য কুফরি বক্তব্যের কারণে বহু উলামায়ে কেরাম তাকে মুর্তাদ ফতোয়া দিয়েছেন। অনেকেই আলেমদের রেফারেন্সে এই ফতোয়াগুলো প্রচার করেছেন। আর এতেই সেক্যুলাররা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ওঠেপড়ে লেগেছে।
ঈমানের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার ফলে দেশের সেক্যুলার শ্রেনী হ্যারাসমেন্ট করছে, হুমকি দিচ্ছে!

এ ভূখণ্ডে ইসলাম ও মুসলিমরা মাজলুম! সেক্যুলার ও নাস্তিকরা তাদের ইসলাম বিদ্বেষী বয়ান প্রতিষ্ঠিত করতে বদ্ধপরিকর! সেক্যুলার ও ইসলামবিদ্বেষের এই কালো মেঘ দূর করতে দেশের সর্বস্তরের তাওহিদী জনতাকে জেগে উঠতেই হবে।

রেফারেন্স:
1. বেগম রোকেয়া, (২০০৬). রোকেয়া রচনাবলী. (পৃ-৬১১). বাংলা একাডেমী