রাত ভর জেগে জেগে স্বপ্ন দেখি
সে সব স্বপ্ন নিয়ে কবিতা লিখি
ভোর লগনে সেখানে দিয়ে আসি
ঘুম ভাঙলে আবার সে গুলি মুছি।
মুখে নিয়ে সদা আনন্দময় হাসি
সকলকে কাছে ডেকে বলে আসি
করিও ক্ষমা হয়েছে যে মহা ভুল
স্বপ্নটুকু সত্য ছিল লিখাটাই ভুল ।
জানলনা কেহ বুঝলনা কোন কিছু
কি ছিল কবিতায় কোথায় সে ভুল
যে বুঝিল সে কহিলনা কোন কিছু
রেখে যাওয়া চিহ্ন গেল পিছু পিছু।
রাতজাগা পাখী স্বপ্ন দেখেনা আর
স্বপ্নময়ি এসে ফিরে যায় বার বার
লেপটপ কুলে পিঠে বালিস ঠেলে
হাত খুলে কবিতা লেখা যায় ভুলে।
আত্মা নিজেকেই হয়ত একাকিত্বে পায়
অন্ধকার রাত্রে নির্জন সমাধিক্ষেত্রে যায়
চেতনার গভীরে কিছু কবিতা উঁকি মারে
বাকিসব অজানা গোপনীয়তায় রূপান্তরে।
নির্জনে সেকবিতাগুলি একাকিত্বে হারায়
মৃত ব্যক্তির আত্মার ন্যয় শিয়রে দাঁড়ায়
তিমিরাচ্ছন্ন আঁধারে কবিতার মৃত্যুতেও
ভোরের আলোতে সে আবার জীবন্তই হয়।
বিধাতার দান নিশ্বাস বয়ে যায় প্রাণে
পাহাড়ের উপর ঝুলে থাকা শিলাখন্ড
হাত ছানি দিয়ে ডাকে ওগো কবিবর
শীঘ্র এসে হাত ধরে হয় যাও সহোদর ।
উর্দ্ধ হতে আসা কবিতা উর্দ্ধেই যায় চলে
যেথায় জন্ম তার সেথায় গিয়ে পড়ে ডলে
মাঝের সময়টুকু জীবনাচারের নির্মমতায়
বাঁধনে থাকা সাথিহারা বেদনায় কাতরায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৩৫