somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহাসাগর তলে আগুন, আগুন তলে ভুগর্ভে বিশাল মহাসাগর :বিধাতার অপরূপ সৃস্টি রহস্য

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পানির সাথে আগুনের সম্পর্ক অনেকটা সাপ আর নেউলের মত । যে নামেই ডাকা হোক না কেন, পানি ও আগুনের সম্পর্ক পরস্পর বিপরিত । পেট্রোলিয়াম জাতিয় পদার্থে প্রজ্জলিত আগুন ব্যতিত অপরাপর আগুনের উপর পানি ঢাললেই আগুনের নিবারন ঘটে । এ হেন আগুন কিভাবে পানির নীচে সাগরতলে জ্বলে তা সত্যিই এক বিস্ময়কর ব্যপার ।

দিন কয়েক আগে স্থানীয় মসজিদের বিজ্ঞ ঈমাম খুতবার সময় খুব সংক্ষেপে জানালেন সাম্প্রতিক কালে বৈজ্ঞানিক গবেষনায় পানির নীচে আগুন এবং আগুনের নীচে মহাসাগরের ভূতলে পৃথিবী পৃষ্ঠের মহাসাগরের থেকেও তিন গুন বেশী পানি ধারন সম্পন্ন জলাধারের সন্ধান বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন । বিষয়টা বেশ কৌতুহলজনক হওয়ায় একে নিয়ে একটুখানি অনুসন্ধান করা হল । অনুসন্ধানে দেখা যায় এ নিয়ে রয়েছে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষনা ও আলোচনা । সাগরের পানির নীচে আগুন বিষয়ে বেশ কিছু আলোচনা দেখতে পাওয়া যায় কিছু ইসলামিক গবেষনাধর্মী ওয়েব সাইটে । আমার ধারনা বিষয়গুলি আমাদের অনেকেরই দৃষ্টিগোচর হয়েছে । তবে বিষয়টি সম্পর্কে সে সমস্ত ওয়েব সাইটে তেমন বিস্তারিত ভাবে আলোচনা ও সুসংগঠিত তথ্যের বিন্যাস না থাকায় বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষনায় সাগরের পানির নীচে আগুন আর আগুনের নীচে মহাসাগর থাকা সম্পর্কিত সংস্লিষ্ট গবেষনা ভাষ্যগুলির একটি সচিত্র আলোচনা পাঠকদের সাথে শেয়ার করার মানসে এখানে তুলে ধরা হলো । বিষয়গুলির উপরে বিজ্ঞ পাঠক বৃন্দের যে কোন যুক্তিপুর্ণ আলোচনা কৃতজ্ঞতার সহিত সাদরে গৃহীত হবে ।

পানির নীচে আগুন বিষয়ক বৈজ্ঞানিক আলোচনায় ম্যাগমা নামক একটি বিষয়ের নাম চলে আসে । ম্যগমা বিষয়টি আমাদের দেশের নবম ও দশম শ্রেনীর পাঠ্য ভুগোল বইয়ে খুব ছোট আকারে সংক্ষেপে মাত্র কয়েক লাইনের একটি সংজ্ঞা দিয়েই শেষ করা হয়েছে । এ নিয়ে তাই ছাত্রদের কৌতুহলের সীমা নেই । তাই ম্যগমা বিষয়ক তথ্য দিয়েই আলোচনার সুত্রপাত করা হল ।

আমরা হয়তবা অনেকেই জানি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই এ অবস্থিত মাউনা কিয়া (Hawaii’s Mauna Kea ) বা শ্বেত পর্বত পৃথিবীর উচ্চতম পর্বত চুড়া, যার উচ্চতা বেইস লেভেল থেকে চুড়া পর্যন্ত প্রায় ১০২১০ মিটার ( ৩৩৫০০ ফুট) , উল্লেখ্য যে, সি লেভেলের উপরে মাউনা কিয়া’র উচ্চতা ৪২০৫ মিটার বা ১৩৭৯৬ফুট, তাই এভারেস্ট থেকে এর উচ্চতা কম । মাউনা কিয়া পর্বতের সাগরের নীচে থাকা অংশের উচ্চতা ১৯৭০০ ফুট ( প্রায় ৬০০০ মিটার), নীচের ছবিতে পৃথিবীর সাতটি সুউচ্চ পর্বত চূড়ার সাথে মাউনা কিয়া পর্বতের সাগরতলের অংশের প্রতিকৃতি দেখা যেতে পারে ।

পৃথিবীর সুউচ্চ সাতটি পর্বত চূড়া ও মাউনা কিয়া পর্বতের ছবি



উল্লেখ্য যে , এই মাউনা কিয়া পর্বতের নীচে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী ম্যাগমা তৈরীর ক্ষমতা । সাগরতলে আগুন বিষয়ক আলোচনায় ম্যাগমা একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয় । বৈজ্ঞানিক তথ্যমতে ভূগর্ভে উচ্চচাপে শিলা গলে যায়, শিলার এই গলিত অবস্থাকে ম্যাগমা বলে। মোদ্দা কথা আগ্নেয়গিরির অভ্যন্তরে গলিত পদার্থকে ম্যাগমা বলে।



আগ্নেয়গিরির অভ্যন্তরে ম্যাগমার অবস্থান নীচের চিত্রে অবলোকন করা যেতে পারে ।



পানির নীচে থাকা মাউনা কিয়া পর্বতের আগ্নেয়গিরি হতে বার্ষিক ম্যাগমা উৎপাদনের পরিমান বিশ্বের মোট ম্যাগমা উৎপাদনের প্রায় শকতরা ৭৫ ভাগ । ম্যাগমা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে এখানে https://en.wikipedia.org/wiki/Magma ক্লিক করে দেখা যেতে পারে ।

আগ্নেয়গিরী হতে ম্যাগমার ইরাপশন প্রক্রিয়াটি নীচের চিত্রে অবলোকন করা যেতে পারে ।

সাবমেরিন ম্যাগমা ইরাপশন প্রক্রিয়ার ছবি


1. Water vapour Cloud . 2. Water 3. Stratum 4. Lava flow 5. Magma conduit 6. Magma chamber 7. Dike
8. Pillow lava

নীচের চিত্রটি হতে দেখা যায় যে সাবমেরিন ভলকানো হতে উদগিরিত লাভা , ভস্ম ও ভস্মাবশেষ এর উপরিভাগে জমাট বাধে এবং জমাট বাধা চূড়াকে অনেক সময় পানির উপরে জাগিয়ে তুলে । উল্লেখ্য যে সাবমেরিন ভলকানো বা সাবমেরিন আগ্নেয়গিরি হলো পানির নীচে আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ বা পৃথিবী পৃষ্ট সন্নিহিত বিদারুন মুখ যেখান দিয়ে ম্যগমা উদগিরিত হয় ।


ছবি সুত্র : National Science Foundation at Click This Link

পানির নীচে ভূ-অভ্যন্তরে থাকা আগ্নেয়গিরীর আন্দোলন বা ধুম্রের চিহ্ন সাধারণত দেখা সহজ সাধ্য নয়, তবে পানির নীচের ভলকানো হতে যখন অগ্ন্যুত্পাত হয় তখন তা সহজেই দৃষ্টিগোচর হয়, যেমনটি নিন্মের চিত্র হতে দেখা যেতে পারে :


ছবি সুত্র : Click This Link:Puu_Oo_cropped.jpg

বিশ্বের বেশীরভাগ আন্ডার ওয়াটার ভলকানো ‘টেকটোনিক প্লেট মুভমেন্ট এলাকার কাছাকাছি অঞ্চলে অবস্থিত । টেরিস্টরিয়াল ভলকানো গুলি হাওয়াই , কালিফোর্নিয়া , জাপান , নিউজিলান্ড , ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ এবং এন্টারটিকা এলাকায় বেশী মাত্রায় অবস্থিত ।

ভূ-গর্ভের অনেক নীচে অবস্থিত ম্যাগমা রিজার্ভ সম্পর্কে সচিত্র গবেষনা খুবই দু:সাধ্য কর্ম, কারণ উচ্চ তাপ ও চাপের কারণে সেখানে কোন সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতি প্রেরণ সম্ভব নয় । তাই কালিফোর্নীয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগন প্রায় সাতশত বছর আগের নিউজিলান্ডের তাউপো আগ্নেয় এলাকায় প্রাপ্ত সাতটি জিরকন ক্রিস্টালকে লেবরেটরিতে পরীক্ষা করে ম্যাগমা রিজার্ভের বিষয়ে মুল্যবান উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানতে পেরেছেন যে আগ্নেয়গিরির নীচে প্রচুর পরিমানে ম্যগমা মজুদ রয়েছে ।

১৯ শতকের একটি আগ্নেয়গিরি হতে গলিত লাভা উদগিরণের দৃশ্য


ছবি সুত্র : Science news at Click This Link

সুবহানাল্লাহ! সাগর তলে পানির নীচে ভু-গর্ভে আগুন সংক্রান্ত বিষয়াবলী অনেক আগেই পবিত্র কোরানে ও হাদিছে বর্ণিত হয়েছে । সমুদ্রতলের কঠিন স্তরে ভলকানিক লাভা উদগিরণের ঘটনা মাত্র কিছু দিন আগে জানা যায় । এই লাভাগুলি এক হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা তৈরী করে সমুদ্রের পানিকে ফুটন্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে । । তবে লাভাগুলির তাপমাত্রা অতি উচ্চমাত্রার হলেও তা সাগরের পানিকে বাষ্পিভুত করতে পারেনা অপরদিকে সমুদ্রের পানির পরিমাণ বিপুল হলেও তা আগুনকেও নির্বাপিত করতে পারেনা ।

উল্লেখ্য সুনান আবু দাউদ ‘কিতাব –আল- সিত্তাহ’ ৬টি প্রধান হাদিস গ্রন্থের মধ্যে একটি । এই হাদিস গ্রন্থের বুক অফ জিহাদ অংশের ৯ নং অধ্যায়ের ২৪৮৯ নং হাদিছে আবদুল্লাহ ইবনে আমর এর বর্ণনায় দেখা যায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
‘’ হজ ও ওমরাহ পালন ব্যতিত কিংবা আল্লার পথে জিহাদ ব্যতিত কেও যেন সমুদ্রে ( নিছক অনুসন্ধানে) না যায় কারণ সমুদ্রের পানির তলে আগুন এবং আগুন তলে রয়েছে সাগর ‘’ ( জঈফ হাদিছ শ্রেণীভুক্ত) ।

উল্লেখ্য অনেকেই বলে থাকেন জঈফ হাদিস কোন হাদীসই না, তাঁরা বলে থাকেন জঈফ হাদিস জাল হাদিসের মতই। তাই তাঁরা জঈফ হাদিসগুলো কে জাল হাদীস বলে অস্বীকার করছেন । অথচ জানামতে জাল আর জঈফ হাদিসের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে । হাদিস সহীহ , জঈফ ও হাসান হয় সনদের উপর ভিত্তি করে। মুহাদ্দিসগন কোন হাদিসের রাবীর (হাদিস বর্নণাকারীর) নাম পরিচয়,আমল আখলাক ইত্যাদি যাচাই- বাছাই করে তার উপর ভিত্তি করে হাদিসের মান নির্নয় করেন । উল্লেখ্য যে জাল হাদিস তো কোন হাদিসই না, এজন্যই সেটা জাল, তাই জাল হাদিসের আলোচনা অবান্তর । কিন্তু যেটা জঈফ (দুর্বল হাদিছ) হিসাবে এখনো টিকে আছে সেটাতো আলোচনায় উঠে আসতেই পারে । এমন অনেক হাদিস আছে যে হাদিসগুলো ইসলামের প্রাথমিক জমানাতে সহীহ শুদ্ধ ছিল, কিন্তু পরবর্তীতে সনদের কারনে সেই হাদিসের মান দুর্বল হয়েছে। তাই জঈফ বা দুর্বল হাদিসকে জাল হাদীস বলার কোন সুযোগ আছে কিনা তা আলোচনার অবকাশ রাখে ।

ফাযায়েলের ক্ষেত্রে যঈফ হাদিস কতটুকু গ্রহণযোগ্য সে বিষয়ে বিজ্ঞ পাঠকদের সাথে মত বিনিময় প্রয়োজন বলে মনে করি । পৃথিবী শ্রেষ্ঠ প্রথম সারির নির্ভরযোগ্য হাদিস বিশারদগণ বলেন যে, ফাযীলাতের জন্য হোক আর অন্য কোন বিষয় হোক কোন অবস্থাতেই যঈফ হাদিস ‘আমালযোগ্য নয়। কারণ ফাযীলাতের দোহাই দিয়ে যঈফ হাদিস ‘আমাল করতে গেলে মুসলিম সমাজে ফিতনা -ফাসাদের সৃষ্টি হবে। তাতে উপকারের চেয়ে অপকারের সম্ভাবনা অনেক বেশি। যঈফ হাদিস ‘আমল করা যাবে না, এ বিষয়ে যে সব হাদিসবিদ, মুহাদ্দিসগণ মতামত পেশ করেছেন তারা হলেন, ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম ইয়াহ্ইয়া ইবনু মুঈন, ইমাম ইবনু আরাবী, ইমাম ইবনু হাজম, ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ ও আল্লামা জালালউদ্দিন কাসেমী প্রমুখ হাদিসবিদ ইমামগণ। অপরদিকে ফিকহ্বিদগন ফাযীলাতের ক্ষেত্রে যঈফ ‘আমালের অনুমতি দিলেও তারা যঈফ হাদীস ‘আমালের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত শর্তারোপ করেছেন। যেমন- (১) যে সব যঈফ হাদিসের উপর ‘আমাল করা হবে, তা যেন কোন মতেই আক্বীদা বা হুকুম সংক্রান্ত না হয়। যদি তা হয় তাহলে কোন ক্রমে যঈফ হাদিস ‘আমাল করা যাবে না। (২) কেও যদি নিতান্ত বাধ্য হয়ে যঈফ হাদিস ‘আমাল করতে চায়, তাহলে তাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে, ঐ ‘আমালটা যেন কোন মতেই দেশ ও সমাজের প্রচলিত সহীহ হাদিসের ‘আমালের বিরোধী না হয়। যদি হয় তাহলে ‘আমাল করা যাবে না। (৩) যঈফ হাদিস সুত্র বা সনদ যেন অত্যন্ত দুর্বল না হয় পরিশেষে (৪) হাদিস ‘আমালকারীকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে, হাদিসটি যঈফ বা সন্দেহযুক্ত। আর অন্যের নিকট বলার সময় তা যঈফ হিসাবেই উল্লেখ করতে হবে। কারো যেন কোন ভূল বুঝাবুঝি না হয় সেজন্য এই পোষ্টের লেখায় একে জঈফ হাদিস হিসবে স্পষ্ট করে বলে দেয়া হল । তবে এ বিষয়ে কোন পাঠক যদি যুক্তি কিংবা দলীল দিয়ে একে সহি হাদিছ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন তবে সেটা হবে খুবই আনন্দের কথা ।

যাহোক মোদ্দা কথা হল , হাদিসটি যদিও যঈফ শ্রেণীভুক্ত হিসাবে চিহ্নিত এবং ইহা জাল হাদিস নয় সেহেতু এই হাদিসে থাকা সাগরের পানির নীচে আগুন ও তার নীচে থাকা মহসাগরের অস্তিত্ব সম্পর্কে সাম্প্রতিক কালের বৈজ্ঞানিক আবিস্কারের বিষয়াবলী কিভাবে দেখা হবে তা হাদিস বিশেযজ্ঞগন বিবেচনা করে দেখতে পারেন তাঁদের মুল্যবান মতামত সাদরে গৃহীত হবে ।

তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে বিজ্ঞানীদের হিসাবে পৃথিবীতে পানির নীচে বিভিন্ন আকারের প্রায় ৫০০০ সক্রিয় ভলকানো রয়েছে যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত সত্য ।

পবিত্র কোরআনের সুরা আত -তুর এ উল্লেখিত আল্লাহ তায়ালার শপথের সাথে হাদিসের কথার একটা সংযোগ পাওয়া যায় ,যেখানে সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেন “ এবং কছম উদ্বেলিত সাগরের ’’ ( সুরা আত -তুর , আয়াত ৬ )

সুরা আত-তুরের ১ হতে ৮ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন (১)কসম তুর পর্বতের (২)এবং (কসম এই তুর পর্বতের (৩) (যাহা) উন্মুক্ত চিকন চামড়ায় লিপিবদ্ধ আছে (৪) এবং কসম সাদা আবাদ ( কাবা) গৃহের ( ৫) এবং (কসম ) চির সমুন্নত ছাদের (৬) এবং (কসম) উদ্বেলিত সমুদ্রের (৭) নিশ্চয় তোমার প্রতিপালকের আযাব অবশ্যই সংগঠিত হবে (৮) উহার নিবারনকারী কেহই নাই ।

যখন ঐশী কুরআন অবতীর্ণ হয়েছিল, তখন আরবগন উদ্বেলিত সাগর দ্বারা শপথের অর্থ সম্ভবত যথাযথভাবে হৃদয়ঙ্গম করতে পারেননি , মহাজাগতিক ক্রিয়ায় সৃষ্ট " উদ্বেলিত " অর্থ দ্বারা সাধারণত আগুনে পুড়িয়ে দেয়া বা বা ধ্বংস করে দেয়া বুঝায় , উপরন্তু, অগ্নি এবং জল পরস্পরের শত্রু যেমন পানি আগুন নির্বাপিত করে এবং আগুনের তাপ পানিকে কে বাস্পিভুত করে । কিভাবে এই ধরনের পরস্পর বিরোধীদের একসাথে বসবাস সম্ভব ? কিভাবে এই পরস্পর বিরোধি দুটি শক্তিকে একত্রিত করা এবং একটি যেন আরেকটির উপর জয়ী হতে না পারে তার ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব ? তাই এটা নি:সন্দেহে আল্লার একটি অপুর্ব সৃষ্টি কৌশলের নমুনা ।

আজ হতে ১৪০০ বছরের বেশী পুর্বে রসুল ( সা) কতৃক এমন বৈজ্ঞানিক তথ্য সম্বলিত আয়াত নীজ হতে রচনা করা সম্পুর্ণ অসম্ভব বিষয় বলে গন্য । সে সময় সাগরের পানির নীচে আগুন এবং তার নীচে পানি থাকার কথা কেও কল্পনাও করতে পারেনি । কিভাবে এটা সম্ভব যে সমুদ্রের ঠান্ডা পানি গরম হয়ে যেতে পারে । এই কারনে এই আয়াতটি নাযিল হওয়ার পরে আরবের জাহেলীয় মানুষেরা নবী করীম কে শুধু একজন কবি হিসাবে মনে করেছিল ।

ঈমানদার লোকেরা তখন অবশ্য কোরানের সুরা তাকবীরের ৬নং আয়াতের আলোকে পুরা ব্যাপারটিকে পুনরূত্থান দিবসের উপরে ছেড়ে দিয়েছেন যেখানে সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেছেন:
وَإِذَا الْبِحَارُ سُجِّرَتْ
" এবং যখন সমুদ্রসমূহ জ্বলন্ত আগুনের মত হয়ে যাবে " [সূরাত-তাককির আয়াত ৬)
And when the seas shall become as blazing Fire

বাহ্যিকভাবে এটা একান্তই আশ্চর্যের বিষয় যে পুনরূত্থানের দিন সমুদ্রের পানি প্রজ্জলিত হবে । কিন্তু পানির বৈশিষ্টকে যদি বিবেচনায় নেয়া হয় তাহলে কোন কিছুই আশ্চর্য বলে মনে হবেনা । এটা আল্লার একটি অলৌকিক ক্ষমতা যে ,তিনি অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনের সমন্বয় ঘটিয়ে পানি সৃজন করেছেন , একটি উপাদান আগুনকে প্রজ্জলিত করে এবং অপরটি আগুনকে নিবারন করে , কিন্তু তিনি এ দুটি পরস্পর বিরোধি উপাদানকে এমনভাবে সংমিশ্রন করেছেন যা দিয়ে পানি তৈরী হয়েছে যা আগুন নিবারনে সক্ষম । আল্লাহ অলৌকিকভাবে পানিকে তার মৌলিক অবস্থায় নিয়ে গিয়ে আগুনে প্রজ্জলিত অবস্থায় রূপান্তর করতে সক্ষম তাতে কোন সন্দেহ নেই ।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো তাঁর জীবদ্দশায় সমুদ্রে ভ্রমণ করেননি, তাই এই অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে তিনি কিভাবে কথা বলতে পারেন ? সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাঁকে এবিষয়ে কথা বলার জ্ঞান ও অনুমতি দিয়েছিলেন । সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাঁর অগাধ প্রজ্ঞায় জানতেন যে , মানুষ এই আশ্চর্যজনক বৈজ্ঞানিক সত্যটি একদিন আবিষ্কার করবে, তাই তিনি মহিমান্বিত কুরআনে এটিকে উল্লেখ করেছেন এবং তাঁর মর্যাদাবান নবীকে সে সম্পর্কে জ্ঞাত করেছেন, যাতে এটি একটি মহৎ প্রতীক হিসেবে প্রমাণিত হয় যে, কোরান আল্লাহর কালাম এবং তাঁর প্রেরিত সর্বশেষ রসুলের মাধ্যমে এ বিষয়টি বিশ্বমানব সম্প্রদায় জানতে পারে , মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেছেন:
"তিনি (মুহাম্মদ) (নিজের) ইচ্ছার কথা বলেন না।" [সুরা আয-নাজম : ৩]

আল্লাহর কথা সর্বদা সত্য । আজ বিজ্ঞানীরা স্বীকার করেন যে মহাসাগরে অবশ্যই অনেক আগ্নেয়গিরি রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সমুদ্রগর্ভে থাকা আগ্নেয়গিরীর সংখ্যা পৃথিবীর সমস্ত আগ্নেয়গিরির প্রায় ৭০% । মহাসাগরের নীচে অবস্থিত সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি এলাকাটি "রিং অফ ফায়ার" নামে অভিহিত এবং যা প্রায় ৬৪০০০ কিলোমিটার এলাকা জুরে অস্ট্রেলিয়ার পুর্ব উপকুলের টঙ্গা হতে শুরু করে ,জাপান, ফিলিপাইন,মধ্য আমিরিকা ও দক্ষিন আমেরিকার পশ্চিম উপকুলের পেরু এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত । নিন্মের চিত্রে "রিং অফ ফায়ার" এর অবস্থান দেখা যেতে পারে ।

ছবি : রিং অফ ফায়ার (Ring of Fire )


ছবি সুত্র : Click This Link

এই রিং অফ ফায়ারে (Ring of Fire) নীচে নিন্মের চিত্রের মত প্রায় ৪৫০ টি আগ্নেয়গিরী আছে ।


ছবি সুত্র : Click This Link

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিজ্ঞানীরা সাগর ও মহাসাগরগর্ভে মুল্যবান খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান করেন ও সেগুলি উত্তোলন কর্মযজ্ঞ শুরু করেন । বর্তমানে সমুদ্রতলের অনেক খনিজ সম্পদের মজুদের পরিমান উদীয়মান বস্তুবাদী মানব সভ্যতাগুলির কারণে প্রায় নিশ্বেসিত হওয়ার পথে । তবে অনুসন্ধানপর্বে মহাসাগরের তলদেশে হাজার হাজার কিলোমিটার জুড়ে তারা অনেক আগ্নেয় পর্বতমালার অবস্থান জানতে পেরেছেন । উল্লেখ্য এমনি এক অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় সাগর তলে হারিয়ে যাওয়া এক বিশাল মহাদেশের সন্ধান পাওয়ার খবরও জানা যায় ।

পৃথিবীতে সাতটি মহাদেশ আছে বলেই আমরা জানি। কিন্ত আরো একটি মহাদেশ যে লুকিয়ে আছে নিউজিল্যান্ডের ঠিক নীচে তা কিছুদিন আগেও কল্পনা করা যায়নি ? সাগরগর্ভে এই হারিয়ে যাওয়া মহাদেশটি নাকি প্রায় ভারতীয় উপমহাদেশের সমান ।

প্রশান্ত মহাসাগরে তলিয়ে যাওয়া এই মহাদেশটির নাম দেয়া হয়েছে জিল্যান্ডা ( ইন্ডিয়া + নিউজিল্যান্ড )
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বর্তমান নিউজিল্যান্ড দেশটি আসলে এই মহাদেশেরই জেগে থাকা একটা অংশ । বলা যেতে পারে এই মহাদেশের পবর্তচূড়া ।



বিজ্ঞানীরা এখন চেষ্টা করছেন তাদের এই নব আবিস্কৃত তলিয়ে যাওয়া ভূখন্ডের জন্য মহাদেশের স্বীকৃতি আদায় করা ।

ছবি : জিল্যান্ডা মহাদেশকে নিয়ে অঙ্কিত ম্যাপ



'জিওলজিক্যাল সোসাইটি অব আমেরিকা'য় প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা বলছেন, 'জিলান্ডিয়া'র আয়তন পঞ্চাশ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার, যা পার্শ্ববর্তী অস্ট্রেলিয়ার প্রায় দুই তৃতীয়াংশের সমান।



কিন্তু এই মহাদেশের প্রায় ৯৪ শতাংশই তলিয়ে আছে সাগরের পানিতে। মাত্র অল্প কিছু অঞ্চল পানির ওপর মাথা তুলে আছে,
একটি মহাদেশের স্বীকৃতি পেতে যা যা দরকার, জিলান্ডিয়া তার সবকটিই পূরণ করেছে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। যেমন:
 আশেপাশের অন্যন্য অঞ্চল থেকে উঁচু হতে হবে, এটা তারা প্রমান করেছেন
 সুস্পষ্ট কিছু ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট ও জীব বৈচিত্রের প্রমান থাকতে হবে

এ প্রসঙ্গে উক্ত এলাকায় নিন্মের চিত্রের মত দেখতে প্রাপ্ত জিবাস্ম (ফসিল ) পর্যালোচনায়


Saint Bathans Fauna গোত্রিয় প্রাণীটির মত কিছু প্রানী কথিত জিলান্ডা মহাদেশে বসবাস করার প্রমান রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা দাবী করেন ।

ছবি : বিলীন হয়ে যাওয়া Saint Bathans Fauna গোত্রিয় একটি প্রাণীর প্রতিকৃতি


উৎস : Click This Link

 একটি সুনির্দিষ্ট সীমারেখা থাকতে হবে , যা বিজ্ঞানীরা প্রমান করেছেন
 সমূদ্র তলদেশের চেয়েও পুরু ভূস্তর থাকতে হবে, বিজ্ঞানীরা নীচের চিত্রের মত তা জিলান্ডায় দেখতে পেয়েছেন

ছবি : নিউজিল্যান্ডা মহাদেশের একটি সেটেলাইট ইমেজ



প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধের প্রধান লেখক নিউজিল্যান্ডের ভূতত্ত্ববিদ নিক মর্টিমার বলেন, জিলান্ডিয়াকে কেন মহাদেশ বলা যাবে না, সে প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞানীরা খুঁজছিলেন গত দু্ই দশক ধরে চালানো গবেষণায় । তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর মহাদেশের তালিকায় আরেকটি নাম যুক্ত করাটাই কেবল তাদের লক্ষ্য নয়, এর একটা বিরাট বৈজ্ঞানিক তাৎপর্যও রয়েছে , বিশেষ করে একটি মহাদেশ সাগরে তলিয়ে যাওয়ার পরও যে অখন্ড থাকতে পারে এবং ৬৫০ মিলিয়ন বছর পুর্বে গন্ডোয়ানা মহাদেশ ভেঙ্গে কিভাবে বর্তমান মহাদেশগুলো তৈরি হয়েছিল সে সমস্ত প্রশ্নের উত্তরও পাওয়া যাবে এই নব আবিস্কৃত এই মহাদেশের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ।

ছবি : ৬৫০ মিলিয়ন বছর পুর্বে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া গন্ডোয়ানা মহাদেশ



এখন প্রশ্ন হলো জিলান্ডিয়ার নামে আরেকটি মহাদেশ কি যুক্ত হবে ভুগোলের পাঠ্য বইতে? সেটা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও অনেকদিন । কারণ মহাদেশের স্বীকৃতি দেয়ার জন্য কোন আন্তর্জাতিক ফোরাম নেই । কেবল বেশিরভাগ বিজ্ঞানী যদি মেনে নেন যে জিলান্ডিয়া আরেকটি মহাদেশ, তাহলে হয়তো কোন একদিন আমরা শিখবো, পৃথিবীতে সাতটি নয়, আটটি মহাদেশ আছে !!!

যাহোক, আমাদের মুল কথা তথা সাগর তলে থাকা ‘ফায়ার অফ রিং’ এর আলোচনায় ফিরে আসা যাক । প্রায় ৬৪০০০ কিলোমিটারেরও বেশী দুর পর্যন্ত বিস্তৃত এবং প্রায় ৬৫ কিলোমিটার গভীরতায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ‘ ফায়ার অফ রিংগের ‘ মধ্যে অবশ্য কিছু দূর্বল স্তর বা দুর্বল অঞ্চল রয়েছে যা অ্যানিসোস্ফিয়ার নামে পরিচিত । অ্যানিসোস্ফিয়ারের মধ্যে থাকা শিলাসমূহ আংশিকভাবে গলিত অবস্থায় থাকে যা অপেক্ষাকৃত উচ্চ ঘনত্ব এবং সান্দ্রতা ( ভিসকোসিটি ) পুর্ণ তপ্ত স্রোতগুলি মহাসাগরের অবতলে মিলিয়ন মিলিয়ন টন পাথরকে চালিত করে নিয়ে যায় যেমনটি পরিলক্ষিত হয়েছে লোহিত সাগরের মতো কিছু সমুদ্রের তলদেশে যেখানে তাপমাত্রা ১০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস কে অতিক্রম করে যায় । মিলিয়ন মিলিয়ন টনের এই ক্রমসঞ্চিত শিলার স্তুপ সমুদ্রের জলকে ডানে বামে ঠেলে দিয়ে সমুদ্র তলদেশের সম্প্রসারন ঘটায় । বিজ্ঞানীরা "সমুদ্র ও সমুদ্র তলদেশের এই পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে সম্প্রসারন প্রপঞ্চ হিসাবে অভিহিত করেন । এই সম্প্রসারণ প্রক্রিয়ায় গঠিত এলাকাটি ম্যাগমা দ্বারা পরিপুর্ণ হয় যা পরিনামে সমুদ্রতলে আগুন তৈরী করে ।



বিজ্ঞানীরা একটি ঘটনার উত্তর খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছেন তা হল সাগর ও মহাসাগরের জলরাশি কেন ম্যাগমাকে (magma) বাহির হতে দেয় না উপরন্তু ম্যাগমার মধ্যে প্রচন্ড তাপমাত্রা থাকা সত্ত্বেও সাগর এবং মহাসাগরের পানিই বা কেন বাস্পে পরিনত হয়না ? এ প্রেক্ষিতে একটি কথাই বলা যায় যে সমুদ্র তলের এই পরস্পর বিরোধি বৈশিষ্টপুর্ণ অগ্নিকুন্ড ও পানির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার অপরূপ কৌশলটি মহান আল্লাহর সীমাহীন মৃস্টি কৌশলৈর একটি স্পষ্ট সাক্ষী ।

উল্লেখ্য যে একদল অস্ট্রেলীয় গবেষক RV Investigator নামের একটি সমুদ্রগামী জাহাজে করে সিডনী উপকুলে ৫০ মিলিয়ন বছর আগের একটি ‘ভলকানো ক্লাসটারের’ সন্ধান পান যা নিন্মের চিত্রে দেখা যেতে পারে ।
ছবি : Cluster of Volcano


ছবি সুত্র : ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথওয়েলস

উপরের চিত্রটি সমুদ্রতলে একটি ভলকানিক ক্লাস্টারের ত্রিমাত্রিক রিলিফ ম্যাপ । অস্ট্রৈলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর রিচার্ড আর্কুলসের মতে জিওসাইনটিস্টদের কাছে এই ভলকানিক ক্লাস্টারটির আবিস্কার খুবই গুরত্বপুর্ণ । প্রফসের রিচার্ড বলেন
“They tell us part of the story of how New Zealand and Australia separated around 40-80 million years ago and they’ll now help scientists target future exploration of the sea floor to unlock the secrets of the Earth’s crust.”

নিউ জিলান্ডের উত্তর উপকুলে অবস্থিত অকল্যন্ড হতে ১২৫ মাইল দুরে মাটাটা (MATATA) শহর নিকটবর্তী স্থানে ভূগর্ভে অতি সম্প্রতি ম্যগমা গঠন আবিস্কৃত হয়েছে এই আবিস্কারটি বিস্মিত করেছে কারণ এর আশে পাশে কোন একটিভ ভলকানো নেই । পুরা বিষয়টিই ভুতাত্বিক বিজ্ঞানীদের কাছে বিস্ময়ে ভরা ।



ফিজি , টঙ্গা ও সামুয়া উপকুলবর্তী প্রশান্ত মহাসাগরের ৪০০০ ফুট পানির নীচে মাটা ভলকানোতে ২০০৯ সনের মে মাসে গলিত লাভা উদগিরণের দৃশ্যটি বৈজ্ঞানিকেরা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে ধারণ করেন । Joint Institute for the Study of the Atmosphere and Ocean এর সহায়তায় ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিকেল ওশেনোগ্রাফার জোসেফ রিজিং ভলকানোটির লাভা উদগিরণ দৃশ্য ধারণ দলের প্রধান বৈজ্ঞানিক হিসাবে কাজ করেন । তিনি বলেন “We found a type of lava never before seen erupting from an active volcano, and for the first time observed molten lava flowing across the deep-ocean seafloor,” তাদের ধারণকৃত লাভা উদগিরণের দৃশ্যটি নীচে দেখা যেতে পারে ।

ছবি : a close view of deepest magma explosions and lava flows on West Mata volcano (May 2009 (১)


ছবি সুত্র : Click This Link

ছবি : সাগরতলে আগ্নেয়গিরির অগ্নোতপাতের ভিডিও চিত্র ( ২)


ছবি সুত্র : Click This Link

ছবি : সমুদ্রের নীচে গলিত লাভার দৃশ্য (৩)



উপরের আলোচনা ও তথ্য চিত্র হতে পরিস্কার বুঝা যায় যে পুনরুথ্থানের দিনে সুরা তাকভিরের ৬ নং আয়াতের মর্ম অনুযায়ী আল্লাহ সমুদ্র সমুহকে একটি উত্তাল জ্বলন্ত সমুদ্রের আকার দানে অপারগ হবেন না ।

ছবি : প্রজ্জলিত সাগরের কল্পিত ছবি ।



গলিত ম্যাগমাকে শক্তিতে পরিনত করা

ভুগর্ভ হতে গলিত ম্যাগমাকে টেনে তোলে শক্তিতে পরিনত করার লক্ষ্যে ইতুমধ্যে মানুষের প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে আর এ লক্ষ্যে আইসল্যন্ড হটেস্ট কুপ খনন প্রকল্প বস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছে ।

ছবি : ভুগর্ভ হতে ম্যাগমা আহরন করার জন্য আইসল্যান্ড এর বস্তবায়নাধীন প্রকল্প


উৎস : Click This Link

আগ্নেয়গিরির গভীরে থাকা ম্যাগমা থেকে শক্তি টেনে তুলে তা কাজে লাগানোর জন্য আইসল্যান্ডের ড্রিলিং প্রকল্পটির কার্যকলাপ বেশ কঠিন হলেও তারা এ প্রকল্পটি গ্রহন করেছেন । পৃথিবীর ভিতরের তাপকে কাজে লাগানোর সম্ভাব্যতার বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখার জন্য Iceland Deep Drilling Project (IDDP) নামে ২০১৬ সনের ১২ আগস্ট তারা এই তপ্ত ড্রিলীং প্রকল্পটির কাজ শুরু করেন । পৃথিবীর মধ্যে এটাই সবচেয়ে তপ্ত ড্রিলীং প্রকল্প যেখানে তাপমাত্রা ৪০০ হতে ১০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস । উল্লেখ্য যে এই ড্রিলিং প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত ভুগর্ভের মাত্র একটি কুপ হতে আহরিত ম্যগমা দ্বারা প্রায় ৫০ মেগাওয়াট শক্তি উৎপাদন করা সম্ভব হবে, যা স্বাভাবিক জিউথারমাল শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা থেকে প্রায় ১০ গুন বেশী ।

শুধু কি তাই ইদানীং বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানে জানা গিয়াছে যে দারিদ্র পিড়িত পুর্ব আফ্রিকার মাটির নীচে লুকায়িত আছে ম্যাগমা সমৃদ্ধ বিশাল জিউথারমাল শক্তি সম্পদ , একটি শক্তিশালী ভলকানিক ইরাপশনই পারে তাদের সেই লোকায়ীত শক্তি সম্পদকে টেনে তুলতে ।

ছবি : ঈস্ট আফ্রিকার দারিদ্র পিড়িত দেশ গুলির নীচে লোকায়ীত ম্যকগমা সমুদ্ধ সম্পদ



উপরের চিত্রে প্রদর্শিত পুর্ব আফ্রিকার শক্তিশালী হট ম্যগমা সমৃদ্ধ এই রিফটি পুর্ব আফ্রিকার সিরিয়া হতে শুরু করে ৬৪ হাজার কিলোমিটার জুরে থাকা ট্রেইলটি সুদান , ইথিউপিয়া , কেনিয়া , জিবুতি , তানজানিয়া এবং মোজাম্বিক পর্যন্ত বিস্তৃত । সাম্প্রতিক একটি গবেষনায় এই আশাবাদ ব্যক্ত হয়েছে যে ভুগর্ভের এই জিউথারমাল ম্যাগমা শক্তি সফলভাবে আহরন করতে পারলে সম্পুর্ণ অঞ্চলটি দারিদ্রের তীব্র কশাঘাত হতে মুক্ত হতে পারবে খুব কম সময়ের মধ্যেই । দোয়া করি বিজ্ঞান সাধনায় উন্নতি ও যথাযথ প্রকৌশল , প্রযুক্তি ও প্রয়োজনীয় সম্পদ অর্জনের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও বৈশ্বিক কুটকৌশলের প্রভাব মুক্ত হয়ে তারা যেন এই সম্ভাবনাময় সম্পদকে আহরণ করে নীজেদের দারিদ্রতা মোচন করতে পারেন ।

পর্ব-২
সমুদ্র তলদেশের কঠীন ভুমি স্তরের নীচে বিশাল মহাসাগরের সন্ধান লাভ


নর্থ ওয়েষ্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষক স্টিভ জেকভসন তার একটি সাম্প্রতিক গবেষনায় গভীর সমুদ্র তলে ভূ-অভ্যন্তরে পানির একটি বৃহৎ জলাধারের সন্ধান পেয়েছেন যা পৃথিবীর সকল মহাসাগরের জলরাশীর তুলরায় প্রায় তিনগুন বড় । এই আবিস্কারের ফলে পৃথিবী পৃষ্টে সমুদ্র সৃজনের একটি ব্যাখ্যাও পাওয়া সম্ভব হয়েছে । ভূপৃষ্ঠে হতে ৭০০ কিলোমিটার গভীরে রিংউডাইট নামক একটি নীল আধারে (mantle) পৃথিবীর পৃষ্ঠ এবং তার কেন্দ্রের গরম শিলা স্তর । এর মধ্যে এই জলরাশী লুকানো আছে ।

একটি স্বচ্ছ স্ফটিক নীল রিংউডাউটকে চুর্ণ করে গবেশনাগারে পরিক্ষা করে কমলা রঙের বৃত্তিয় অঞ্চলটির মধ্যে ঘনিভুত আকারে পানির উপস্থিতি ধরা পরেছে ।


সুত্র : Click This Link

এই বিশাল জলাধারটির আবিস্কার পৃথিবীতে দৃশ্যমান সাগর মহাসাগরের জন্ম রহস্য উন্মোচনে গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখতে যাচ্ছে । অনেক ভুতাত্বিকেরাই মনে করতেন যে ধুমকেতুর সাথে সংঘর্ষের ফলে পৃথিবীতে সাগর সহাসাগরের সৃষ্টি হয়েছে



কিন্তু এই নব আবিস্কারটি একটি বিকল্প ধারনার জন্ম দেয় এবং ঈঙ্গিত দেয় যে পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগের বিশাল জলাধার হতে ক্রমান্বয়ে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে জল এসে ভুপৃষ্ঠের উপরিভাগে সাগর মহাসাগরের জন্ম দিয়েছে । ইলিনিয়সের ‘নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ’ গবেষক জিউফিজিসিস্ট স্টিভেন জ্যাকবসান বলেন, "ভুপৃষ্টের গভীরে থাকা গোপন জলাধার হতেই সাগর মহাসাগরের সৃষ্টি হয়েছে ।

জ্যাকবসনের আবিস্কার সাম্প্রতিক সময়ে কানাডার আলবার্টা ইউনিভার্সিটির গবেষক গ্রাহাম পিয়ার সনের সমীক্ষাকে সমর্থন করে । পিয়ারসন ভলকানিক ইরাপসনের সময় ট্রানজিশন জোন হতে উঠে আসা একটি হিরক খন্ড লেবরেটরীতে পরিক্ষা করে দেখেন যে তাতে জল-বাহিত রিংউডাইট উপাদানের অস্তিস্ত রয়েছে যা যা ট্রানজিশন জোনে প্রচুর পরিমান জলের অবস্থানের প্রমান দেয় । জ্যাকবসন বলেন The ultimate origin of water in the Earth’s hydrosphere is in the deep Earth—the mantle. at depths between 410 and 660 kilometres, could be a major repository for water,

ছবি : জ্যাকবসনের লেবরেটরী পরিক্ষন প্রক্রিয়া


উৎস : Click This Link

ছবি : মহাসাগরের কঠিন ভুস্তরের নীচে পৃথিবী পৃষ্ঠ দেশের চেয়েও বিশাল জলরাশী সম্পন্ন মহাসাগরের অস্তিতের নমুনাচিত্র



এই আবিস্কারের বিষয়ে পরিশেষে জ্যবসন বলেন ভুপৃষ্টের অনেক গভীরে থাকায় এই বিশাল জলাধারটির প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ, এই বিশাল জলাধারটি ভুপৃষ্টের উপরিভাগে থাকলে পৃথিবীর সকল পর্বতমালাসহ অন্য সকল এলাকা পানির নীচেই ডুবে থাকত । এটা তাই বিধাতার অপুর্ব একটি সৃস্টি কৌশল ।

‘সাগরের পানির নীচে আগুন সংক্রান্ত বিষয়ে কোরানের উল্লেখের সাথে হাদিছেও এর উল্লেখ রয়েছে যা পুর্বে বলা হয়েছে । হাদিস গ্রন্থ ‘সুনান আবু দাউদ’ এর জিহাদ সংক্রান্ত বুকের ২৪৮৯ নং হাদিছের বর্ণনার শেষ অংশে দেখা যায় যে নবী করীম( স ) বলেছেন ‘‘ ......সাগরের নীচে আগুন, আগুনের নীচে পানি ......’’
গভীর সমুদ্র তলদেশের সাবমেরিন ভলকানো এবং সাগরতলের ওসেন ক্রাস্টের বিষয়াবলি আধুনিক বিশ্বে একটি বিশেষ সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার যা এ পোষ্টের প্রথম অংশেও আলোচনা করা হয়েছে ।

সাম্প্রতিক একটি বৈজ্ঞানিক গবেষনায় কৃঞ্চ সাগরের তলদেশেও একটি বিশেষ লোনা জলের নদী Click This Link বসফোরাস প্রণালীর( স্ট্রেইটের ) মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন ।

ছবি : বসফরাস প্রনালীর অবস্থান



গত ১লা আগস্ট ২০১০ তারিখে যুক্তরাজ্যের লীডস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা এই নদীটি আবিস্কারের ঘোষনা দিয়েছেন , এটিই বিশ্বে এ ধরনের প্রথম আবিস্কার বলে তারা দাবী করেছেন ।

ছবি : A 3-D radar image, using false colour, of the undersea river channel where it enters the Black Sea from the Bosphorus Strait. Photo: University of Leed


Source : Click This Link

সোনার স্ক্যানিং ( সাউন্ড নেভিগেশন) এর উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা ইতিপূর্বে সমুদ্রের তলদেশের চ্যানেলগুলি আবিষ্কার করেছেন। আমাজন নদী মুখ থেকে শুরু করে আটলান্টিক মহাসাগরে পতিত বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম একটি চ্যানেল নিয়ে ধারণা করা হত যে এই চ্যানেলগুলো নদী হিসেবে কাজ করতে পারে, এখন কৃঞ্চ সাগরের তলদেশের এই নদীটি আবিষ্কারের ফলে ধারনাটি সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ।

জলের এই ধারাগুলির (স্ট্রিমগুলির) ক্ষমতা এবং অনির্দিষ্টতার কারণে, ‌এদের সঠিক গতিপথ সরাসরি অনুসন্ধান করা বেশ কঠিন কাজ। লিডজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ জেফ পিয়াল এবং ড: ড্যানিয়েল পারসনস এর নেতৃত্বে গঠিত বিজ্ঞানীদের একটি দলের এই কাজে যুক্তরাজ্যের সাওথাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়, মেমোরিয়াল ইউনিভার্সিটি অফ নিউফাউন্ডল্যান্ড এবং তুর্কি ইনস্টিটিউট অফ মেরিন সায়েন্সেসের বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন পর্যায়ে সহায়তা করেন ।

লিডস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী দলটি ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ কাউন্সিলের অটোসাব৩ (Autosub3) - এর ৭-মিটার টর্পেডো-আকৃতির স্বয়ংক্রীয় ডুবোজাহাজের তরী ব্যবহার করে - যতটা সম্ভব নদীটির নিকটবর্তী স্থানে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছিলেন । তাদের তথ্যমতে নদীটি ৩৭ মাইল (৬০ কিমি) দীর্ঘ, ১১৫ ফুট (৩৫ মি) গভীর এবং ০.৬ মাইল (০.৯৭ কিমি) পর্যন্ত প্রশস্ত ছিল বলে জানতে পারা যায় ।

যদিও আমাজন চ্যানেলের চেয়ে নদীটি ছোট, তথাপী কৃঞ্চ সাগরের নীচ দিয়ে প্রাবহীত নদীটি এখনও আমাজনের চ্যনেলের তুলনায় দশ গুণ বেশি পানি বহন করছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে । এটি দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ২২০০ কিউবিক মিটার পানি (৭৮০,০০০ কিউবিক ফুট) প্রতি ঘন্টায় চার মাইল গতিতে প্রবাহিত হচ্ছে বলেও দাবী করা হয়েছে । এটি যদি পৃথিবীর উপরিভাগের কোন নদী হতো তাহলে তা বিশ্বের ছয়টি বৃহত্তম নদীর মধ্যে একটি হিসেবে স্থান করে নিতে পারতো বলে উল্লেখ করা হয়েছে ।

ভুপৃষ্টের উপরিভাগের নদীর মত এই নদীটিতে বন্যা, প্লাবন, জলপ্রপাতের মতো বৈশিষ্ট্যগুলি বিদ্যমান রয়েছে । ঘনত্বের ভিত্তিতে নদীটির স্রোতধারা কাজ করে, কারণ এটি সমুদ্রের তলদেশে পলল বহন করে এবং পার্শ্ববর্তী জলের চেয়ে উচ্চ লবণাক্ততা রজায় রাখে । ভূগর্ভে থাকা নব আবিষ্কৃত নদীটি সামুদ্রিক জীববিজ্ঞান, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ভূতাত্ত্বিক গঠন সংক্রান্ত গবেষণার জন্য গুরুত্বপুর্ণ তথ্যভান্ডার হিসাবে অবদান রাখবে বলে ধারনা ।এই ছাড়াও,তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎসের সন্ধানে আগ্রহী তেল কোম্পানিগুলির জন্য প্রাপ্ত তথ্যগুলি খুবই দরকারী হতে পারে বলে দাবী করা হয়েছে ।

এখন দেখা যাক এসকল আশ্চর্য বিষয়ে পবিত্র কোরানে কি বলা হয়েছে ।
"আমরা শীঘ্রই তাদের দেখাবো, আমাদের সত্যের প্রমাণগুলি পৃথিবীর প্রতিটি কোণ থেকে এবং নিজের থেকেও, তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, আল কুরআন হচ্ছে সত্য । এটা কি যথেষ্ট নয় যে, আপনার ঈশ্বর সবকিছু দেখতে পাচ্ছেন । " (সুরা ফুসিয়াত : আয়াত ৫৩ )



অনেক ধন্যবাদ এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ।

তথ্য ও ছবি সুত্র প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে দেয়া হয়েছে ।



সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৩৪
৭৩টি মন্তব্য ৭১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×