ভারতীয় বাধা ও গিরিসঙ্কটের ঘুর পথ ধরে
তিস্তা গর্বের সাথে উত্তরবঙ্গে গড়িয়ে পড়ে
ঘর্ষীত পাথর এবং খিলানের ছায়া মারিয়ে
সমভুমে ত্রি-স্রোতা তিস্তা ছিল যে প্রমত্তা ।
তিস্তা কুলে প্রস্ফুটিত উজ্জল মা ও মেয়ে
তাদের প্রিয় নদীকে দেখে পরম ভক্তি ভরে
ভাবে একসাথে একত্রিত হয়ে খড়স্রোতা তিস্তা
তাদেরই মত যেন একসাথে একত্রে না হয় মৃত।
ছবিসুত্র : ব্লগার খায়রুল আহসান
মনে বাজে শ্মশান ঘাটের তিস্তা বুড়ির মেলা
এখন সেথায় মৌসুমী জীবন মরণের খেলা
কিছু বিপন্ন মানবকুল মনোব্যথা রেখে দুরে
প্রচণ্ড কোন শক্তিকে ডাকে জীবন বাজি ধরে ।
ছবি সুত্র : প্রথম আলো
তাদের দুর্দশাপুর্ণ জীবনের সত্য ব্রত
প্রচন্ড জ্বালাময়ী আগুনের সন্ধান করে
স্রষ্টার কাছ ঢেলে দেয় একান্ত প্রার্থনা
বুকে নিয়ে ঘনিভুত মৃত্যুর যন্ত্রনা ।
চলার পথে দুহাত ভরে বয়ে আনা রত্নভান্ডার
গায়ে নিয়ে ক্ষীনধারা আর জেগে উঠা শুস্ক চর
তিস্তাও যেন শুরু করে জেগে উঠার ক্রন্দন
রত্নখচিত হস্তে যেন নেয় তুলে প্রলয়ের আগুন।
তিস্তা পাড়ের বিপন্ন জীব বৈচিত্রকুল বিয়োগান্ত শিকার
জীবনের আশায় মরণকে করতে পারে যেন জয় জয়কার
মরণাপন্ন তিস্তার কপালে পড়ে যেন সমৃদ্ধির মালা স্তুতি
তাকে জড়িয়ে থাকা মরনাপন্নরা পায় যেন জীবনের গতি।
----------------
লেখাটি সুপ্রিয় ব্লগার খায়রুল আহসানের মধ্যাহ্নে তুলা কিছু ছবি পোষ্টে থাকা
মা ও মেয়ে ফুলটি দেখে জেগে উঠা ভাব হতে অনুপ্রাণিত ।
ফুলের ছবিটিও সেখান হতে সংগৃহীত । কৃতজ্ঞতা স্বরূপ লেখাটি
তাঁর প্রতি উৎসর্গিত । উল্লেখ্য এমন কিছু ফুল আমি তিস্তা নদীর তীরে
ঝোপে জঙ্গলে ফুটে থাকতে দেখেছি ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৩১