তোলপার,ঘৃনা ও প্রতিবাদের ঢেউ জেগেছিল বিশ্ববাসীর মাঝে। সেই আবু গারীব কারাগারের দূশ্যবলিকেও হার মানিয়েছে বিএসএফের নগ্ন ও নিষ্টুরতা। সম্পতি এক বাংলাদেশী যুবককে উলঙ্গ করে বিএসএফ কর্তৃক নির্যাতন বর্তমানে সবচেয়ে ঘৃণ্য। আবুগারীব নির্যাতন করে দেয়ালের ভিতরে। আর বিএসএফ খোলা আকাশে নিচে বাংলাদেশী যুবক হাবিবুরকে উলঙ্গ করে নির্যাতন করে ঘৃন্যতম দৃষ্টান্ত দেখাল বিএসএফ। হাবিবুর জানায়,দীর্ঘ ৫ ঘন্টা অমানুষিক নির্যাতন করে আমাকে। যার প্রমান আজ সারা বিশ্ব ইন্টার,ইউটিউটব, মোবাইল মোবাইলে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তখন কি অপরাধ ছিল সেই বাংলাদেশী যুবক হাবিবুরের। অপরাধ এটাই ছিল যে কয়েকজন গরু ব্যবসায়ীর সঙ্গে হাবিবুর ভারতে প্রবেশ করে। গরু নিয়ে বাংলাদেশ আসার সময় মুর্শিদাবাদ এলাকায় ভারতীয় জওয়ানরা তাকে আটক মোবাইল ও টাকা দাবী করে। হাবিবুর মোবাইল ও টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেও চলে একের পর একের নির্যাতন। সেদিন একদল নেকড়ে উম্মাদ সশব্দ উল্লাসে তালে তাল মিলিয়ে একের পর একের নির্যাতন করেই চলছিল। আর সেই বিকট বীভৎস উল্লাসের নিচে চাপা পড়েছে বাংলাদেশী তরুন যুবক বিবস্ত্র হাবিবুরের করুন কান্না ও বাচার আকুতি। হাবিবুর সেদিন হায়াতে জোরে বেচে যায়। হাবিবুর যখন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে নিষ্ঠু বিএসএফরা মৃত ভেবে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় ফেলে চলে যায়। পরে কয়েকজন বাংলাদেশী তাকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন। এদিকে ২০১১ সালে ৭ জানুয়ারী কুয়াচ্ছন্না শীতের দিনে ওরা বধূবেশী কিশোরী ফেলানীকে নির্মম অত্যাচার করে হত্যা করেছিল। তার পর তার লাশ ঝুলিয়ে রাখে সীমান্তের কাটাতারের বেড়ায়। সেদিন দেখেছিল সারা বিশ্ববাসী। ফেলানীর পরই শিকার চাপাইনবাবগঞ্জের হাবিবুর। গত ৯ডিসেম্বর হাবিবুরকে উলঙ্গ করে যে কায়দায় নির্যাতন চালিয়ে ছিল হার মানিয়ে সেই জাহেলী যুগকেও। হিটলার নাস্তিক বাহীর কাছেও তা তুচ্ছ। বন্ধু ভারতবেশী শত্র“ ভারত থেকে বাংলাদেশ এটাই পেয়েছে ফেলানী,হাবিবুরের মত দরিদ্র মা-বাবার দরিদ্র ছেলে-মেয়ে নির্যাতন ও হত্যা উপহার। টার্গেট কোন ব্যক্তি হাবিব নয়। সীমান্তে সীমান্ত জনপদের অরক্ষিত অনিরাপদ কোটি বাংলাদেশী। তারা সবাই মৃত্যু ঝুকির মূখে। সুশূঙ্গল সুনিয়ন্ত্রিত ট্রেইন্ড বিএসএফ সদস্য জোর গলায় সাফাই দিয়েছে বাংলাদেশীদের সবক দিতেই এ নিষ্ঠুর জগন্য শাস্তি। যখন ফেলানী হত্যা ও হাবিবুর নির্যাতন কলংক নিয়ে সারা দুনিয়ায় তোলপাড় ঠিক তখনই ভারতীয় হাই কমিশনার একটি অনুষ্টানে বলেন,ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী ও সম্পর্ক ১শ বছরের মধ্যে সেরা। হাই কমিশনার বলেন সীমান্ত এলাকায় খুন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তারা সবাই ক্রিমিনাল। অর্থ্যা এখন নিস্পাপ কিশোরী ফেলানীই হোক কিংবা হতদ্ররিদ্র হাবিবুর এরা সবাই ক্রিমিনাল ভারতীয়দের মতে। এদেরকে গুলি করে হত্যা করা প্রয়োজন। আমার মনে বন্ধু ভারত থেকে বাংলাদেশ ট্রানজিত,টিপাইমুক এর মধ্যে না হওয়া,তিস্তার পানি বন্টা না পেলেও পেয়েছে সীমন্তা এলাকায় বাংলাদেশী যুবক গুলি করে হত্যা,বধুবেশী ফেলানী ও হাবিবুর নির্যাতন উপহার।
সেদিন ফেলানি ঝুলেনি. ঝুলেছিল বাংলাদেশ. সেদিন হাবিবুর উলঙ্গ হয়নি. হয়েছিল বাংলাদেশ
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
তোলপার,ঘৃনা ও প্রতিবাদের ঢেউ জেগেছিল বিশ্ববাসীর মাঝে। সেই আবু গারীব কারাগারের দূশ্যবলিকেও হার মানিয়েছে বিএসএফের নগ্ন ও নিষ্টুরতা। সম্পতি এক বাংলাদেশী যুবককে উলঙ্গ করে বিএসএফ কর্তৃক নির্যাতন বর্তমানে সবচেয়ে ঘৃণ্য। আবুগারীব নির্যাতন করে দেয়ালের ভিতরে। আর বিএসএফ খোলা আকাশে নিচে বাংলাদেশী যুবক হাবিবুরকে উলঙ্গ করে নির্যাতন করে ঘৃন্যতম দৃষ্টান্ত দেখাল বিএসএফ। হাবিবুর জানায়,দীর্ঘ ৫ ঘন্টা অমানুষিক নির্যাতন করে আমাকে। যার প্রমান আজ সারা বিশ্ব ইন্টার,ইউটিউটব, মোবাইল মোবাইলে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তখন কি অপরাধ ছিল সেই বাংলাদেশী যুবক হাবিবুরের। অপরাধ এটাই ছিল যে কয়েকজন গরু ব্যবসায়ীর সঙ্গে হাবিবুর ভারতে প্রবেশ করে। গরু নিয়ে বাংলাদেশ আসার সময় মুর্শিদাবাদ এলাকায় ভারতীয় জওয়ানরা তাকে আটক মোবাইল ও টাকা দাবী করে। হাবিবুর মোবাইল ও টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেও চলে একের পর একের নির্যাতন। সেদিন একদল নেকড়ে উম্মাদ সশব্দ উল্লাসে তালে তাল মিলিয়ে একের পর একের নির্যাতন করেই চলছিল। আর সেই বিকট বীভৎস উল্লাসের নিচে চাপা পড়েছে বাংলাদেশী তরুন যুবক বিবস্ত্র হাবিবুরের করুন কান্না ও বাচার আকুতি। হাবিবুর সেদিন হায়াতে জোরে বেচে যায়। হাবিবুর যখন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে নিষ্ঠু বিএসএফরা মৃত ভেবে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় ফেলে চলে যায়। পরে কয়েকজন বাংলাদেশী তাকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন। এদিকে ২০১১ সালে ৭ জানুয়ারী কুয়াচ্ছন্না শীতের দিনে ওরা বধূবেশী কিশোরী ফেলানীকে নির্মম অত্যাচার করে হত্যা করেছিল। তার পর তার লাশ ঝুলিয়ে রাখে সীমান্তের কাটাতারের বেড়ায়। সেদিন দেখেছিল সারা বিশ্ববাসী। ফেলানীর পরই শিকার চাপাইনবাবগঞ্জের হাবিবুর। গত ৯ডিসেম্বর হাবিবুরকে উলঙ্গ করে যে কায়দায় নির্যাতন চালিয়ে ছিল হার মানিয়ে সেই জাহেলী যুগকেও। হিটলার নাস্তিক বাহীর কাছেও তা তুচ্ছ। বন্ধু ভারতবেশী শত্র“ ভারত থেকে বাংলাদেশ এটাই পেয়েছে ফেলানী,হাবিবুরের মত দরিদ্র মা-বাবার দরিদ্র ছেলে-মেয়ে নির্যাতন ও হত্যা উপহার। টার্গেট কোন ব্যক্তি হাবিব নয়। সীমান্তে সীমান্ত জনপদের অরক্ষিত অনিরাপদ কোটি বাংলাদেশী। তারা সবাই মৃত্যু ঝুকির মূখে। সুশূঙ্গল সুনিয়ন্ত্রিত ট্রেইন্ড বিএসএফ সদস্য জোর গলায় সাফাই দিয়েছে বাংলাদেশীদের সবক দিতেই এ নিষ্ঠুর জগন্য শাস্তি। যখন ফেলানী হত্যা ও হাবিবুর নির্যাতন কলংক নিয়ে সারা দুনিয়ায় তোলপাড় ঠিক তখনই ভারতীয় হাই কমিশনার একটি অনুষ্টানে বলেন,ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী ও সম্পর্ক ১শ বছরের মধ্যে সেরা। হাই কমিশনার বলেন সীমান্ত এলাকায় খুন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তারা সবাই ক্রিমিনাল। অর্থ্যা এখন নিস্পাপ কিশোরী ফেলানীই হোক কিংবা হতদ্ররিদ্র হাবিবুর এরা সবাই ক্রিমিনাল ভারতীয়দের মতে। এদেরকে গুলি করে হত্যা করা প্রয়োজন। আমার মনে বন্ধু ভারত থেকে বাংলাদেশ ট্রানজিত,টিপাইমুক এর মধ্যে না হওয়া,তিস্তার পানি বন্টা না পেলেও পেয়েছে সীমন্তা এলাকায় বাংলাদেশী যুবক গুলি করে হত্যা,বধুবেশী ফেলানী ও হাবিবুর নির্যাতন উপহার।
৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট
পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:
وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন
মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)
ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)
০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন
আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।
ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।