ইদানিং ফেসবুকে আমি জনপ্রিয় হয়ে উঠছি....... আমৃার নামে গ্রুপও খোলা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত হিটলারীয় একটি গ্রুপ থেকে। ওখানে আমি আমৃর ব্যকিতগত মতামত দিয়েছিলাম, যে লোকটা লাইব্রেরি ধ্বংস করে, বুদ্ধিজীবী নিপীড়ন করে, শিক্ষাব্যবস্থা ধসিয়ে দেয়, রক্তের বিশুদ্ধতার নামে অন্য ধর্মের মানুষকে হত্যা করতে পারে সে গ্রেট লিডার নয় আমার কাছে অন্তত। আর গ্রুপের একজন তো বলেই বসলো হিটলার কোন গণহত্যা করে নাই (তার কাছে আবার নাকি হিটলার বিষয়ক ২৭ হাজার বই আছে তার ব্যক্তিগত লাইব্রেরিতে)। পরিশেষে লিখেছিলাম মতের অমিল থাকতেই পারে, কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে এটা বলা হয়নি...... এর উত্তরে বাবা মা সংক্রান্ত কিছু কটুবাক্য দিয়ে আমার ফেসবুক ইনবক্স এ বাণী নায়িল হলো কিছু। আমি নাকি ইহুদি দালাল। ব্লা ব্লা...... সে আমাকে প্রশ্ন করেছিলো যদি পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা করতে বলা হয় বাংলাদেশ থেকে আমার অবস্থান কী হবে। আমি বললাম আমি বললাম, যদি আপনি মৌলিক অধিকার না দিতে পারেন ভূমির আদিতম জাতিগোষ্ঠীকে, তাহলে আপনার অধিকার নেই শাসনের নামে শোষণ করার। এ ব্যাপারে আমি আহমদ ছফা ও হুমায়ূন আজাদ স্যারের অনুসারী। আমার এ বক্তব্যের পর ফেসবুকে একটি গ্রুপ খোলা হয় আমার বিরুদ্ধে..... ওখানে প্রথমে বলা হয় আমি ইহুদি দালাল.... এবং আমার বিচার দাবি করা হয়.... সমস্যা নেই। কিন্তু এই ২০০৮ এ এসে হিটলারের দালালি করা, তার পক্ষে সাফাই গাওয়া, আমার কাছে মনে হয়েছে নব্য নাজিবাদের উদ্ভব। আর বক্তব্য বিকৃত করে গ্রুপ খোলা এবং গালাগালি করা টা এখনকার তরুণদের সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়েরই পরিচায়ক। যেখানে আমি শুরুতেই বলে দিয়েছি মতের অমিল হতে পারে। ফান্ডামেন্টালিজম এর চূড়ান্ত......
যে হিটলার কে জার্মানরা ভুলতে চায়, আমরা তার গোলামি করছি, হিটলারকে সমর্থন করলে সমর্থন করা হয় ৭১ এর গণহত্যাকে। যা আমাদের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করবার নামান্তর।