সম্রাট অশোক আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল নাম। ভূ- ভারতের গাদাখানিক রাজ্যের হাজারখানেক নৃপতিদের মধ্যে ব্যতিক্রম। প্রথমজীবন আর কলিঙ্গযুদ্ধের পরবর্তী জীবনের বৈপরীত্য যতোটা দায়ী তার চাইতে বেশি তার বৌদ্ধ ধর্মের প্রসারের জন্য। তবে আজকের এ লেখার পটভূমি ভিন্ন। সম্রাট অশোক আর তাঁর নয় অজানা মানব। কারো কাছে ফ্যান্টাসি মনে হতে পারে, কারো কাছে মিথ, কারো কাছে সত্যিই ভাববার মতো। আমার কাছে মিথ আর সত্যের মাঝামাঝি কিছু।
সম্রাট অশোক বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা নেয়ার পরপরই গঠন করলেন ৯ সদস্যের একটি দল- পৃথিবীর ইতিহাসের সবচাইতে গোপন। যাদের দায়িত্ব ছিলো জ্ঞান সংগ্রহ করে তা সংরক্ষণ করা। তাও এমন সব জ্ঞান যা সাধারণ মানুষের কাছে বা ভুল মানুষের হাতে গেলে তা হতে পারে মানবসভ্যতার জন্য হুমকি। নয়জনে লিখলেন নয়টি বই। যাতে কুক্ষিগত করা হলো কিছু বিদ্যা।
প্রপাগান্ডা ও সাইকোলজিক্যাল ওয়ারফেয়ার
ফিজিওলজি-
মাইক্রোবায়োলজি
আলকেমি
কমিউনিকেশন
গ্র্যাভিটেশন
কসমোলজি
লাইট
সোশিওলোজি
ভাবতে কী অবাক লাগে না। খ্রি.পূ ২৭৮ সালে এ ঘটনা ঘটেছিলো।
ধারণা করা হয় এ সোসাইটির লোকেরা অর্থাৎ এ নয়জন মানুষ অমরত্ব লাভ করেছিলেন। আর মাঝে মাঝে তারা আসেন আমাদের মাঝে মনূষ্যত্বের খাতিরে মানবতার স্বার্থে। বলা হয়ে থাকে পোপ সিলভেস্টার ২য়-এর সাথে তাদের যোগাযোগ ছিলো। কলেরা ভ্যাকসিন আবিষ্কারেও নাকি ছিলো এ নয়জনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা। কন্সপাইরেসি থিওরিস্ট ও থিওসফিস্ট রা বিশ্বাস করেন- এ নয়জন মানবতার স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে। জগদীশ চন্দ্র বসুও নাকি সরাসরি সহযোহগতা পেয়েছিলেন তাদের- রেডিও আবিষ্কারের সময়ে।
এ ধরণের পোস্ট আরো করা হবে। সবুরে মেওয়া ফলে। আর যাদের আমার লেখাটি পড়ে মনে হবে আমি ঠিক করছি না, তারা ভবিষ্যতে আর না পড়লেই হলো। মুক্তবুদ্ধি আর মুক্তচিন্তার আকাশটা আরো বড় হোক।