ভোলা সদরের কাচিয়া ভবানীপুর এলাকায় ১৬ বছর পর মমেলা খাতুন নামের একজনের লাশ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। মেঘনার ভাঙনকবলিত এলাকা থেকে ওই লাশ উদ্ধার করে আবার দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শত শত নারী পুরুষ ভির জমাচ্ছেন নতুন কবরের কাছে।
মমেলা খাতুনের পুত্র কালাম মিস্ত্রি জানান, কাচিয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে তাদের বাড়ি থাকা অবস্থায় তার মা মমেলা খাতুন ১৯৯৪ সালে মারা যান। বাড়ির পাশেই তাকে দাফন করা হয়। সম্প্রতি মেঘনার তীব্র ভাঙনে ওই বাড়ির বেশীর ভাগ অংশ বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের কারণে তারা নতুন বাড়ি করেছেন প্রায় চার কিলোমিটার দূরে পারনগঞ্জ গুপ্তমুন্সী গ্রামে।
কবরটি যখন ভাঙন ঝুকিতে সে অবস্থা গত ৫ ই জুন তিনি রাতে স্বপ্ন দেখেন, তার মা তাকে বলেছেন, তিনি যেখানে আছেন সেখানে তিনি নিরাপদ নন। তাকে যেন সেখান থেকে উঠিয়ে বর্তমান বাড়িতে এনে নতুন করে কবর দেয়া হয়। একই রাতে একই স্বপ্ন দেখেন কালাম মিস্ত্রির পুত্র মনির।
সে অনুযায়ী গত ৬ ই জুন কালাম এবং মনির স্থানীয় লোকজন নিয়ে কবরের কাছে যান। কিন্তু প্রচন্ড বৃষ্টির কারণে তারা ফিরে আসেন।
গত ৭ ই জুন ওই কবরের কিছু অংশ মেঘনায় ভেঙে গেলে অক্ষত অবস্থায় মমেলা খাতুনের লাশ দেখা যায়।
স্থানীয় লোকজন কালাম মিস্ত্রীকে খবর দিলে তারা ৭ই জুন রাতে লোকজন নিয়ে মমেলা খাতুনের লাশ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পারনগঞ্জ গুপ্তমুন্সী এলাকায় এনে আবার দাফন করেন।
স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনজরুল ইসলাম জানান, মমেলা খাতুনের লাশটি সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছে, এমনকি কাফনের কাপড় এবং বাশের চালিগুলোও নতুন অবস্থায় রয়েছে।
(দৈনিক নয়া দিগন্ত, ৯ ই জুন, ২০১০ ইং)
আশা করি নাস্তিক ব্লগার ভাইয়েরাও কিছু বলবেন। এর একটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেবেন। তারা তো মনে করেন নাস্তিক মানেই বিজ্ঞানী। দেখি কি ব্যাখ্যা দেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



