ঘর হতে শুধু দুইপা ফেলিয়া.....
কবির কথায় সাহস পেয়ে দেশ ভ্রমনে নেমে পড়েছি! লেখাপড়ার নামে যদিও ঠন-ঠোনা....কিন্তু ফর্ম তোলা শেষ চৌদ্দ ভার্সিটিতেই!!
যশোর, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা,চট্টগ্রাম....বাদ যাবে না একটি শিশু...থুড়ি, বিশ্ববিদ্যালয়ও!!
"উক্ত কর্মসূচির আলোকে" (!) গত একুশে অক্টোবর ছিল যশোরে পরীক্ষা,সে উদ্দেশ্যে ২০ তারিখ সকাল ১০ টায় যাত্রা হলো শুরু.....
#এ পথে (ঢাকা-খুলনা) যাবার অভিজ্ঞতা ছিল না, যা হলো তা ভয়াবহ!! যেভাবে বাস চলে তাতে দ্বিধায় পরে যাই, হাই-ওয়ে দিয়া যাচ্ছি, নাকি রানওয়ে!!
#পথে দেখা অসংখ্য জলাশয়ের কয়েকটি.....
#সারাজীবন শুনে এসেছি ফেরিঘাটের জ্যামের কথা, হলো অভিজ্ঞতা....যাবার পথে ঘন্টাখানেক আর আসবার পথে ঘন্টা দুয়েক........আমার জীবন হতে উধাও!!
তো সেখানেই দেখা মিলল, "ডিজিটাল আখের রস মেশিনের!!"
#শেষ পর্যন্ত উঠলাম ফেরিতে, জ্ঞান হবার পরে প্রথম বারের মত!! সেখান থেকে নেওয়া কিছু ছবি...
#দৃষ্টিতে পদ্মা....
#পথিমধ্যে তোলা আরো কিছু ছবি
লসিমন (সম্পূর্ণ জাপানি প্রযুক্তিতে তৈরী!!)
আলো আসবেই! (তা আসতে পারে,মাগার ডাটার বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না!)
চলন্ত বাসে বসে দুটো গাছে মাঝ দিয়ে তোলা ছবিখানা পছন্দ হয়েছে
#অবশেষে পরীক্ষা হলে, সিট পড়েছিল যশোর এম.এম কলেজে,সেখানে...
এম.এম কলেজ
যশোরের টিকটিকিগুলোর যা সাইজ, মাশআল্লাহ! যেন গডজিলা!
পরীক্ষা হলে চড়ুই বাসা!
পরীক্ষার পর-পরই শুরু হলো ঝুম বৃষ্টি.....
#হাতে সময় থাকায় ভাবলাম ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে আসি.....নতুন হচ্ছে সব কিছু সেখানে.....
এমনকি দরজাও নেই!!
#নবীন বরণের জিনিস দেখে নার্সারী ক্লাসের কথা মনে পড়ে গেল!
#H2+O2 নাকি H2O!! তাও লিখেছে ACCE এর ছাত্ররা!!
#কম্পুটার দেখে তো পুরাই মাথা নষ্ট!!
#অবশেষে ফেরা....
পুনশ্চ ১: ছবির মান এত খারাপ হবার জন্য দুঃখিত, নকিয়া ৫২৩৩ দিয়ে তোলা, এর চাইতে ভালো আসা করতে পারছিলাম না!
পুনশ্চ ২: পোস্টের সাইজ এত অতিকায় হলো কেন!!
পুনশ্চ ৩: পোস্টের আইডিয়া "নাআমি" আপুর কাছে থেকে ধার করা, তাকে ধন্যবাদ
পুনশ্চ ৪: সবে তো শুরু!! এখনো রাজশাহী, সিলেট, খুলনা ভ্রমন তো বাকিই !!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


