ওর আজ অফিস নেই তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে আর ওকে ডাকিনি। আমি নিজেই অফিসে আসার জন্য প্রস্তুত হলাম। মা লাঞ্চ বঙ্টা সাজিয়ে দিলে তা নিয়ে ও ঘুম থেকে উঠলে আমাকে ফোন করতে বলে বেরিয়ে গেলাম। রাস্তার কিছুদুর এগোতেই জুতার ভিতর কিছু একটা অনুভব করলাম, মনে হল ইট, পাথরের টুকরা হবে হয়তো তাই এগিয়ে চললাম এই ভেবে যে অফিসে গিয়ে বের করে ফেলব। পুরো রাস্তাতেই একই রকম যন্ত্রণা।
অফিসে আসতে না আসতেই এতো ব্যস্তাতার মধ্যে জড়িয়ে পড়লাম যে, মোজার ভিতর পাথর টুকরোর কথা বেমালুম ভুলে গেলাম। যেহেতু শুক্রুবার সেহেুতু জুম'আর নামাজের জন্য প্রস্তুত হতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম মোজার ভিতর পাথরের টুকুরার রহস্য। কি বলব আর ওটা পাথরের টুকরা ছিলনা ছিল জলজ্যালন্ত একটা তেলাপোকা। সারা রাস্তার চাপাচাপিতে ওটা মরে আমার পায়ে লেপ্টে একাকার (লিখতে গিয়েও তো ............................) থাক আর বললামনা বুঝে নিবেন বাকী অবস্থাটা। ভাগ্যিস ওই সময় আমার সামনে কোন কায়েন্ট ছিলনা। কোন রকমে মোজা খুলে ওজু করে আসতে না আসতেই ছোট ভাইয়ের মোবাইল থেকে ফোন । বলুন !! কি বলব ওকে। না আমি ওকে কিছুই বলতে পারিনি। ওই একগাদা কিছু বলে গেল। বলল ভাইয়া তোর রাগ ভাঙ্গানোর জন্য আজ ভোর বেলা উঠে একটা তেলাপোকা সুতা দিয়ে তোর জুতার ভিতর বেঁধে রেখেছিলাম। তারপর ও যা যা বলল শুধু শুনে গেলাম। শেষে বলল তোর রাগ ভেঙ্গেছে তো!!!
ফোন রেখে ভাবলাম ও কি তাহলে আমাকে আগের মতই বড্ড বেশী ভালবাসে ?
কিন্তু তেলাপোকার (মৃত) কথা মনে হতেই এক তিক্ত এবং মজার অভিজ্ঞতা নিজের জীবনের স্মৃতির ভান্ডারে জমা করলাম।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



