somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরা কি পারব আমাদের ঢাকা শহরকে ক্লিন রাখতে?

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রচন্ড পানি পিপাসা লাগল গাবতলি বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামার পর। একটা পানির বোতল কিনে নিলাম। এক চুমুকে পানি খাওয়া শেষ। রাস্তা ঘাট একদম ফাঁকা, পুলিশের খুব তৎপরতা চোখে পড়ল। জানতে পারলাম এই পথে প্রধানমন্ত্রী যাবেন। রাস্তায় কোন জনগণকে চলাচল করতে দিচ্ছে না পুলিশ বাহিনী। হাতে পানি শূণ্য একটা বোতল। রাস্তার উপর ছুড়ে মারতে গিয়ে ভাবলাম এই আমিই দেশের বাইরে গেলে বোতলটা হাতে করে একটু দুরের কোন পকেট ডাষ্টবিনে ফেলে দেই। তাহলে আমি নিজের দেশে সেই কাজটা করি না কেন? উত্তরটাও পেয়ে গেলাম সংগে সংগে। আমাদের দেশে রাস্তার পাশে পকেট ডাষ্টবিন চোখে পড়ে না। এ ব্যপারে কারো কোন উদ্যোগ নাই। কিছু দিন আগে আমাদের মেয়র সাহেবদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম। জানিনা তাদের চোখে পড়েছে কি না। আজ যদি হাতের নাগালের ভিতর একটা পকেট ডাষ্টবিন থাকত তাহলে বোতলটা খাম্বার গোড়ায় ফেলে রাখতাম না। আজ যদি একটা সার্কুলার জারি হত যে, প্রত্যেক দোকনদার এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে তাদের দোকান বা অফিসের সামনে রাস্তার কিনারে একটি করে পকেট ডাষ্টবিন বাধ্যতা মুলক রাখতে হবে। তাহলে মানুষ রাস্তাঘানে ছেড়া কাগজের টুকরা ফেতল না। থুথু থেকে শুরু করে নিঃশেষ হয়ে যাওয়া সিগারেটের টুকরাটাও মানুষ ডাষ্টবিনে ছুড়ে ফেলে দেবার অভ্যাস করত। আপসোস আমাদের নায়ক নায়িকা থেকে শুরু করে কিছু ক্লিন সিটি অভিজানের ধারক বাহককে দেখা যায় মিডিয়াকে খবর দিয়ে হাতে ঝাড়ু নিয়ে সংসদের সামনে রাস্তা কুড়াতে। আসলে এগুলো কোন সমাধান নয়, সমাধান করতে হবে সিটি কর্পোরেশনকে। তাদের বাস্তব ভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে কিছু সয়ংক্রিয় গাড়ি আমদানী করতে হবে যে গাড়িগুলো রাস্তার সকল ধুলা এবং বালু পরিষ্কার করে ফেলবে চোখের পলকে। দ্বিতীয়ত ডাষ্টবিন এবং তৃতীয়ত টিভিতে প্রচারণা। সামাজিক প্রচার মাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করে আমারা জন সচেতনতা বাড়িয়ে তুলতে পারি। সেই সংগে আইন অমান্যকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারি।



সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৫
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×