
ইসরাইলকে মধ্যপ্রাচ্যের তথাকথিত লায়ন বল হতো। আমেরিকা, বৃটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি সহ সকল পশ্চিমা দেশ নিঃশর্তভাবে ইসরাইলকে আর্থিক ও সামরিক সাহায্য দেয়। সেই সংগে ইসরাইলে তারা গড়ে তুলেছে শতশত শিল্পকারখানা সেখানে প্রযুক্তিগত সহায়তা অকল্পনীয় যা মুসলিম বিশ্বের দেশ কল্পনাও করতে পারবেনা। সেই সুযোগে ইসরাইলও অকাতরে শিক্ষা গবেষণা ব্যয় করেছে তাদের দেওয়া অর্থ; ইসরাইল তার সুফলও ভোগ করছে।
অপর দিকে মধ্যপ্রােচ্যের রাজা বাদশারা পেট্রোডলারে উন্মাদের মতো বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে দিয়েছে তাদের নেই কোন শিক্ষাদীক্ষা না আছে কোন গবেষণা কিম্বা না আছে কোন বিজ্ঞানী। রাজা বাদশাদের দেশে অপার সম্ভাবনা ছিল শিক্ষাদীক্ষার উন্নয়ন, গবেষণ ও বিজ্ঞানী তৈরীর কিন্তু তা না করে আমেরিকায় বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার জমা করছে। উহারা পশ্চিমা দেশে ও ভারতে এসে মহিলা নিয়ে ফস্টিনস্টি করে ডলারের অপচয় করছে, গন্ডায় গন্ডায় বিয়ে করছে ও ডজনে ডজনে সন্তান পয়দা করছে।
এরমাঝে থেকে ইরান ব্যতিক্রম; দীর্ঘ ৪৫ বছরে কঠিন থেকে কঠিনতর অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা যখন প্রাণ যায় যায় অবস্থা পিঠ যখন দেয়ালে যখন আর পিছে যাওয়ার কোন অবস্থা নেই তখন তারা বুঝতে পারে সোজা হয়ে দাড়াতে হলে নিজের পায়ে জোর লাগবে তবেই দাড়াতে পারবে। এই চিন্তা ধারায় ইরানকে এনে দেয় অভূতপূর্ব সাফল্যের দুয়ার। এখন কারো সাহায্য ছাড়াই ইরান নিজেকে জ্ঞান বিজ্ঞানে সুউচ্চ শিখড়ে নিয়ে গেছে; ন্যানোটেকনোলজি থেকে শুরু করে রকেট টেকনোলজি সব ক্ষেত্রেই আজ ইরানের সাফল্যের পদচারণা। সুতরাং বলা যেতেই পারে মধ্যপ্রাচ্যের রাইজিং লায়ন ইরান।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




