
একজন ওবায়দুল কাদের যিনি একসময় বাংলার বাণীতে সাংবাদিকতা করতেন। দুবেলা পেটপুরে খাওয়ার টাকাও থাকতো না তার কাছে, তিনি ঘুমাতেন বাংলার বাণী পত্রিকা অফিসের ফ্লোরে নিউজপ্রিন্ট বিছিয়ে। পরবর্তীতে যখন বাসাভাড়া নেন তখন দিতে পাররতেন না বাড়ি ভাড়ার টাকা ফলে দুবার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয়েছেন বাড়ির মালিক কতৃক। ততকালীন সময়ে যিনি একটি কাপড় শুকিয়ে আবার পরতেন অথবা একটি শার্ট ৩-৪ দিন করে পরতেন। সেই ওবায়দুল কাদেরের ছিলোনা কোনো বৈধ আয়। তিনি করতেন না কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য। যিনি বাংলার বাণীতে সাংবাদিকতা করতেন এবং ইহাই ছিল তার জীবন যাপনের একমাত্র অবলম্বন।
অতপর সেই ওবায়দুল কাদের যিনি ফুলটাইম যুক্ত হন আওয়ামী রাজনীতিতে। তারপরের গল্প কমবেশি সবারই জানা। রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত ওবা কাদের নিজেই বলেছিলেন, ১০ লাখ টাকা দামের নিচে কোনো ঘড়ি তিনি পরেননা, স্যুটের দাম ৩৮ লাখ টাকা।
একবার সগর্বে ওবা কাদের ঘড়ি দেখিয়ে বলেন, এই ঘড়ির দাম ৭৫ লাখ টাকা। তার চশমার ফ্রেম দেখিয়ে বলেন, এই চশমার ফ্রেম ১৫ লাখ টাকা এবং স্যুট দেখিয়ে বলেন, এই স্যুট কেনা হয়েছে ২০ হাজার ডলার দিয়ে।
ওবায়দুল কাদের নারীর সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চ্যাটিং করতেন। কথিত আছে সুন্দরী নারী পেলে যেকোন কাজ বাগিয়ে নেয়া যেত খুব সহজেই। তিনি যখন বিভিন্ন কাজে বিদেশ যেতেন তখন তার ফ্লাইটের আগে-পরে অনেক নায়িকা যেতেন।
ওবায়দুল কাদেরের এইসব বিলাসিতা করার অর্থের উৎস কী? এই প্রশ্নের কোন উত্তর নেই!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




