
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন এখন সময়ের দাবী। অনেকেই আমার সংগে দ্বিমত পোষন করবেন। করাটাই স্বাভাবিক। কারণ দীর্ঘদিনে নির্বাচন ব্যবস্থা বাদ দিয়ে নতুন নিয়ম বড় রাজনৈতিক দল মানতে চাবেনা। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ হলো দুটি বড় রাজনৈতিক দল এবং পরিবার কেন্দ্রীক। ছোট ছোট দলগুলো তাদের কাছে কোন পাত্তাই পাচ্ছেনা। বর্তমানে আওয়ামী রাজনীতি বাংলাদেশে অতীত তাই বিএনপিই হচ্ছে একমাত্র বড় রাজনৈতিক দল তারা কোন ভাবে পিআর পদ্ধতি মানতে চাবেনা। বিএনপি মানতে না চাইলেও জোড় করে হলেও মানাতে হবে। তা না হলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় স্বৈরাচারী মনোভাব তৈরী হয়; জনগণকে বিবেচনায় রাখেনা এবং ফেসিবাদ মনোভাব গড়ে উঠবে। যখন সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহনে পার্লামেন্ট অলংকৃত হবে তখন একক ভাবে কিম্বা বিধি বহির্ভুত ভাবে কোন সিদ্ধান্ত নিতে সরকারকে অন্ততপক্ষে দুবার চিন্তা করতে হবে।
ধরা যাক, বর্তমান পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনে একটি আসনে মোট চারজন প্রার্থী চারটি দল থেকে নির্বাচন করছে। এই নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮৫ শতাংশ। এর মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তিনজন প্রার্থীই ২০ শতাংশ করে ভোট পেল। আর চতুর্থ প্রার্থী পেলো ২৫ শতাংশ ভোট। বর্তমান পদ্ধতি অনুযায়ী চতুর্থ প্রার্থীই এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন। আর ওই তিনটি দলের ৬০ শতাংশ ভোট তেমন কোন কাজে আসছে না। একই ভাবে সারাদেশের ৩০০ আসনে যদি একই হারে ভোট পেয়ে চতুর্থ দলটির প্রার্থীরা জয়লাভ করে, তাহলে মাত্র ২৫ শতাংশ ভোট নিয়ে তারা সরকার গঠনসহ সংসদে একচ্ছত্রভাবে আধিপত্য করবে। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মতামতে কোন মূল্যই থাকছেনা।
কিছু রাজনৈতিক দল সারা দেশে গড়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ভোট পেলেও সংসদে তাদের কোন প্রতিনিধিত্ব থাকে না আসনভিত্তিক একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না হওয়ার কারণে। এই পদ্ধতিতে ভোট হলে সে সব দলের সংসদে প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
এখন সময় এসেছে ভাবার। আসুন ভাবি, ভাবতে শিখি।
এবার একটি হুমকি শুনি; তাদেরকে চিরতরে বিতাড়িত করি।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




