জামাল ভাস্করের একটি পোস্ট স্টিকি হয়ে আছে। সেই পোস্টের মন্তব্য হিসেবে এই পোস্টটি করা উচিত ছিল। কিন্তু আমার ধারণা তাতে করে এই প্রস্তাব অনেক মন্তব্যের ভীড়ে হারিয়ে যাবে। তাই আলাদা পোস্ট।
আমরা যারা ব্লগে লিখি, তারা মূলত সামান্য হলেও তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা রাখি। অনেক ব্লগার আছেন যারা আইটি বিশেষজ্ঞ। আমি মনে করি, আমাদের দাবি তুলে ধরতে সবচেয়ে ভাল মাধ্যম হতে পারে মাল্টিমিডিয়া সিডি।
টেক্সট, অডিও, ভিডিও, অনলাইন লিংক, অফলাইন লিংক ইত্যাদি মিলে একটি ইন্টারএকটিভ মাল্টিমিডিয়া সিডি প্রকাশ করা যেতে পারে যাতে যুদ্ধাপরাধীদের প্রোফাইল থেকে তালিকা, তাদের অপরাধের সপক্ষে সকল তথ্য - যেমন, পত্রিকার কাটিং, অডিও, ভিডিও, টেক্সট ইত্যাদি এমনভাবে সাজানো থাকবে যেন যে কেউ বুঝতে পারে তারা কত ভয়ানক কুকর্ম করেছে।
আমি অনেক অনেক শিক্ষামূলক মাল্টিমিডিয়া সিডি দেখেছি, কোন একটা কঠিন বিষয় বুঝিয়ে বলতে মাল্টি মিডিয়ার চেয়ে বড় জিনিস হতে পারে না। সেই তুলনায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি তো অত্যন্ত সহজ একটি বিষয়। তবু ইতিহাস, আইন, ষড়যন্ত্র, রাজনীতি, কুটনীতি, পররাষ্ট্রনীতি ইত্যাদির জটিল প্যাচ আছে এই বিষয়টার সাথে। সুতরাং অনেকেরই এই বিষয়টা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা নাই। তাদের জানানো ও বোঝানোর জন্য মাল্টিমিডিয়া হতে পারে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।
তারপর এই সিডিগুলো আমরা প্রত্যেকে কপি করে বিলাতে শুরু করব। একটা সিডি কপি করতে বড় জোর ১২ টাকা খরচ হবে। হাজার হাজার সিডি বিলি করলে যারা দেখবে তারা সবাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীর যৌক্তিকতা বুঝতে পারবে এবং খুব দ্রুত এই দাবির প্রতি জনসমর্থন বেড়ে যাবে।
আমাদের ব্লগারদের মধ্যে যারা আইটি বিশেষজ্ঞ আছেন তারা যদি শ্রম দেন একটি মাল্টি মিডিয়া সিডি তৈরি করা কোন ব্যাপারই না।
আরেকটি বিষয় করা যেতে পারে। যুদ্ধাপরাধীদের কুকর্মের ইতিহাস নিয়ে কম্পিউটার গেম তৈরি করা যেতে পারে। তার নাম হতে পারে কিল রাজাকার'। এই ভিডিও গেম খেলে খেলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম জানতে পারবে রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের কুকর্মের ইতিহাস। তারাও এই দাবির প্রতি সমর্থন জানাবে।
এই ডিজিটাল যুগে জনমত গঠনে ডিজিটাল প্রযুক্তির কোন বিকল্প নেই। আমি আইটি বিশেষজ্ঞ নই বলে হয়তো আরও অনেক কৌশল জানি না। যারা জানেন, তারা শেয়ার করুন। আমার ধারণা আমরা ব্যাপক জনমত গঠন করতে পারব।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৫০