somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শীতের মেলা : অতীত ও বর্তমান

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মেলা সচল জীবন্ত ঐতিহ্য। মেলা মানেই মিলন, বন্ধন, উৎসব। বাংলায় ‘মেলা’ শব্দটি বহুত্ববাচক। বহু কিংবা অনেককে নির্দেশ করে এই শব্দটি। বিশেষ কোন উদ্দেশে অনেক মানুষের মিলনের, বিভিন্ন দ্রব্যের বিকিকিনির স্থানই সাধারণভাবে মেলা হিসেবে পরিচিত আমাদের কাছে। মানুষে মানুষে মিলনের, সংস্কৃতিতে সংস্কৃতিতে মিথষ্ক্রিয়ার, শ্রেণীতে শ্রেণীতে বিভেদ দূর করার অবারিত প্রান্তর হচ্ছে মেলা। ধর্মীয় কারণে, ঋতুভিত্তিক কিংবা কোন ব্যক্তি বা ঘটনার স্মরণ উপলে ইত্যাদি নানা কারণে মেলার উদ্ভব ঘটেছে বলে নানা ধরণের মেলা দেখা যায়। তবে চরিত্রগত দিক থেকে সব মেলা প্রায় একই রকম। অনেক মানুষের মিলন, নানা ধরণের দ্রব্যের বিকিকিনি, এই সাধারণ রূপকল্পটি এক অর্থে মেলার একটি সার্বজনীন চরিত্র দাঁড় করিয়েছে। একটি জাতির বা গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র প্রকাশের, লালন পালনের বা চর্চার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র এটি। কোন একটি জাতির বা গোষ্ঠীর বৈচিত্রপূর্ণ সাংস্কৃতিক উপাদানগুলোর বহিঃপ্রকাশ হয়ে থাকে মেলার মাধ্যমে। এর বিবিধ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, বিপনন কেন্দ্র হিসেবে এটি স্থানীয় বিভিন্ন শিল্প মাধ্যমের বিলুপ্তি রোধ করে।



প্রতিটি ঋতুরই রয়েছে আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য। শীত ঋতুও এর ব্যতিক্রম নয়। মানুষের মনের উপর ঋতু এবং প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ গভীরভাবে ক্রিয়া করে বলেই হয়তো মেলার সাথে ঋতুর সংযোগ অত্যন্ত নিবিড় এবং জোড়ালো। ষড়ঋতুর এই দেশে অন্যান্য ঋতুর চেয়ে শীত খানিকটা এগিয়ে আছে মেলা আয়োজনের উৎকৃষ্ট সময় হিসেবে। এর প্রমাণ মেলে মোকারম হোসেনের বাংলাদেশের মেলা বইয়ে। এই বইটিতে শুধুমাত্র পৌষ ও মাঘ মাসে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ২৫৫টি মেলার উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে পৌষ মাসে ১০৭টি এবং মাঘ মাসে অনুষ্ঠিত হয় ১৪৮টি মেলা। বাগেরহাটের খাঞ্জেলীর মেলা, মৌলভীবাজারের মাছের মেলা, মাগুড়ার ঘোড় দৌড়ের মেলা, চট্টগ্রামের মাইজভাণ্ডারীর মেলা, বগুড়ার পোড়াদহের মাছের মেলা ইত্যাদি বড় বড় মেলাগুলো মোটামুটি সবই শীত কালে অনুষ্ঠিত হয়। এর কারণ কী?



কৃষি সংস্কৃতিতে ফসল রোপন এবং ফসল উত্তোলন- এই ঘটনা দুটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সনাতনী সংস্কৃতির ধারাবাহিকতায় এই দুটি উপলকে সামনে রেখে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি ও সংস্কৃতি নির্ভর বাংলার মানুষ উৎসব করে, আনন্দে মাতে। অগ্রহায়ণ ফসল উত্তোলনের মাস। মূলত সারা অগ্রহায়ণ মাস তে থেকে ফসল তোলা হয় বলে এই সময় কৃষকের ব্যস্ততা থাকে বেশি। শীতের শুরুতে জমির ফসল ঘরে উঠলে কৃষকের অখণ্ড অবসর। সারা বছরের কান্তি ঝেড়ে একটু হাফ ছেড়ে, হাত-পা ছেড়ে নড়েচড়ে বসা যায় এ সময়। এই অবসর সময়ে গ্রামীণ জনপদগুলো জেগে ওঠে নিজস্ব সংস্কৃতির বিভিন্ন অনুষঙ্গ যেমন- গান, নাটক, খেলা ইত্যাদি চর্চার ভেতর দিয়ে। অর্থাৎ উৎসবের একটা স্বতস্ফূর্ত আয়োজন চোখে পরে এসময়। এগুলো আয়োজনের জন্য যে বিশাল খোলা মাঠ দরকার হয়, তাও এইসময় সহজলভ্য থাকে মাঠে ফসল না থাকার জন্য। ফলে ঘোড় দৌড়ের আয়োজন, পুতুল নাচ কিংবা যাত্রার আয়োজন করা সহজ হয়ে যায়; যেগুলো গ্রামীণ সমাজে উৎসবের অত্যন্ত জনপ্রিয় অনুষঙ্গ। বছরের অন্যান্য সময় মাঠ ভর্তি ফসল থাকে বলে এগুলো আয়োজন করা সম্ভব হয় না। এসময় কৃষকের হাতে ফসল বিক্রি করা কাঁচা টাকারও অভাব থাকে না। হাতে টাকা থাকে বলে মেলার আয়োজন হয় স্বাভাবিক স্বতস্ফূর্ততায়। বিশাল খোলা মাঠ, হাতে কাঁচা টাকা আর সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠীর অবসর ও সুকুমারবৃত্তির চর্চা- আবহমান কাল ধরে গ্রামগঞ্জে শীতকালে মেলা বসার এই সরল সমীকরণ ধারণা করা যায় বাংলার আদি ইতিহাসের সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে। তাছাড়া উৎসবে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ শীতকালে নেই বললেই চলে। যেটুকু আছে তাও খুব ণস্থায়ী। শীতকাল মেলা আয়োজনের আদর্শ সময় বলে বিবেচিত হবার এটিও একটি বড় কারণ।

আজ থেকে ৪২৬ বছর পূর্বে, ৯৯৩ হিজরি মোতাবেক ১৫৮৪ ইংরেজি সালের ১০ মার্চ মতান্তরে ১১ মার্চ সম্রাট আকবর তাঁর উনত্রিশ বছর রাজ্য শাসনের পর ফরমান জারি করেন বাংলা সন প্রবর্তনের। এই সরকারী সিদ্ধান্তটি আবহমানকালের এই উৎসবকে আরো গতিশীল করার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে আমাদের ধারণা। চান্দ্র-সৌর মাসের হিসাবকিতাবের মারপ্যাঁচে কিভাবে যেন সে সময় বাংলা বছর শুরু হয়ে যায় অগ্রহায়ণ মাস থেকে। অবশ্য বর্তমানে বৈশাখ মাস থেকে বাংলা বছর গননা শুরু হয়ে থাকে। অগ্রহায়ণ পুরোপুরি শীতের মাস নয়। তবে শীতের আগমনীবার্তা শোনা যায় এই মাস থেকে। সরকারী ফরমানে অগ্রহায়ণ বছরের প্রথম মাস হিসেবে বিবেচিত হবার পর মেলাগুলোতে বর্ষবরণের হাওয়া যুক্ত হয়। ফলে সেগুলো আরো বর্ণাঢ্য ও বর্ণময় এবং অর্থনৈতিকভাবে আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। যেহেতু শীতের ঠিক আগে হেমন্তের শেষে নতুন বছর শুরু হতো তাই এর সাথে যুক্ত হয় সাধারণ মানুষের সারা বছরের হিসাব। বছরান্তের প্রয়োজনীয় কেনাকাটার দরকার হয় এই সময়ে। হালের বলদ থেকে শুরু করে সিঁদুরের কৌটা। বেতের ডালি থেকে কাশ্মীরি কিংবা নেপালী শীতের বস্ত্র। বিচ্ছিন্নভাবে বা বিভিন্ন স্থান থেকে এগুলো কেনা কষ্টকর। একত্রে পেলে সময়ও বাঁচে, কেনাও হয়। বিক্রির উদ্দেশে মেলায় আগত বিভিন্ন দ্রব্যাদির তালিকা দেখলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। অগ্রহায়ণ-মাঘ মাসে অনুষ্ঠিত বেশিরভাগ মেলায় বিক্রির জন্য আনা হয় গবাদিপশু, ধাতু নির্মিত বিভিন্ন উপকরণ, বাঁশ-বেত-কাঠের আসবাবপত্রসহ নানাধরণের সৌখিন দ্রব্যাদি। আজ থেকে প্রায় ’শ খানেক বছর পূর্বে দিনাজপুরের রেভিনিউ আধিকারিক মেজর সেরউইল তৎকালীন ঠাকুরগাঁও মহকুমার নেকমরদের মেলায় বিক্রির উদ্দেশে আসা দ্রব্যাদির যে বর্ণনা দিয়েছেন তা থেকে আমাদের অনুমিত এই ধারণাটির যথার্থতা মিলবে। মেজর সেরউইল জানচ্ছেন, এই মেলায় বিহারের পূর্ণিয়া থেকে আসতো প্রচুর ষাঁড়; ভূটানী বণিকরা নিয়ে আসতো টাট্টুঘোড়া, শীতের কম্বল, মৃগনাভি; নেপালী বণিকরা নিয়ে আসতো ভোজালী। তাছাড়া দার্জিলিং এর তড়াই অঞ্চল এবং আসাম থেকে আসতো হাতি। মেলায় বিভিন্ন ধরণের খাদ্যশস্য আসতো বিক্রির জন্য। উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত থেকে মেলায় আসতো উট। ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য এসব উট কিনতো মুসলমান স¤প্রদায়ের মানুষ। প্রত্যদর্শীর এই বিবরণ থেকে বোঝা যায় মোলাগুলো কত গুরুত্বপূর্ণ ছিলো মানুষের জন্য। এখনো এতবড় গবাদিপশুর মেলা বাংলাদেশে বেশ বিরল।

গ্রামীণ মেলাগুলো সাধারণত বারোয়ারি হয়ে থাকে। একটি গ্রাম কিংবা একাধিক গ্রামের মানুষের মিলিত অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় এবং সক্রিয় সহযোগিতায় আয়োজিত হয় মেলাগুলো। এটি গ্রামীণ জনপদে মেলা আয়োজনের সাধারণ চিত্র। তবে বাংলাদেশে যখন জমিদারী প্রথা বর্তমান ছিলো, অর্থাৎ আজ থেকে ষাট-সত্তর কিংবা একশো বছর পূর্বে গ্রামে অনেক মেলা আয়োজনের নেতৃত্ব দিতেন জমিদারেরা। নিজেদের জমিদারী এস্টেটে বড় বড় মেলা আয়োজন কখনো কখনো প্রতিযোগিতার পর্যায়ে চলে যেতো। মূলত আরো অন্যান্য বিষয়ের মতো বড় মেলার আয়োজন তাদের জন্য ছিলো শানশওকতের একধরণের প্রদর্শনী। মেজর সেরউইল এর বর্ণনাতে পাওয়া যায়, হরিপুর এবং মালদুয়ারের জমিদারগণ নেকমরদের মেলার মালিক ছিলেন। এই মেলায় দার্জিলিং এবং আসাম থেকে যে হাতি আসতো বিক্রয়ের জন্য তার ক্রেতা ছিলেন এই দুই জমিদার। এছাড়া দিনাজপুরের জমিদার, রংপুরের কাকিনা এবং তাজহাটের জমিদারদের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত বড় এবং বিখ্যাত মেলাগুলোর সোনালী দিনের গল্প এখনো শোনা যায় সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের প্রবীণ মানুষদের মুখে মুখে। উদাহরণ হিসেবে বলা চলে, রংপুর অঞ্চলের শ্যামপুরের জমিদার শ্যামাপ্রসাদ রায় চৌধুরীরর পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত হতো বদরগঞ্জের মেলা। এখনো এই মেলাটি সচল রয়েছে। এভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানের স্থানীয় জমিদার ও জোদ্দারদের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত হতো বিভিন্ন মেলা- যার কোন কোনগুলো এখনো সচল রয়েছে।

এবার আসা যাক আমাদের বর্তমান নগরকেন্দ্রিক মেলার কথায়। আমাদের শহরের অধিবাসীরা মনেপ্রাণে শতভাগ নাগরিক হয়ে উঠতে পারেনি বলে এখনো তাদের মনোরঞ্জনের জন্য প্রয়োজন হয় গ্রামীণ আবহ। মূলত মেলার গ্রামীণ ধরণকে তুলে আনা হয়েছে নগরে। যেহেতু এটি ইতিমধ্যে গ্রাম থেকে নগরে এসে পড়েছে তাই এতে যুক্ত হয়েছে কিছু নাগরিক উপাদান। এখন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে পৌষ মেলা নাগরিক বিনোদনের একটি বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। শহরগুলোতে শীতের মেলা হিসেবে সাধারণত পৌষমেলাই আয়োজন করা হয়। এছাড়া তেমন কোন মেলা চোখে পড়ে না। আজ থেকে এক দশক পূর্বেও মফস্বল শহরগুলোতে পৌষ মেলার আয়োজন করা হতো স্থানীয়ভাবে, চাঁদা তুলে। তবে বর্তমানে বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের স্পন্সরশীপের কারণে এখন আর স্থানীয়ভাবে চাঁদা তুলে আয়োজন করতে হয় না বেশিরভাগ মেলা। বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো নানাভাবে এসব মেলাকে পৃষ্টপোষকতা করে আসছে। এই কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর পৃষ্ঠপোষকতায় নগর কেন্দ্রিক মেলার চেহারা একটু ভিন্ন হয়ে গেছে। যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন নাগরিক অনুষঙ্গের পাশাপাশি হাইটেক অনুষঙ্গও। এই প্রক্রিয়াটি ভালো কি মন্দ সেটা বিচার করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। বর্তমান অবস্থা দৃষ্টে মনে হয়, নগরের মেলা মানেই কোন না কোন প্রতিষ্ঠানের বা কর্পোরেট গ্র“পের আয়োজিত একেকটা উৎসব। এগুলোতে বৈচিত্র তেমন না থাকলেও ভিন্ন ধরণের একটা স্বাদ আছে। অনেক দর্শক-ক্রেতা আসে এসব মেলায়। ক্রয়বিক্রয় হয় বিভিন্ন দ্রব্যের।

আবহমান বাংলার জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী একটি সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ মেলা। ইতিহাসের বিভিন্ন কালপর্বে বিভিন্ন ধরণের বৈশিষ্ট্যের ছাপ পড়েছে এর উপর। এটি একদিকে যেমন জনমানুষের উৎসবের অন্যতম জনপ্রিয় অনুষঙ্গ অন্যদিকে লোকায়ত সংস্কৃতির বিভিন্ন অনুষঙ্গকে বাঁচিয়ে রাখার কৃতিত্বও এর। ইতিহাসের বিভিন্ন বাঁক ঘুরে বর্তমানে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো এক নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে মেলাগুলোর পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এইসব আয়োজনের কারণে শহরগুলোতে শীতের আনন্দের মাত্রা কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পেয়েছে।


কৃতজ্ঞতা: সিআরএসি লাইব্রেরী

সহায়ক সূত্র:

১. মোকারম হোসেন বাংলাদেশের মেলা; ফেব্রুয়ারি ২০০৪, ঐতিহ্য, ঢাকা।
২. স্বরোচিষ সরকার (সম্পাদিত) বাংলা একাডেমী বৈশাখী লোক-উৎসব প্রবন্ধ ১৪০০, জুন ১৯৯৩, বাংলা একাডেমী, ঢাকা। শামসুজ্জামান খান এর প্রবন্ধ বাংলা চতুর্দশ শতক: ইতিহাস ও তাৎপর্য। শামসুজ্জামান খান এর প্রবন্ধ এবং প্রবন্ধটির উপর অধ্যাপক আলী নওয়াজ এর আলোচনা অংশ দ্রষ্টব্য।
৩. শামসুজ্জামান খান (সম্পাদিত) বাংলা একাডেমী পত্রিকা (ফোকলোর বিশেষ সংখ্যা), ৫২ বর্ষ, ২য় সংখ্যা; এপ্রিল-জুন ২০০৮। উদয় শঙ্কর বিশ্বাস এর প্রবন্ধ বাংলাদেশের শতবর্ষী মেলা: অন্তরঙ্গ ও বহিরঙ্গ।


প্রথম প্রকাশ:
বেঙ্গল বারতা
১৪ জানুয়ারি ২০১১

নোট: এই লেখাটি শাওন আখন্দ (শাওন আকন্দ) এর নামে প্রকাশিত হয়। সম্ভবত বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত ভুল। বেঙ্গল বারতা কর্তৃপক্ষের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে শাওন আকন্দ এর বক্তব্য, ‌ভবিষ্যতে বেঙ্গল বারতা'কে লেখা দিলে সাবধান হতে হবে।

এই লেখাটির মূল শিরোনাম ছিলো: শীতের মেলা : অতীত ও বর্তমান
শিরোনামটি পরিবর্তিত করে বেঙ্গল বারতা ‌শীতের মেলা শিরোনামে এটি প্রকাশ করে।
ব্লগে প্রকাশিত ছবিগুলো পত্রিকার ছবি নয়।







৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

পেচ্ছাপ করি আপনাদের মূর্খ চেতনায়

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

আপনারা হাদি হতে চেয়েছিলেন, অথচ হয়ে গেলেন নিরীহ হিন্দু গার্মেন্টস কর্মীর হত্যাকারী।
আপনারা আবাবিল হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে চেয়েছিলেন, অথচ রাক্ষস হয়ে বিএনপি নেতার ফুটফুটে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারলেন!
আপনারা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×