somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সম্প্রতি দেখা একটি মুভির প্রতি আমার ভালো লাগা........

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত ১০ ই সেপ্টেম্বরে রাতে অফিস থেকে বাসায় আসার পর ঘুমাতে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক তখন ছোট বোন আমার হাতে একটা পেনড্রাইভ ধরিয়ে দিল। পেনড্রাইভে নাকি তামিল ভাষার কী একটা মুভি আছে। ওর একজন বন্ধু আমাকে দেখার জন্য দিয়েছে। কী মনে করে কম্পিউটারটা চালু করে মুভিটা দেখা শুরু করলাম।

ভারতীয় তামিল মুভি দেখার যাদের মোটামুটি অভ্যাস আছে, তাদের মনে কিছু জিনিস গেঁথে আছে (আমারও ছিল)। যেমন- গোঁফওয়ালা মোটা নায়ক, পরমা সুন্দরী তরুনী নায়িকা, পর্দা-কাঁপানো মারপিটের দৃশ্য (আক্ষরিক অর্থেই!), অসম্ভব দ্রুত নাচার দৃশ্য ইত্যাদি। কিন্তু কিছু কিছু তামিল মুভি যে আসলেই অন্যরকম, তা এই মুভি টা না দেখলে হয়তো জানা হতো না।

এবার মুভিটার নামটা বলে নেই- Vinnaithaandi Varuvaayaa, যার বাংলা অর্থ হচ্ছে "তুমি কি আকাশ পেরিয়ে আসবে কাছে?"। পরিচালকের নাম গৌতম মেনন। এই পরিচালকেরই আরেকটা মুভি আমার প্রচন্ড রকমের প্রিয় (হয়তো অনেকেরই), Rehnaa Hai Terre Dil Mein।

ছবিটির নায়ক-নায়িকা দুজনেই বেশ জনপ্রিয়। নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করা তৃষা কৃষ্নানকে আগেই চিনতাম, কিন্তু নায়ক হিসেবে সিলামবারাসান এর অভিনয় দেখা এই প্রথম। ছবিটার কাহিনী মূলতঃ একটি ক্রিশ্চিয়ান মেয়ে আর হিন্দু ছেলের মধ্যেকার প্রেম নিয়ে। তৃষা একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আর সিলামবারাসান এক আবেগী যুবক যে কিনা বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক হতে কাজ করছে। তৃষাদের নিজেদের বাড়ি। যে বাড়িতে সে থাকে, ঐ বাড়িতেই ভাড়াটিয়া হিসেবে নায়ক তার বাবা-মা ও এক বোন সহ থাকে।

নায়ক-নায়িকার প্রথম দেখাতেই দুজন' দুজনকে ভালো লেগে যায়। কিন্তু ভিন্ন ধর্মের ও বয়সে এক বছর বড় হওয়ার কারণে তৃষা সিলামবারাসানকে তার ভালো লাগার কথা বলে না। এদিকে সিলামবারাসান তৃষাকে ভালোবাসার ব্যাপারে চাপ দিতে থাকে। নানা রকম আর নানা ধরনের ঘটনা ঘটার পর এক সময় তৃষা নিজের ভালো লাগার কথা স্বীকার। এরপর শুরু হয় নিজেদের পরিবারকে সামলানো। কিন্তু পরিবারকে সামলাতে গিয়ে এক সময় নিজেদের মধ্যেই ভুল বোঝাবুঝি হয়। আর এর থেকে দুজন চলে যায় আলাদা দূরত্বে।

মুভিটার কাহিনীবিন্যাস খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। বিশেষ করে শেষ ১৫ মিনিটের ক্লাইমেক্স মনে রাখার মতো। গানের সুর আর গানগুলোর চলচ্চিত্রায়নও ভালো এবং আকর্ষনীয়। বলে রাখা ভালো, এই ছবির সুরের পরিচালনায় ছিলেন অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড (অস্কার) পাওয়া এ. আর. রহমান।

তো যদি সম্ভব হয়, যারা মুভিপ্রেমী, অবশ্যই দেখা উচিত মুভিটা। কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×