অনেকদিন পর কলমটা পেলাম । মনে হল যুদ্ধ জয় করেছি একটা । কিছু লিখতে না পেরে প্রাণের রস সব শুকিয়ে যাচ্ছিলো । এ হেন বিপদে যেন আর কেউ না পড়ে রে বাবা । মনের সুখে কিছুক্ষণ নেচে নিতে মন চাইছিলো । যেই ভেবেছি এইবার আমার আনন্দটা সবাইকে জানাবই, আর কেউ আটকাতে পারবেনা, ওমনি চলে গেল কারেন্ট
আমার খুব পছন্দের একটা বই থেকে :
১. ভিখিরি বুঝতে পারেনি যে, সে পুলিশের দরজার কড়া নেড়েছে । দরজা খুলে যেতে সে মাথা নিচু করে তার বাঁধা-বুলি আওড়াতে লাগলো, "কাল সারাদিন কিছু খাইনি, আজ এখনও পর্যন্ত ভুখা আছি"- ইত্যাদি। সামান্য চোখ তুলতেই তার নজরে পড়ল পুলিশের ইউনিফর্ম-পরা একজোড়া পা। ওমনি সে বলে উঠলো, "তাতে কিছু আসে যায় না, আমি আরও দুদিন না খেয়ে থাকতে পারব।"
২. শহরের কলেজের এক ছাত্র সব বিষয়ে ফেল করে বাড়ি আসতে ভয় পাচ্ছিল। সে ভাইকে টেলিগ্রাম করলে :
"সব সাবজেক্টে ফেল করেছি, বাবাকে প্রস্তুত কর।"
ভাই টেলিগ্রামের উত্তর দিলে :
"বাবা প্রস্তুত, তুমিও প্রস্তুত হয়ে এস।"
৩. এক ভদ্রলোক মারা গেলে তাঁর বিধবা স্ত্রী কবরের ফলকে লেখবার অর্ডার দিয়েছিল : "তুমি শান্তিতে থাক।"
ইতিমধ্যে সে জেনে ফেললে যে, তার স্বামী যাবতীয় বিষয়-সম্পত্তি অন্যকে দিয়ে গেছেন। ওমনি সে ছুটল পাথর খোদাইওয়ালার কাছে, এবং তাকে বললে, "আপনাকে লেখা বদলাতে হবে।"
খোদাইকারী বললে, "তা কি করে হবে ! লেখা যে হয়ে গেছে। "
বিধবা ভেবে চিন্তে বললে, "তাহলে নিচে আর একটা লাইন যোগ করে দিন : 'যতদিন আমি না আসি।' "
৪. নেশার ঘোরে এক দেশপ্রেমিক রেডক্রসকে কিছু রক্ত দিতে রওয়ানা হলেন। কিন্তু তিনি ভূল করে ঢুকে পড়লেন এক চুল-কাটার দোকানে। নাপিত ক্ষুর হাতে এগিয়ে এসে বললে ,"কলার খুলুন।" ক্ষুর দেখে দেশপ্রেমিক এক লাফে দোকান থেকে বেরিয়ে দৌড়ে হাত-বিশেক দূরে এসে দম নিয়ে বললেন," বাব্বা ! খুব বেঁচে গেছি। লোকটা জল্লাদ। "
৫. রেস্তঁরায় খেতে বসে সঙ্গিনীর মন জয় করবার জন্যে একজন বলছিল : "তোমাকে যত ভালবাসি, হাজার বছরেও আমি কাউকে এত ভালবাসতে পারবনা। " ঠিক সেইসময় এক স্বর্ণকেশিনী বারের দিকে যাচ্ছিল। ওমনি তার চোখ ঘুরে গেল । মরালগমনার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে নিয়ে সে বলে উঠল, "ওহ গড ! সময় কত তাড়াতাড়ি চলে যায়।"
৬. ডাক্তারের বেডরুমে গভীর রাতে টেলিফোন বেজে উঠলো। ডাক্তার ধড়মড় করে উঠে টেলিফোন ধরতেই রোগিনীর উদ্বিগ্ন কন্ঠ ভেসে এল, "ডাক্তার, আমি ঘুমুতে পারছিনা।"
দাঁতে দাঁত চেপে ডাক্তার বললেন, রিসিভার কানে রাখুন, আমি ঘুমপাড়ানি গান গাচ্ছি।"
৭. মাস্টার ছাত্রকে বললেন একটা ড্রামাটিক কবিতা লিখতে। ছাত্র লিখলে :
ছেলেটি রেলপথ দিয়ে যাচ্ছিল,
ট্রেন আসছিল বেগে।
সে লাফিয়ে পড়ল লাইনের বাইরে,
ট্রেন চলে গেল ধেয়ে।
মাস্টার বললেন, "কবিতা হয়েছে, কিন্তু ড্রামাটিক হয়নি। আবার লেখ।"
এবার ছাত্র লিখলে :
ছেলেটি রেলপথ ধরে হাঁটছিল,
ট্রেন আসছিল ধেয়ে।
তাকে পথ দিতে ট্রেন গেল লাইনের বাইরে,
ছেলেটি চলে গেল শিস দিতে দিতে।
সবশেষে বিজ্ঞাপন :
আমার ব্লগ লিখার কারণ
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুন, ২০০৯ রাত ১০:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





