somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি বা আমরা ব্লগাররা কি হনু রে!

২৫ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :






অনেকেই জানতে চান, ব্লগার নাজনীন১ হিসেবে পরিচয় দিতে আমরা কেন গর্ব অনুভব করি? আমরা কেন নস্টালজিক হয়ে পড়ি সামহোয়্যারইন এর আলাপ আসলেই। আমরা সহব্লগার কেন মিসাই?

এর হাজারটা উত্তর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্লগাররা তাদেরটা বলেছেন, তাদের ভাল মন্দ অনুভূতিগুলো জানিয়েছেন। আজকাল টুইটার এ টুইট করে ব্লগারেরা আন্তর্জাতিক নেতা, তারকা এদের সমান হয়। ফেইসবুকেও অনেকে তাদের নানা অনুভূতি প্রকাশ করে।

আমি মফিজ, প্রবাসী বাংলাদেশী হিসেবে সামহোয়্যারইন ব্লগে লেখা শুরু করেছিলাম, এটাই আমার প্রথম অনলাইন প্রেম, ভালোবাসা, এটাই আমার স্থিতি। এখানে আমার বরাবরই ভাল লাগে। আমরা আমজনতা, এতে সই! বেশি ভিআইপি হবার বিপদ অনেক! ছা-পোষা শিক্ষকের বেশি স্বপ্ন দেখতে নেই!

এই ব্লগ থেকে কি কি পেয়েছি, কি কি দেবার চেষ্টা করেছি তার একটা ফিরিস্তি দেয়ার চেষ্টা করবো। সকল ভুল ত্রুটি, অন্যায় আড়ালে রেখে, আমি কি হনু রে হবার একটা তালিকা দেবার চেষ্টা করছি! আমরা বিদেশের মাটিতে বসে চারপাশে ভিনদেশী ভাষা শুনে শুনে বাঙলা শোনার জন্য, বলার জন্য কাতর হতাম! এটা থেকেই মূলত ব্লগে আসা। আমার কোরিয়ায় পড়াকালীন বাংলাদেশী ল্যাবমেটদের সাথে করেই মূলত ব্লগে আসা, সূরা নিসার ৩৪ নম্বর আয়াতের একটা সমালোচনা পড়ে।

তার আগে ফেইসবুকে ছিলাম, আজো আছি। কিন্তু ব্লগটা একটা অন্যরকম ফিলিংস!




ভাল জানা, শেখা, বোঝা এবং দেয়ার লিস্টঃ

১। ইভটিজিং, অনলাইন মব, সাইবার আইন নিয়ে দাবী তোলা, কাজ করা
২। বাংলায় কাঁচা হাতের লেখার সাহস করা, সেটা গল্প, কবিতা, আত্মকথন, বিজ্ঞানচিন্তা সবকিছু
৩। ধর্মীয় কিছু কঠিন ধরণের লেখা (অন্যের লেখা) শেয়ার, অনুবাদ কর্ম। এই যেমন, সংবিধানভিত্তিক আলোচনা, ইসলামী রাজনৈতিক দলের সংবিধান, মূলনীতি আলোচনা, বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোর আরো কি কি দিকে এগোনো দরকার, এগুলো নিয়ে কথা বলার দুঃসাহস দেখানো
৪। মক্কা – মদিনাভিত্তিক ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্র করা, দেওবন্দ, ইউকে, আমেরিকা প্যাটার্ন থেকে সরে আসা
৫। আরবি শিক্ষার গুরুত্ব, বিশেষ জোর দেয়া, আইএলটিএস ফরম্যাটে আরবী ব্যবহারিক ভাষাগত ব্যুৎপত্তি অর্জন করা, ধর্মীয় দিক থেকে মক্কা মদিনা, আল আজহার বা এওরকম আরো নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো করে গভীর ফিকহ জ্ঞান অর্জ্ন করা, নারী – পুরুষ উভয়ের।
৬। হাদীস বিজ্ঞানের উৎসের গভীরে যাওয়া
৭। বাংলাদেশের নিউক্লিয়ার সেক্টর, সেন্সর প্রযুক্তি, সোলার জ্বালানী ক্ষেত্র তথা গ্রীন টেকনোলজি এবং সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টে বিশেষ নজর দেয়া
৮। বিশেষভাবে পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে কাজ করা, এটা অবশ্য বাপা অনলাইন এর সাথে থেকে শেখা।
৯। অনলাইনভিত্তিক নারী গ্রুপের মাধ্যমে শিশু যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে, ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরী, স্কুল সিলেবাসে বয়ঃসন্ধিকাল, অপছন্দীয় স্পর্শ সম্বন্ধে বলা
১০। ট্রাফিক নারী পুলিশদের বিশেষ টয়লেট ব্যবস্থা, পাবলিক টয়লেটের নারীদের অংশ, পুরুষসহই, হাই কোমোড দেয়া ইত্যাদি ইত্যাদি

****///****

১১। পাবলিক বাসে সামনের অর্ধেক সীটগুলো নারীদের জন্য নির্দিষ্ট করা, পুরুষদের জন্য পিছনের সাইডে দরজা রাখা
১২। বুড়িগঙ্গা, তিস্তা, টিপাইমুখ, ফারাক্কা, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ি, পায়রাবন্দ, বাঁশখালী বিদ্যুতকেন্দ্র নিয়ে আলোচনা, প্রতিবাদ, তিস্তা চুক্তি, রিজার্ভয়ের ইত্যাদি নিয়ে দাবী, প্রস্তাবনা।
১৩। জাতির জনকের আসল দাবীদার কে, তাজউদ্দিন সাহেবের অবদান কি স্বাধীনতার প্রথম প্রহরে…
১৪। নারী পুলিশ, নারী আর্মি – বিশেষভাবে বহুল নিয়োগ, তৃতীয় লিঙ্গের কর্মসংস্থান, চিকিৎসা, পারিবারিক অধিকার, সম্পত্তির অধিকার,প্রতিবন্ধীদের সকল ক্ষেত্রেই, বিশেষ করে রাস্তা পারাপার, পাবলিক বাস, টয়লেট, বিশেষ ভোট ব্যবস্থা, টাকা গুণতে পারা, ভয়েস রেকর্ডিং ফর ন্যাশানাল সিলেবাস ইত্যাদি ইত্যাদি।
১৫। নারীর আর্থিক ক্ষমতায়ন, নিজের সম্পত্তি নিজের অধিকারে রেখে নিজের মতামতে খরচ করতে পারার অধিকার
১৬। মোহরানা আদায় নিয়ে বিশেষ প্রচারণা
১৭। নোয়াখালী, চাঁদপুর সহ নানা অঞ্চলে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ নিয়ে সচেতনতা, নোয়াখালী চেয়ারম্যান ঘাটের বিশেষ উন্নয়নের দাবী, নোয়াখালী, সিলেট, রংপুর, কুড়িগ্রাম এ বিশেষ অর্থনৈতিক জোন
১৮। বিভিন্ন চরাঞ্চলে কাজের, কৃষি কাজের ব্যবস্থা, ব্যবসা, বিশেষ করে নদীতে বাড়ি ঘর ভাঙা মানূষদের যেন শহরে ভিড় জমাতে না হয়,
১৯। ঢাবিসহ বিভিন্ন পাবলিক, প্রাইভেট বিশ্ববিদায়লয়ে ছাত্র ছাত্রী দের আবাসস্থল এবং পার্ট টাইম চাকুরীর ব্যবস্থা করা।
২০। হিন্দু নারীর পারিবারিক অধিকার, হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে বিধবা বিয়ে উৎসাহ দেয়া। ডিভোর্সী নারীর ছেলে নিজের কাছে রাখবার অধিকার।

****///****

২১। সংসদে বিরোধী দলগুলোকে বিতর্ক আলোচনায় সাহায্য করা, রাজনীতি বা সমাজের বিভিন্ন স্তরে দাসত্বপনার মানসিকতা বা ব্যবস্থাপনা দূর করা, ছোট ছোট পার্টি বা দল বা মতের আত্মমর্যাদাবোধ, রাজনীতি, প্রশাসন বা মিডিয়ায় নারীর প্রতি সহিংতা, যৌন হয়রানি, নির্যাতন, অপব্যবহার এগুলো বন্ধ করতে বিশেষভাবে সচেষ্ট হওয়া।
২২। হাওড় অঞ্চলে আগাম বন্যার সময়ে ধান কাটায় সাহায্য করতে উৎসাহিত করা, বন্যার পানি যেন দ্রুত নামতে পারে, তাই বিভিন্ন জায়গায় নেট দিয়ে বাঁধ কাটার ব্যবস্থা রাখা, মাছ থাকবে, পানি সরে যাবে, উপরে রাস্তা ঠিক থাকবে, চা-শ্রমিকদের বাড়ি ঘর, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, সাস্থ্যসম্মত করা।
২৩। দেশের বিভিন স্থানে পুরোনো টয়লেট সরিয়ে নতুন টয়লেট করা, কাঁচা টয়লেট বদলে পাকা টয়লেট করার ব্যাপারে সচেতনতা।
২৪। আকাশচুম্বী উন্নয়নের লাগাম টেনে, আনুভূমিক উন্নয়নে বিশেষ জোর দেয়া, ঢাকায় বা অন্যান্য শহরে যত উন্নয়ন হয়েছে, বিভিন্ন উপশহর বা গ্রামগুলোর বা ইউনিয়নগুলোর সীমানাজুড়ে, মানে কেন্দ্র থেকে দূরপ্রান্তে উন্নয়নে বিশেষ জোর দেয়া।
২৫। নারীদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে সালাত থেকে শুরু করে সবধরণের ধর্মীয় কর্মকান্ড মসজিদভিত্তিক করা। পুরুষদেরও। সেইসাথে এলাকার তরুণদের মসজিদমুখী করতে লাইব্রেরীর ব্যবস্থা করা, মসজিদ/ মাদ্রাসা ভিত্তিক ধর্মীয় ক্লাস। এজন্য ইমাম সাহেবদের অন্তর্ভুক্তি করতে তাদের সরকারী বেতন ভাতার অন্তর্ভুক্তিকরণ করা।
২৬। নারীদের উচ্চতর গবেষণায় ও ব্যবসায়, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আরো ইনভলভড হওয়া, দেশে বিদেশে।
২৭। ন্যাশানাল ডাটাবেইজ বিশেষ উন্নয়ন করা, বর্তমানে ডিএনএ বেইসড ডাটাবেইজ করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
২৮। বিভিন্ন দ্বীপে নিজস্ব যোগাযোগ বা, ব্যবসা, পর্যটন ইত্যাদি প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন করা, বন্যা বা জোয়ারের পানিতে যেন তলিয়ে না যায়, তাই উঁচু উঁচু করে স্থাপনা নির্মাণ, সী প্লেন, বা হোভারের মতো, বা বড় শিপের ব্যবস্থা করা। উত্তরাঞ্চলে উঁচু করে টিউবওয়েল বসানোর ব্যবস্থা করা, যাতে বন্যার পানিতে ডুবে না যায়।
২৯। দক্ষিণাঞ্চলের জমিগুলোতে লবণাক্ততা কমানো।
৩০। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বেশি বেশি ইনভেস্টের আহবান, বেশি বেশি কর্মসংস্থান দরকার। নারীদের জন্য বর্তমানের চেয়ে ২-৩ গুন বেশি কর্মসংস্থান প্রয়োজন, নারী পাচার রোধে, পতিতাবৃত্তি রোধে।

****///****

৩১। নারী উদ্যোক্তা তৈরী, এমনকি ছাত্রদের উদ্যোক্তা হতে বিশেষ উৎসাহ দেয়া।
৩২। বিজ্ঞান ও ধর্মভিত্তিক, পরিবেশ সচেতন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বেশি বেশি করে সেমিনার, কনফারেন্স, সচেতনতা বৃদ্ধি, ইনভেস্টমেন্ট ইত্যাদির উপর বিশেষ জোর। বুড়িগঙ্গার উপর বিশেষ নজর দেয়া।
৩৩। ভারতের সাথে বিভেদ কমিয়ে উন্নয়ন সহযোগীমুলক পজিটিভ সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ জোর দেয়া, পাকিস্তানের সাথেও। আঞ্চলিক বিরোধ মিটিয়ে চলা, অর্থনৈতিক, শিক্ষা, উন্নতি, সুস্থ মূল্যবোধভিত্তিক সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ জোর দেয়া। এগুলো দুবাই, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই, মালদ্বীপ এসব দেশের সাথেও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানো। কাশ্মীর, ফিলিস্তিন এদের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্কে যাওয়া। দুবাই, সৌদি, ইরান, কাতার, জর্ডান, মিশর, তুরষ্ক, ব্রাজিল, মধ্য আফ্রিকা, ইথিওপিয়া, সুদান, সেনেগাল, সোমালিয়া, বুরকিনা ফাসো, ইরিত্রিয়া, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, মালে, লাইবেরিয়া সহ বিশ্বের অনেক দেশ আছে, যাদের সাথে আমাদের কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক, শিক্ষা, ধর্মীয় এসব সম্পর্ক দুর্বল। ধনী দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে ইনভেস্টমেন্ট আনা, গরিব দেশগুলোতে আমাদের ইনভেস্ট করতে যাওয়া দরকার।
৩৪। আমাদের পাহাড়িদের উন্নয়নে, বিশেষ করে তাদের ভাষা ও সংস্কৃতিগত আত্মবিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ সৃষ্টি, তাদের বর্ণমালা সংরক্ষণ, বিশেষ ব্যবহার, স্কুল-কলেজে মাতৃভাষায় শিক্ষা অর্জন, পানিসংক্রান্ত সমস্যা শুকনো মৌসুমে, পাবলিক টয়লেট উন্নয়ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে যাবার পথে, ব্যক্তিগত বাড়িগুলোতে, শুকনো মৌসুমে খাবার ও গোসল পানি সংরক্ষণে রিজার্ভয়ের ও সরাবরাহ, গাজী ট্যাংক ইত্যাদি ব্যবস্থা করা।
৩৫। প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গ, ক্ষুদ্র নৃ জনগোষ্ঠী, দলিত হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ নারী/ পুরুষদেরদের ইউপি, জেলা পরিষদ, সংসদসহ সরকারের সকল নীতিনির্ধারণি কমিটিগুলোতে বিশেষ কোটায় আসন সংরক্ষণ বা সরাসরি নির্বাচনেরপ প্রায়োরিটি দেয়া।
৩৬। বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো হলগুলো নতুন করে সংস্কার বা বিনির্মাণ, সকল রাজনৈতিক পরিচয়ের সম্মানমূলক সহাবস্থান নিশ্চিত করা, খাবারের মান্নোয়ন, তথা শিক্ষাব্যবস্থা কোনভাবেই যেন স্থবির হয়ে না পড়ে।
৩৭। অনেক উচ্চাকাংখার মধ্যে হলো বিশেষ বিশেষ গবেষণা কেন্দ্রগুলো সাথে গবেষণামূলক সম্পর্ক বাড়ানো, যেমন হেকেপ, ডারপা, নাসা, এফসিসি, পেন্টাগন, ইউনিসেফ, সেইভ দ্য চিল্ড্রেন, সমুদ্র গ্যাস, তৈল সংক্রান্ত মিডল ইস্ট বেইসড, জারস্কা, এনসিপি, চীনের বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা, মাইক্রোচিপ কোম্পানী এদের সাথে ব্যবসা, গবেষণা, উন্নয়নে অংশীদার হওয়া।
৩৮। মাদ্রাসা শিক্ষিত মেয়েদের কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা হতে সাহায্য করা, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ করে দেয়া, বাল্যবিবাহ না দেয়া, অধিক সন্তান নিতে বাধ্য না করা, এটা দরিদ্র অঞ্চলগুলোতে আরো বিশেষভাবে দরকার।
৩৯। মাদ্রাসার টাইটেল পাশ নারীদের বিশেষ লেকচার দেয়া, সেমিনার করা, নিজেদের গবেষণা পর্যবেক্ষণ, প্রকাশ্যে তুলে ধরার সুযোগ দেয়া। আন্তর্জাতিক মানের পাবলিকেশন করা।
৪০। টিভি, পত্রিকা, মিডিয়া তথা সব জায়গায় হিজাবী নারীদের অংশগ্রহণের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা উন্মোচন করা।

****//****




৪১। দেশের মাটির সংস্কৃতি, আঞ্চলিক সংস্কৃতি সংরক্ষণে বিশেষ একাডেমি / আর্কাইভ। বা এরকম কিছুর উদ্যোগ নেয়া। অনেক গুণি প্রবীণ শিল্পী পরপারে চলে যাচ্ছেন। উনাদের গান, সুর হারিয়ে যাচ্ছে, নানা মিডিয়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, একত্রীকরণ এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের চর্চার সুযোগ রাখা দরকার।
৪২। বার্ডস ভিউ থেকে বাংলাদেশকে দেখতে যেন সুন্দর নয়নাভিরাম লাগে, তাই ভবনগুলোর ছাদ রঙ করা বা ডিজাইনে বিশেষ এক ধরণের জাতীয় স্টাইল, ফ্যাশান চালু করা, যাতে যে কেউ দেখলেই বোঝে – এটা বাংলাদেশ।
৪৩। প্রতি বর্ষাকালে বৃক্ষরোপনে বিশেষ উদ্যোগি হওয়া, পাহাড়ে অনেক অনেক গাছ লাগাণো, কাঠের গাছ সব সাফ হয়ে গেছে, সুন্দরবনে কোন মোটা গাছ নেই, অনেক গ্রামে পুরোনো গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। বাড়ির আশপাশ বিশেষভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রেখে নতুন নতুন গাছ লাগানো, আঙ্গিনা ও ছাদে সবজি, ফল মূল চাষ করা।
৪৪। বৃদ্ধ বাবা-মা, বুড়ো আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী মুরুব্বিদের বিশেষ যত্ন আত্মি করা।
৪৫। পথশিশুদের বা জন্মপরিচয় না জানা শিশুদের বিশেষ উদ্যোগে জন্ম পরিচয়পত্র দানের উদ্যোগ নেয়া, এতিম শিশুদের বাবা-মার ব্যবস্থা করা।
৪৬। পড়ার বই বা গল্পের বই, কিংবা থ্রিলার – হার্ড কপি বা সফট কপি, অনেক অনেক বই পড়ে নোট করা, বেশি বেশি ইতিহাস, সংস্কৃতির বই পড়া গল্পের বই এর পাশাপাশি। নিজেকে জানা, অন্যকে জানা খুব জরুরী, এটা বই পড়ার ভেতর দিয়ে অনেকটা হয়। ডিভাইস আসক্তি কমানো, বিশেষ করে যুবকদের, তরুণদের। এলাকাভিত্তিক নানা সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা, অজানা, অসৎ সংসর্গ থেকে দূরে থাক, পরিবারকে অগ্রাধিকার এবং পর্যাপ্ত সময় দেয়া। বাবা-মা দেরও, সন্তাদেরও। অহেতুক বাইরের আড্ডা কমানো। নিয়মিত সালাত, রোযাসহ নানান ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক কাজের সাথে নিজেকে সংযুক্ত রাখা, নিয়মিত, নিরবচ্ছিন্নভাবে।
৪৭। লোক ঠকানো, অসম্মানমূলক, অপরাধমূলক কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরত রাখতে সচেষ্ট থাকা। পরিচিতজনদের ভিতরে বণ্ডিং বাড়ানো।
৪৮। অজানা, অচেনা সংসর্গ থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকা। মাদক থেকে দূরে থাকা।
৪৯। নিয়মিত রক্তদান কর্মসূচীর সাথে, ছোট বড় সামর্থ্য অনুযায়ী আর্থিক/ কাপড় চোপড়, বই দানের / উপহারের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখা। যতটা সম্ভব লেখালেখি, বাস্তবে প্রয়োগ করা যাবে এরকম ব্যবহারিক চিন্তা ভাবনা (সৃজনশীল, উদ্ভাবনী মেধাচর্চা) উদ্ভব করা।
৫০। নারী – পুরুষ নির্বিশেষে পরিবারে রান্না-বান্না, ছেলেমেয়েদের পড়ানো, দেখভাল করা, অসুস্থদের সেবা করা – তথা কোয়ালিটি পারিবারিক টাইম তৈরী ও চর্চা করা। সর্বোপরি অনলাইন আসক্তি কমানো, টিভি আসক্তি বা যেকোন নেশামূলক কাজের লাগাম টেনে রাখা।

****///****

৫১। বিষযুক্ত, ফরমালিন মূক্ত খাবার বেচা কেনা প্রতিরোধ করি, বিশুদ্ধ ফল, খাবার পানীয়র ব্যাপারে সচেষ্ট হই, প্লাস্টিক পণ্য যথাসাধ্য এড়িয়ে চলি, বয়স হয়েছে, রিচ ফুড, তৈলযুক্ত খাবার, এলার্জি উদ্রেক করে এমন খাবার, অতিরিক্ত মিষ্টান্ন বা মিষ্টি জাতীয় খাবারের আসক্তি কমাই। নারীদের বিশেষ করে হিমোগ্লোবিনসমৃদ্ধ খাবার, ক্যালসিয়ার সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাবার অভ্যস করা, শক্তিবর্ধক ফলমূল নিয়মিত খাওয়া। ব্যায়াম, ইয়োগা, হাঁটাচলা যে যতটা পারি। হিলিং ফ্রিকোয়েন্সী শ্রবণ করা, নিয়মিত কুরআন নিজে তেলাওয়াত, বা শোনা। কবিতা আবৃত্তি শোনা বা করা, ভাল ভাল লেকচার শোনার অভ্যাস। সাংস্কৃতিক আলোচনা, ইতিহাস আলোচনা শোনা।
৫২। সর্বোপরি নিজের বাংলাদেশী পরিচয় নিয়ে গর্ব অনুভব করা, মাথা উঁচু করে চলা। নারী, মাতৃত্ব, কর্মজীবি, গৃহিণী, প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গ, পাহাড়ি, আদিবাসী, রোহিঙ্গা, কোন পরিচয়ে আত্মগ্লানি অনুভব না করা।
৫৩। বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহ তথা দক্ষিণ এশিয়ার হানাফী মতাবলম্বী সবাই অন্যানাদের সাথে একই দিনে হিজরী ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা। ঈদ, রোযা, আরাফাতের দিন, আশুরার দিন সারাবিশ্বের সাথে একই দিনে করা।
৫৪। সার্কের কার্যক্রম আবারো শক্তিশালী করা, সার্ক ফ্রি ভিসা, অন এরাইভ্যাল ভিসা চালু করা, শিক্ষা একচেঞ্জ প্রোগ্রাম চালু করা।
৫৫। পরিচিত ব্লগারদের সাথে রুম আড্ডা, ছাদ আড্ডা, নদীর পাড়ে কিংবা পর্বতের চূড়ায় এডভেঞ্চারে যাওয়া, নীলগিরি, নেফাখুম, সাদা পাহাড়, বিছানাকান্ডি, নিলাদ্রী লেক ইত্যাকার এলাকায় ভ্রমণ করা বা স্থানীয় রেস্টুরেন্টে ভুড়িভোজ করা, কালা ভুনা, চুইঝাল, মুড়ি-চানাচুর-টমেটো মাখা খাওয়া বা আর কিছু, পিকনিক, সামহোয়ারইন অফিসে আবারো ব্লগ আড্ডা চালু করা, লেখালেখি প্রকাশনী।

***** পঁচা লেখাও ছাপানোর দাবী জানিয়ে আজকের মতো এখানেই রাখলাম!


সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৫১
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×