আসছে কোরবানী,
কোরবানীর পশু কেনার জন্য সবাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ধর্মের নীতিমালা সম্পর্কে জ্ঞান কম থাকায় কোরবানী নিয়ে মন্তব্য খুব একটা বেশী করতে চাই না, তবে এখানে অনেক বুদ্ধিজীবি আছেন, যারা আমাদের সহযোগিতা করতে পারেন।
যদি ইসলামে বলা থাকে পাড়া প্রতিবেশীর হক আদায়ের পর হজ্জে যেতে; তবে এ দেশের মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে কি ভাবে?
দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস এ দেশের মানুষের, অপর দিকে প্রতিবছর যে হারে কোরবানী দেয়া হয়, ভাবতেই অবাক লাগে। নিতান্তই অপরকে দেখানোর জন্য, লক্ষ টাকা ব্যয় কোরছি আমরা।
এক একটি উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবার, যে পরিমান অর্থের পশু কোরবানী করেন, তার ৫০ ভাগ অর্থ দিয়ে আমরা সম্ভবত দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী কিছু মানুষকে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারি; যদি অমার এ চিন্তাধারায় ভুল থাকে, তবে ব্লগার অবশ্যই অমার ভুল ধরিয়ে দেবেন এই প্রত্যাশা করবো।
এ দেশের বড় বড় কোম্পানির পরিচালকগন যে পরিমান অর্থের শাড়ী আর লুঞ্জি কিনেছেন, একবার ভেবে দেখুন তা দিয়ে কতোগুলো পরিবারের জীবিকা উপার্জনের ব্যবস্থা করা যেতো?
অল্প অল্প করে অনেকে না দিয়ে, এক একজন করে কি দরিদ্র কমানো কি যায় না?
ধরুন, একটি ফটোকপিয়ার মেশিন, কয়েকটি ফোন একটি পরিবারের চলার বা স্বাবলম্বী করে তুলতে পারে; কিংবা একটি রিক্সা/ভ্যান;
আমরা তো বিবেকের তাড়নায় অনেক কিছুই করছি,
আসুন না: বীরবলের গল্পের সেই দুরের আলোতে মনোবল পাবার মতো, আলোকিত মানুষদের প্রচেষ্টাকে সামনে রেখে একটু চেষ্টা করি।
এবার একটা পরিবারকেই স্বাবলম্বী করে তুলি; আগামী বার দুটো, তারপর ম্যাট্রিক্স আকারে বারতেই থাকবে;
আমি বিশ্বাস করি, এ অসম্ভব নয়; প্রয়োজন উদ্যোগতার;
এখানে যারা ব্লগার আছেন, তাদের অনেকেই এতো ব্যস্ত থাকেন যে, অমার এ চিন্তা তাদের কাছে তুলে ধরার সময়ও তারা দিতে পারবেন না।
তবু যারা মুক্তচিন্তা করেন, প্রথম আলো কিংবা অন্যান্য পত্রিকার সাথে যারা জড়িত, আপনারা চাইলেই শুরু করা যায়।
আমার ক্ষমতা না থাকলেও, সহযোগীতার হাত বাড়িয়েই রাখলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



