আজকে প্রথম আলোতে একটা লিড নিউজ হলো
"আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু বানাবো"
। এই পদ্মা সেতু নিয়ে এত এত খবর বের হয়েছে যে আমার মনে হয় এখন স্বয়ং পদ্মা নদী ও তার মান সম্মান নিয়ে এত টানা টানি দেখে এই সরকারের উপর চরম বিরক্ত হয়ে নিরবে কান্না করিতেছে

। নদীটির মধ্যে পানি বলে আমরা হয়তো সেই কান্না দেখতে পাইতেছিনা। অনেক আবুল , মফিজ র্দূনীতি করে নিজের পেট পুরানোর পর বিশ্ব ব্যাংক সে র্দূনীতির বিষয় টা জানতে পেরে অনুদান ঋন বন্ধ করে দিয়েছে সেটা আমরা সবাই জানি। ২ দিন আগে পত্রিকায় দেখলাম বাংলাদেশ সরকার আবার নতুন করে বিশ্ব ব্যাংক এর সাথে ঋন চুক্তির কার্যক্রম শুরু করেছে। কিন্তু আজকে আবার পত্রিকায় দেখলাম আমাদের প্রধানমন্ত্রী আবার বলতেছেন আমাদের টাকায় পদ্মা সেতু হবে। আর আমরা বোধাই জনগন

(জনগন কে বোধাই বললাম কারন ওরা আমাদের তাই মনে করে) কোন কথাটাকে বিশ্বাস কিছুই বুঝে উঠতে পারতেছিনা। আজকে এক কথা তো পরের দিন আরেক কথা

। আমার মনে হয় এই সরকার পুরা টাল হয়ে গেছে এক পদ্মা সেতু নিয়ে

। আর টাল মাথায় এও শুনেছি বিশ্ব ব্যাংক টাকা না দিলে কি হয়েছে আমরা নিজেদের টাকায় ২ টা পদ্মা সেতু বানাবো

।
জনগনের টাকায় পদ্মা সেতু হবে কত বড় সুখের কথা। কিন্তু এখানে ও সেই জনগন কে সু কৌশলে আবার বোধাই বানানোর চেষ্টা ছলতেছে


। বাংলাদেশের লাখ লাথ কোটি পতি আছে আর এই কোটি পতি রা নিজেদের ইনকাম ট্যাক্স বাবধ লাখ লাখ টাকা ফাঁকি দিতেছে


। সেটার কোন বিহিত না করে আমরা সাধারন জনগনের পিঠের উপর এতবড় একটা বাজেট চাপিয়ে দিতেছে

:# অতি সু কৌশলে মোবাইল বিলের উপর অতিরিক্ত কর আরোপ করে। যে জনগন হয়তো একটু বিনোদনের আশায় বা তার ফ্যামিলির খোঁজ খবর নেয়ার জন্য তাকে ফোন করতেই হয়। আর এখন সেই ফোন কলের উপর দিতে হবে অতিরিক্ত কর


।
ট্যাক্স ফাঁকির ছোট্ট একটা সত্য উদাহারন দিই .....আমি অফিসের কাজে একজন বিশিষ্ট ভদ্র লোকের বাড়িতে গিয়েছিলাম, তো ওই ভদ্রলোক ফোনে কার সাথে কথা বলতেছিলেন আমার সামনেই। কথা গুলো এই রকম "আমি ৩২ লাখ টাকার ট্যাক্স মাত্র ২-৩ লাখ টাকায় এনে দিতেছি

"।
তাহলে দেখেন বাংলাদেশের ট্যাক্স ফাঁকির নমুনা। তাই বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ সাধারন জনগন কে ঝাঁতাকলে আর পিষ্ট না করে বড় বড় রাগব বোয়াল যারা কোটি কোটি টাকা র্দূনীতি করতেছে ওদের আটকান। তাহলে একটা না আরো একাধিক পদ্মা সেতু বানানো সম্ভব হবে আমাদের নিজেদের টাকায়।