somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বইছে এখন নির্বাচনী হাওয়া, চাই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করে তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে। আর তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে। এখন দেশে জোড়ে শোরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। বাড়িতে, অফিসে, চায়ের দোকানে বসে গেছে টকশো। আলাপ হচ্ছে শুধুই নির্বাচন নিয়ে। পক্ষে-বিপক্ষে চলছে চুল চেরা বিশ্লেষণ। একে অপরের প্রতি যুক্তি তুলে ধরছে নিজের দল ও প্রার্থীকে সেরা প্রমান করতে। তবে, তর্ক-বিতর্ক সবই চলুক শান্তিপূর্ণ ভাবে। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান হোক সকল দল, মতের মানুষের।

একাদশ জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচনে এবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০ ভোটার। এরমধ্যে পুরুষ ৫ কোটি ২৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৯ জন ও নারী ৫ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৫১ জন। সম্ভাব্য ভোট কেন্দ্র হবে ৪০ হাজার ১৯৯টি। এতে ভোট কক্ষ থাকবে ২ লাখ ৬ হাজারেরও বেশি। প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে ৫টি করে ভোট কক্ষ থাকে। ভোটের অন্তত ১৫দিন আগে কেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশনার।

পরিসংখ্যান দেখলেই অনুমান করা যায়, কি বিশাল জনগোষ্ঠী একটি অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে জনগণকে তার রায় দেয়ার সুযোগ দেয়ার। আর ইচ্ছা থাকলেই কেবল তা সম্ভব বলেই মনে হয়। বিশাল জনগোষ্ঠীর সবাই রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নয়। কিন্তুু আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো কথায় কথায় বলে ‘জনগণের আশা আকাঙ্খা’ পূরনে তারা কাজ করছে। জনগণ সেটা ভালো ভাবেই জানে কি আশা আকাঙ্খা পূরনে তারা কাজ করে। দেশের জনগণ এখন অনেক সচেতন। রাজনৈতিক বক্তব্য বুঝার যথেষ্ট জ্ঞাণ জনগণের আছে, কিন্তু জনগণ যে সব বুঝে সেই বিষয়টা আমাদের নেতাদের বুঝার জ্ঞান আছে কিনা আমার সন্দেহ আছে। আর থাকলেও তারা সাধারণ জনগণের ধুয়া তুলে নিজেদের আখের গোছাতেই বক্তব্য দিয়ে থাকে বলে মনে হয়। সরকার যা করে সবই জনগণের জন্য, বিরোধী দলেরা যা করে সব জনগণের জন্যই। এসব বক্তব্য পরিহার করে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত তাদের প্রকৃত অবস্থান তুলে ধরা।

রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা যে কথাই বুলক না কেন, জনগণ হিসাবে ‘জনগণের আশা আকাঙ্খা’র কিছু কথা তুলে ধরি। ১) বেশিরভাগ জনগণেরই প্রত্যাশা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরাপদ, নিরপেক্ষ, সংবিধান সম্মত নির্বাচন পাওয়া, ২) দেশে সকল রাজনৈতি দলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সুযোগ, ৩) অহিংস ভাবে সকল দলের সভা-সমাবেশ করার সুযোগ দেয়া, ৪) রাজনৈতিক কারনে হানাহানি-ধরপাকর বন্ধ করা, ৫) যার যার ভোট তা প্রয়োগের সুযোগ তৈরী করা, ৫) অর্থ পাচারকারী, আত্মসাতকারী, আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া ব্যক্তিদের ভোট না দেয়া বা তাদের বর্জন করাও জনগণের আশা আকাঙ্খার একটা বিষয়। এমন হাজারো আশা আকাঙ্খার কথা তুলে ধরা যায়। আসলে জনগণ কি চায় সেটা সরকারী কর্মকর্তারা যেমন জানেন, তেমনি জানেন সরকারী দলের কর্তাব্যক্তিরা, বিরোধী জোটের কর্তাব্যক্তিরাও। তাই জনগণের ধুয়া না তুলে নিজেদের অবস্থানটা পরিস্কার করুন। জনগণের সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ দিন। জনগণকে বোকা ভাববেন না।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩১
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×