somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

(গল্প) সংবাদ

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




আমি লোপা পুরা নাম নাদিয়া জাহান লোপা , অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি ।
আমার চেহারা ইন্ডিয়ার এক নায়িকার সাথে অনেকটা মিলে যায় বলে কেউ কেউ আমাকে ওই নায়িকার নামেও ডাকে । ঘনিষ্ট বান্ধবীরা আমাকে ক্ষেপানোর জন্য লেপ বলে ডাকে। আমি বোরখা পরে কলেজে আসি কারণ যতটা না ধর্মীয় তারচেয়ে অন্য কারণ বেশি, যেমন অসম্ভব সুন্দরী বলে অনেকেই হা করে তাকিয়ে থাকতো বা প্রপোজ করতো এখন সে সমস্যা নেই, আর বোরখা পড়লে ভালো মেয়ে হিসাবে সবাই চিহ্নিত করে সেটাও একটা ফিল গুড ফ্যাক্টর ।
এইবার আসি মূল ঘটনায় ঘটনার নায়ক জাহিদ স্যার । আমাদের ইংরেজির শিক্ষক অবিবাহিত ভদ্র ও অসম্ভব ভালো কিন্তু প্রচন্ড রকমের অহংকারী । নিজেকে সবসময় গুটিয়ে রাখেন অথচ আমি কত ভাবেই উনাকে বুঝতে চেষ্টা করেছি যে উনাকে পছন্দ করি কিন্তু গুড়ে বালু উনি কিছু বুঝেন নাই এইভাবে ন্যাকা সেজে এড়িয়ে গেছেন। ব্যার্থতা আমার মধ্যে একধরণের অপমান বোধ এনে দিয়েছে সেই সাথে জিদ । কি নেই আমার সামাজিক পরিচয় থেকে চেহারা ফিগার তারপরেও কেন উনি এড়িয়ে যাচ্ছেন বুঝিনা। শেষমেশ বান্ধবী নিপার পরামর্শে অন্য বুদ্ধি করলাম দেখি স্যারের সাথে ঘনিষ্ট হয়ে কিছু পাওয়া যায় কিনা ।
জাহিদ সার কলেজের পরে বিকালে কলেজের পাশেই একটা রুম ভাড়া নিয়ে ব্যাচ করে টিউশনি পড়ান। আমি আর নিপা উনার কাছে যেয়ে বললাম
-স্যার আমাদের পড়াতে হবে
- স্যার বললেন দুজন তো আমি পড়াই না অন্তত পাঁচজনের ব্যাচ না হলে কেমন হয় ।
আমাদের পীড়াপিঁড়িতে শেষমেশ উনি রাজি হলেন। আজ পনেরদিন হলো স্যারের কাছে পড়ছি দুইবার লজ্জার মাথা খেয়ে খাতায় লিখেছি স্যার আমি আপনাকে পছন্দ করি কাজ তো হলোই না উল্টা উনি বললেন আগামী মাস থেকে উনি নাকি আমাদের আর পড়াবেন না । আমার জিদ জিঘাংসায় পরিণত হচ্ছে এই অপমান মানা যায় না ।
আজ নিপা আসেনি আমি একাই পড়ছি, বৈশাখ মাসের গরমের কারণে বোরখা খুলে পাশেই রেখে পড়তে বসেছি । স্যার শেক্সপিয়ারের রোমিও এন্ড জুলিয়ট পড়াচ্ছেন । হটাৎ আমার মাথায় বুদ্ধিটা খেলে গেলো সাথে সাথে আমি একটানে আমার ব্লাউজ টা ছিঁড়ে ফেললাম এখন আমার উর্ধাঙ্গে শুধু ব্রা ,
স্যার করো কি ! করো কি! বলে পাশথেকে আমার বোরখা নিয়ে আমার শরীর ঢাকতে চেষ্টা করলেন। আমি শরীরের সর্ব শক্তি দিয়ে চিৎকার করলাম বাঁচাও বাঁচাও স্যার হতভম্বের মত দাঁড়িয়ে আছেন হুড়মুড় করে বেশ কয়েকজন মানুষ রুমে ঢুকে পড়লো, সম্ভবত উনারা পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন ,মেয়ে কণ্ঠের চিৎকার শুনে ছুঁটে এসেছেন । আমার অবস্থা দেখে তারা বিভ্রান্ত হয়ে মনে করলো ধর্ষণ প্রচেষ্টা ইদানিং এই জিনিস পেপার খুললেই দেখা যায় । এইধরণের ঘটনা প্রাইমারি স্কুল ,মাদ্রাসা ,কলেজে প্রতিদিন খবরের শিরোনাম হচ্ছে ।

কয়েকজন স্যারের উপর ঝাঁপিয়ে পরে মার্ শুরু করলো ।কয়েকজন আমাকে অভয় দেয়ার জন্য শান্তনা দিতে লাগলো । কেউ পুলিশ ডাকতে ফোন দিচ্ছ লোক বাড়ছে আর হইচই বাড়ছে । হটাৎ একজন বললো শালা অজ্ঞান হয়ে গেছে কেউ একজন বললো শালা ভঙ্গ ধরছে মার্ শালারে । মাটিতে পড়েথাকা স্যারের উপর লাত্থি চলতেই থাকলো ।
এরমধ্যে পুলিশ এসে সবাইকে মাটিতে পড়া স্যারের দেহ থেকে একটু দূরে সরিয়ে দিলো । দারোগা স্যারের মাটিতে পরে থাকার ভঙ্গি দেখে ভুরু কোঁচকালেন অভিজ্ঞ মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ নিয়ে স্যারের পড়েথাকা দেহের পাশে বসে এক হাতে কব্জির নার্ভ ও অন্যহাত নাকের পাশে রাখলেন । মিনিট খানেক নীরবতা এরপর দারোগা বললেন এ তো মরে গেছে আপনারা কে কে ঘটনার সাক্ষী হবেন? এক মিনিটের মধ্যে ঘর খালি ।মার্ডার কেস কেউ ঝামেলা চায় না । এখন রুমের মধ্যে পুলিশ আমি আর স্যারের মৃতদেহ ।স্যারের চোখ দুটো খোলা সেখানে অসহায় দৃষ্টিতে রাজ্যের বিস্ময়।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৮
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×