গত সন্ধ্যার অনা-ড্ডায় এক সফল ব্যক্তির প্রসংগ এল, যার বিয়ের ৩ বছরের মাথায় তার স্ত্রী দুর্ঘটনায় মারা যান।
এর পরে ঐ ভদ্রলোক আর বিয়ে করেন নি।
আলোচনাকারী বললেন, " জীবন্টা কি? স্ত্রীর ভালোবাসায় তিনি আর বিয়েই করলেন না!"
পাশ থেকে এক না-দুষ্টু লোক কইল, "আপনি কি শিউর, সে তার স্ত্রীর শোকেই বিয়ে করেনি,
এমন ও তো হইতে পারে, তার ৩ বছরের সংসার জীবনে অভিজ্ঞতার ভয়ে আর বিয়ে করেন নি"।
হুম, উহা হইতে পারে।
আলোচনা এখানেই শেষ,।
কিন্তু, সমস্যা হইল চিরকুমার সংঘের ;
তারা বুঝতে পারছে না, এই সফল ব্যক্তিকে তারা সদস্য পদ দিবে কিনা?
যদিও সে চায় নাই, এই বিরল সম্মান।
তথাপি, চিরকুমার সংঘের একটা দায়িত্ববোধ বলে ব্যাপার আছে নাহ!
চাইলেই তো আর তারা সেটা এড়িয়ে যেতে পারে না, তাই না!
প্রস্তাব আসলো, তাকে অনারারি উপদেষ্টার পদ দেয়া হোক।
এইখানেও ঝামেলা বাধছে, যদিও তার এখন বউ নাই, সে বিয়া তো করছে, এইটা তো মূল শর্তরেই ভংগ করে।
এই ইস্যু আরও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, যখন কিছু বিক্ষুব্ধ সদস্য ঘোষণা দিয়া বসল,
সফল ব্যক্তিকে সদস্য বা উপদেষ্টা রুপে গ্রহন করিলে তারা ও বিবাহ করিয়া ফালাইবে।
সর্বশেষ সভাপতি একটা ইউনিক আইডিয়া নিয়া আসলেন,
চিরকুমার সমিতির আজীবন সদস্য হওয়া খুবই দুর্লভ ও কষ্টের বিষয়, খুব কম লোকই এর সদস্য পদে আজীবন থাকতে পারে।
সো আমরা ১টা বিপত্নীক সমিতি খুলিতে পারি, এবং উহাতে তাকে সভাপতি করিতে পারি।
মশাই, সে ভালো বলেছেন, কিন্তু এতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ও ইউনিক সমিতি হিসেবে আমরা আমাদের গ্রহনযোগ্যতা হারাইবে,
আর ওরা আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবে।
যেহেতু আমরা সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রানী, অদূর ভবিষ্যতে আমরা ও উক্ত সমিতির সদস্য হইতে পারিব, বলিয়াই সভাপতি জিহ্বায় কামড় দিলেন।
এই কথা বলিয়া তিনি সমিতির ৪২০ এর ঞ নং অনুচ্ছেদ বলে সভাপতি পদ হারাইছেন...
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:০০