তোমারে দেখে যে অনুভূতি,
সে কি প্রেম না কাম
ওটা কি ভালোবাসা নাকি কামনা
তোমার ঠোটে ঠোট ছোয়ায় যে উষ্ণতা
সে ও কি লালসা
তোমার চিবুকের যে রঙ,
সে কি লাজ নাকি আহ্বান
কাধের তিল, কৃষ্ণ বড়
সে কি কৃষ্ণগহর
হারায় যেথা ভাবনা
কোমড়ের বাক, বা নিতম্বের ঢেউ
হারায় যেথা মন, দিশেহারা পথিক যেমন
হালছাড়া নাবিক তেমন
বক্ষ তোমার সে কি এভারেস্ট
ছিটকে পড়ি আহোরনে
নাভী তোমার কতটা তল
অথৈ জল
সুমিষ্ট জমজম
পবিত্র আবগাহন
যোনী কি কোন ও নাম না জানা ফুল
মূলে যার গর্ভাশয়
শরীর যেন জায়নামায
প্রার্থনায় সংগম
সংগমে প্রার্থনা
হাতের ছোয়ায় পায় প্রান ক্লান্ত দেহ
জেগে ওঠে শরীর শরীরের ক্ষুধায়
স্পর্শে মাতে মন
হৃদয়ে শিহরণ
তোমার আভরন
আগমন
বৃন্ত তোমার বুকের পাহাড়ে
স্বাদে অমৃত, যমযম যেন
হাজার রোগের তৃষ্ণা
এ স্বাদ শুধু প্রেমিকের
একার অধিকার
ঈশ্বর ও বঞ্চিত হেথায়
উপত্যকায় ফেলে নোঙর
কাটাই রাত সুদীর্ঘ প্রহর
সমাপ্তি না আসুক তার
চলুক এ মৌন অভিসার
ঊঠুক সূর্যিমামা রোদ প্রখর
হোক শুরু দিন সংগমের
যেথায় সমুদ্রস্মান হবে
আকনঠ জলে ডুবে
পুন:পুন অবগাহনে হাজার ডুবে
জলকেলিত মাখামাখি
প্রেমিক প্রেমিকার
সে চাষ যোগ্য ভূমি
মাটির লাঙলে হবে চাষ
উর্বর দোয়াশ মাটির বুক
চিরে যাবে লাঙলের ফলা
দেহ বেকে যায় তীব্র শিৎকারে
যেমনি বাকে ধনুক
তীরন্দাজের হাতে
তূনের টানে
বস্ত্রহীন অধর: এক ভাস্কর্য
জীবন্ত এক, খোদাই করি
চুম্বন, কামড় আর লেহনে
সুতীব্র এক দেবী পূজোর
প্রার্থনা মেহনে পূর্ণতার
অর্ঘ বিলিয়ে দেই দেবীর গতর
নিজ থেকে কি আছে বড় পুরস্কার