সময়ঃ ১৯১৩ সালের শেষ দিকের কোন একদিন।
রমিজ মিয়া একজন সচ্ছল কৃষক। গ্রামের পাঁচ জনের একজন। পড়াশোনায় নিজে বেশীদূর আগাতে পারেন নি। একমাত্র ছেলেকে দিয়েছেন মাদ্রাসায় আর ছোট মেয়েটাকে স্কুলে।
ছোট্ট সুমাইয়াকে মা হঠাৎ মাথার চুল ধরে হ্যাচকা টান দিয়ে চিৎকার করে উঠলেনঃ “তরে চাই আমি লেয়াপরা হিকাইয়া মানুষ বানামু আর তুই এত্ত বড় মিছা কথা কইলি আমার লগে?”
মেয়েটা প্রথমে একটু ভড়কে গেলেও, মুহূর্তেই ফিক করে হেসে দিলো। মা-বাবা দু’জনই অবাক। তামাশার সাথে খানিকটা রাগ মিশিয়ে এ’টুক মেয়েই বললো, “মিছা কথা কইলে আমগোরই দুষ! তুমি হামার চুল ছের আর হেইদিন ভাইডারে এত্তবড় বেত দিয়া পিডাইলো হের হুজুর মিছা কথার লাগি।” খানিক দম নিয়ে সে আবার বললো, “একটু আগেই তো হাসিনা-খালেদার ফোনালাপ হুনলা! হেরা যে মিছা কথা কয় গরগরইয়া, হেগো চুলডা তুমি হাতরাইয়া পাওনা? লেয়াপরা তো হেরাও করছে, নাকি?”
মা লা’জবাব।
রমিজ মিয়া মুহূর্তেই দাঁড়িয়ে গেল চেয়ার ছেড়ে। তার হাতের মুষ্ঠি শক্ত হয়ে উঠলো, চোখে-মুখে প্রচন্ড রাগ! সে কি মারবে কলিজার টুকরা মেয়েটাকে?
না। রমিজ মিয়া মেয়ের মাথার উপর বাঁ হাতটা রাখলো দোয়া করার ভঙ্গীতে আর বললো, “ওদের শাস্তি আমরাই দেমু। তুই দেখ খারাইয়া!” দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে গেল রমিজ মিয়া। তার ডান হাতের মুষ্ঠি তখনো শক্ত করে ধরা!
আশরাফ আল দীন।।মিরপুর, ঢাকা।
[email protected]
#lies #politicsoflies #মিথ্যা #রাজনীতি #অপরাজনীতি
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫২