somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আশরাফ আল দীন
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ৩০ বছর চাকরি করেছি; অবসর নিয়েছি কর্নেল পদবীতে ২০০৬ সালে। এরপর এযাবৎ প্রিন্সিপাল হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে; এখন অর্কিড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা-তে। ‘স্কুল সাইকোলোজি’ নিয়েও কাজ করছি।

বিশালতায় হারিয়ে গিয়ে

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের চতুর্দিকের দৃশ্যমান জগৎটুকু দেখলেই বুঝতে পারি, আমরা কত ক্ষুদ্র জীব! তবে, আমরা যত ক্ষুদ্রই হই না কেন, মহান আল্লাহ্, যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তাঁর বিশালতার শেষ নেই! এই বিশালতা এমন যে, একে পরিমাপ করা যে কারো জন্যেই জটিলভাবে কঠিন, সাধ্যাতীত! তারপরও, মানুষকে আল্লাহ যে মেধা দিয়েছেন, হৃদয় দিয়েছেন এবং “স্বাধীনভাবে চিন্তা করা”র সক্ষমতা দিয়েছেন, তার একটি স্বাভাবিক দাবী হচ্ছেঃ মানুষ আল্লাহর বিশালতা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করবে! এই চিন্তার যত গভীরে সে যেতে পারবে, তার স্বত্তা তত বেশী অবনত হতে পারবে আল্লাহর কাছে। বান্দার “সেজদা” হবে অর্থময়!
আল্লাহর বিশালতা- সে এক অন্তহীন পারাবার! অবশ্য, সেই বিশালতায় সাঁতরে বেড়ানোর, কখনো কখনো হারিয়ে যাওয়ার, মধ্যে এক অনির্বচনীয় আনন্দ আছে। আল্লাহই এই বোধ সৃষ্টি করেছেন! এটাকেই হয়তো সূফী সাধকরা “খোদাকে পাওয়া”র অভিধায় ভূষিত করেন। এই আনন্দময়তার শেষ ধাপে গিয়ে জীবন-মৃত্যু একাকার হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক!
তাহলে, আমাদের মত সাধারণ মানুষের কী হবে? এখানে হতাশার কিছু নেই। বলা হয়েছে, প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে আল্লাহর অস্থিত্ব আছে, আল্লাহর একটি জায়গা আছে। প্রতিটি মানুষেরই আল্লাহর সাথে এক প্রকার সম্পর্ক আছে। বিশালত্বের সাথে ক্ষুদ্রত্বের এক অসাধারণ অঙ্গাঅঙ্গিতা! তাই আপন সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিটি মানুষই আল্লাহকে অনুভব করে, আল্লাহকে পায়!
আবার, বাস্তবতা হলোঃ মানুষের চিন্তা ও চেতনার পরিধি ভীষণভাবে সীমাবদ্ধ! ক্ষুদ্রত্বে সে বৃত্তবন্দী হয়ে থাকবে, এটাই যেন স্বাভাবিকতা! তাই, জীবনের প্রতি আমাদের সীমাহীন ভালবাসা, আর মৃত্যুকে আমাদের ভীষণ ভয়! কারণ, মৃত্যু নামের পর্দা সরে যাওয়ার পর যে পথ-পরিক্রমা তার অনিবার্যতা সম্পর্কে জানার পরও অনিশ্চয়তার ভয় আমাদের ঘিরে রাখে! অথচ, আল্লাহর রসুল হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম নিশ্চিত করছেন যে, প্রতিটি মানুষের জীবন-পরিক্রমার এক অতি ক্ষুদ্র অংশ হলো পৃথিবীর জীবন! এর আগে ও পরের অনিবার্য অংশ হচ্ছে সুদীর্ঘ পথ-পরিক্রমা। সেখানকার চলাটাও আল্লাহর বেঁধে দেয়া নিয়মেই চলে। সেই জীবনের পরতে পরতে রয়েছে আল্লাহর রহমত, আমাদের প্রতি দয়া আর অকল্পনীয় সব বিস্ময়! তবে, নিশ্চিতভাবেই তা আছে।
সেদিকপানে দৃষ্টি রাখলে আর এসব কথা ভাবলে, এই জীবনজুড়ে যেসব হীন আচরণ আমাদের গ্লানিযুক্ত করে, হিংসা-বিদ্বেষ-অপকর্মের মতো অর্থহীন কাজ যা আমাদের প্রচন্ড ব্যস্ত রাখে এবং সময়ের অপচয় নিশ্চিত করে - ইত্যাদি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে।
আমাদের জীবনের লক্ষ্যই তো কৃতকার্যতা/ সফলতা, যা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমেই কেবল সম্ভব!

আশরাফ আল দীন।।মিরপুর, ঢাকা।
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×