সামু তে এটা আমার প্রথম পোষ্ট । আমি বাংলাতে লিখতে পারি না তাই মাহবুব আমার পক্ষ থেকে লিখে দিচ্ছে। এজন্য তাকে ধন্যবাদ । তার কারনেই আমি মাহবুব এর কিছু ব্লগ পড়ি এবং উৎসাহিত হই।
আর তেলবাজী না করে এবার ঘটনায় যাই। ৮ জুলাই এর ঘটনা। ৯ তারিখ আমাদের ভার্সিটিতে একটি চ্যারিটি কনসার্ট । আমি আর মাহবুব ঠিক করলাম টিকিট কিনব। কিন্তু একে তো ক্লাসে একটা কুউজ হল সেখানে ভুল করেছি, আর মাহবুব আনতে ভুলে গেছে টাকা। আবার যারা টিকেট দিবে তারাও এত সকালে আসে নাই। মেজাজ খারাপ করে ঠিক করলাম কিনবই না। যদিও আমারা যখন ভার্সিটি ত্যাগ করি তখন তারা ছিল। যাই হোক বাসে ওঠার সময় তকেই ঝামেলা শুরু যাই হোক মাহবুব এর বাসায় গেলাম আমি আর আরিফ। ওদিকে আমার পকেটে ওই ১০০ টাকা কনসার্টের টিকেটের টাকা যা আমি ব্যাংক ভেঙ্গে বের করেছি । মাহবুব এর বাসা থেকে বের হয়ে আরিফের কাছ থেকে ৯ টাকা নিলাম আমার বাসায় যেতে লাগবে ৮ টাকা। আরিফ গেল এক দিকে আর আমি আরেকদিকে। মোড় ঘুরতেই বাম পায়ের স্যান্ডেল গেল ছিড়ে । অনেক টেনে হিচড়ে হাটতে হাটতে একটা জুতা সেলাইর দোকেন পেলাম। বলে কয়ে সেখান থেকে দুই টাকা দিয়ে সেলাই করালাম। আরেকটু হেটে বাসে উঠব ঠিক এমন সময় ছিগলো ডান পায়ের টা। কষ্ট করে বাসে উঠে ভাড়া দিয়ার সময় বল্লাম মামা ১ টাকার জন্য ১০০ টাকার নোট ভাঙ্গানোর চেয়ে ১ টাকা বরং কমই নাও। গন্তব্যে পৌছে আরেক ঝামেলা। স্যান্ডলের যে অবস্থা এটা পড়ে হাটা অসম্ভব ব্যাপার। তাই হাতে নিলাম । রাস্তা পার হলাম আট মিনিটের হাটা পথ আমি ৪ মিনিটে পার করলাম। তখন শুধু একটা বগ ভাই এর কথা মনে পড়ছিল যে " আমি কেমন তা তো আমার পরিচিত মনুষরা জনেই, আর অপরিচিত মানুষ আমায় নিয়ে কি ভাবলো তাতে আমার কি? আমার উচিত আমার মত জীবন টাকে উপভোগ করা" তো আমিও ভাবছিলাম পরিচিত কেউ আমাকে দেখলে তো জিজ্ঞেস করবেই আর অপরিচিত মানুষ থাক না পড়ে। যাই বাসায় ঢুকলাম । মনে মনে ভাবছি যে ভাগ ভাল আজ বাড্ডার রাস্তা শুকনো ছিল নাইলে তো আমি শেষ। তখণই শুরু হল বৃষই। মনে মনে ভাবলাম আহ আল্লাহর রহমত কত বিশাল আমার উপর ভাল কাজ না করার জন্য বাঁস যদিও দিয়েছেন তাও আবার সহানুভুতিও দেখিয়েছেন যেআমাকে বাড্ডা - বাজার রোডের কাদা খালি পায়ে পাড়াতে হয় নি। যারা রাস্তাটা চেনেন তারা তো বুঝবেনই আমি কি বলতে চাইছি!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১০:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



