somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লুনার সোসাইটি বা এল ফোর সোসাইটি ও ফ্রীমেসন এবং অলড্রিনের চন্দ্রবিজয়

২৬ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




নীল আর্মস্ট্রং এর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত, অনেকেই তার মৃত্যুতে চন্দ্রাভিযান নিয়ে নস্টালজিক হয়ে যাচ্ছেন। হ্যা, নিঃসন্দেহে এটা বড় বিজয়। আর অনেকে আছেন এটা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন, আসলেই কি চাঁদে মানুষ গিয়েছিলো, নাকি সবই সাজানো নাটক? না, নাটক নয়, মানুষ আসলেই গিয়েছিলো চাঁদে তবে সেটা সম্ভব হয়েছিলো মেসনারি সেক্রেট সোসাইটির কল্যানে। আমি আমার আগের নোটে বলেছিলাম নাসা মেসনারিদের সাথে যুক্ত। মেসন সম্পর্কে আমি শেষে আলোচনা করবো। নীল আর্মস্ট্রং এর সাথে মেসানের সম্পৃক্ততা তেমন একটা না থাকলেও বাজ অলড্রিন ছিলেন মেসনইক ব্রাদার। আসুন তাহলে ফিরে যাই ১৯৬৯ সালের দিকেঃ

Freemasonry: “When man reaches new worlds, Masonry will be there.”

উপরের উক্তিটি এডুইন অলড্রিনের করা একটা উক্তি যেটা ১৯৬৯ সালের ইস্যুতে ফলাও করে প্রচার করেছিলো নিউ এজ পত্রিকা।



এই পত্রিকাটি the

Supreme Council 33° A.&A. Scottish Rite of Freemasonry of the Southern Jurisdiction, Washington, D.C. এর অফিসিয়াল পত্রিকা। ১৯৬৯ সালের জুলাই মাসে অলড্রিন চন্দ্রবিজয়ের পর Scottish Rite of Freemasonry of the Southern Jurisdiction এর সদর দপ্তরে যান,

Mrs. Smith, Grand Commander Luther A. Smith, and Aldrin

Kleinknecht welcomes Aldrin

Astronaut Aldrin presents the flag (left to right): Grand Commander Smith, Brother Aldrin (Aldrin's father), C. Fred Kleinknecht, Jr., C. F. Kleinknecht, Sr., and Buzz Aldrin

Grand Commander Smith and Aldrin
সেখান থেকে তিন একটা পতাকা নিয়ে আসেন সাথে করে, যেটা তিনি এপলো ১১ তে করে চাঁদে নিয়ে গিয়েছিলেন । দেখুন পতাকায় মেসনারিদের লোগো আছে।তাকাটা সিল্কের তৈরী, ২২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ও ৩০ ইঞ্চি প্রস্থের তৈরী। পতাকায় লেখা “The Supreme Council, 33°, Southern Jurisdiction, USA” and the motto “Deus Meumque Jus.” দুই মাথাওয়ালা ঈগলের ছবি রয়েছে যা ৩৩ ডিগ্রী সুপ্রীম কাউন্সিলের প্রতীক বহন করে। এবং রয়েছে কম্পাস ও ইনভার্টেড কম্পাস যা মেসনারীদের প্রতীক বহন করে। এবং ১৬ থে ২৪ শে জুলাই ১৯৬৯ সালে এই পতাকাটা এই উক্তিই প্রমান করে যে, When man reaches new worlds, Masonry will be there।



উল্লেখ্য তিনি ১৯৬৯ সালের ১৬ ই সেপ্টেম্বর সেখানে যান।
এপলো ১১ তে সরাসরি মেসনারিদের সম্পৃক্ততা ছিলো এবং তারা এটা গর্বের সাথেই মিডিয়াকে প্রচার করতে বলে, এতে তারা কোন রকমের লজ্জা কিংবা ভয় পায় না। ১৯৬৯ সালের ইস্যুতে কেনেথ এস ক্লেঞ্চেটের একটা বিশাল আর্টিকেল রয়েছে, যেখানে তিনি চন্দ্রাভিযানে মেসনারিদের সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরেন।
কেনেথ এস ক্লেঞ্চেট ছিলেন ৩৩ ডিগ্রী এর নির্বাহী ব্যাবস্থাপক। (the Supreme Council 33° A.&A. Scottish Rite of Freemasonry of the Southern Jurisdiction কে সংক্ষেপে ৩৩ ডিগ্রী বলা হয়)।

এ ম্যাগাজিনের ১৩ নাম্বার পৃষ্ঠায় তিনি কয়েকজন এস্ট্রোনাটের নাম উল্লেখ করেছিলেন যারা মেসনিক ব্রাদারহুডঃ

Note how many of the astronauts themselves are Brother Masons: Edwin E. Aldrin, Jr.; L. Gordon Cooper, Jr.; Donn F. Eisle; Walter M. Schirra; Thomas P. Stafford; Edgar D. Mitchell, and Paul J. Weitz. Before his tragic death in a flash fire at Cape Kennedy on January 27, 1967, Virgil I. “Gus” Grissom was a Mason, too. Astronaut Gordon Cooper, during his epochal Gemini V spaceflight in August of 1965, carried with him an official Thirty-third Degree Jewel and a Scottish Rite flag. Via the lunar plaque, the Masonic ensignia and flag, and the Masonic astronauts themselves – Masonry already is in the space age. Can we doubt Freemasonry and its spiritual relevance to the modern era when even its material representatives have today made historic inroads into the infinite expanses of outer space?

এখানে উপরে কুপার নামক একজন এস্টোনাট রয়েছেন যিনিও ১৯৬৫ সালে একটা পতাকা নিয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু দুর্ভাগ্য ক্রমে তিনি চাঁদে নামতে পারেননি।


এমনকি ফ্রীমেসনারিরা চন্দ্রাভিযানকে ধর্মীয় অভিযাত্রা হিসেবে আখ্যা দিতেও দ্বিধাবোধ করেননি। তারা ক্লেঞ্চেটের সামনে একটা কম্পিউটার ইন্সট্রাকশানের মাধ্যমে এখানে ক্লিক করুন এস্ট্রোনাটদের উদ্দেশ্য করে লেখে দেন ,’’ চন্দ্রাভিযান সকল প্রকার শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্তি পাক’’ যদিও তারা এখন অনেকটা শয়তানের দিকেই ঝুকে পড়েছে, ফ্রীমেসন আর মেসনারিরা অনেকেই তাদের অতীত আদর্শ থেকে সরে এসেছে এখন। আর এটা সম্ভব হয়েছে অন্যান্য সেক্রেট সোসাইটির কারনে। তাছাড়া তাদের সাথে করে আরেকটা বাইবেলের উক্তিও লিখে দেয়া হয়, আর বলা হয় তারা যেনো চাঁদে সেটা রেখে আসে। মেসেজটা হচ্ছে, All men everywhere must hear our message or all men everywhere will perish” (ibid., pp. 15-16; my emphasis).

Kenneth S. Kleinknecht ছিলেন C. Fred Kleinknecht এর ভাই, যিনি কিনা ছিলেন The Supreme Council এর সভেরিন কমান্ডার।

আমার এটা লেখার উদ্দেশ্য এই না যে চাঁদের বিজয় ভুল প্রমান করা, আমার এটা লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে, মানুষের এই বিজয়ে সেক্রেট সোসাইটির কি ইনভলভমেন্ট ছিলো তা দেখানো। এ থেকে বোঝা যায় তারা এখনোও কি পরিমান শক্তিশালী।


এবার আসি সুপ্রীম কাউন্সিল সম্পর্কে,

এর অপর নাম, Mother Supreme Council of the World, এটা স্কটিশ রাইট ফ্রীমেসনারিদের সর্ব প্রথম সুপ্রীম কাউন্সিল। বলা হয়ে থাকে সকল প্রকার স্কটিশ রাইটের ফ্রীমেসনারিদের উদ্ভব হয়েছে এখান থেকে। এর অনেক নাম রয়েছে, যেমনঃ
The Supreme Council, 33°, Southern Jurisdiction, or by some other varying degree of complete titulage ইত্যাদি কিন্তু এর পূর্ন নাম হচ্ছে,
"The Supreme Council (Mother Council of the World) of the Inspectors General Knights Commander of the House of the Temple of Solomon of the Thirty-third Degree of the Ancient and Accepted Scottish Rite of Freemasonry of the Southern Jurisdiction of the United States of America."

আর স্কটিশ রাইট হচ্ছে


the Northern Masonic Jurisdiction in the United States

এটাও চাঁদে নিয়ে যাওয়া হয়, এটা হচ্ছে অফিশিয়াল জুয়েল ১৮ ডিগ্রী।

অর্থাৎ বিভিন্ন প্রকার রাইট রয়েছে যার সবাই মিলে তৈরী হয় ফ্রীমেসনারি। বলা হয়ে থাকে ৩৩ ডিগ্রী এর সর্বপ্রথম গভর্নিং বডি হচ্ছে এরা।

চন্দ্রবিজয়ের ১০ বছর পূর্তির মেডেলিয়ন, এগুলো নভোচারীদের দেয়া হয়েছিলো।

কুপারের পতাকা

সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪৯
১২টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×