
ছবির নাম মোনালিসা । আর্টিস্ট লিওনার্দো দা ভিঞ্চি(leonardo da vinci) । যদি প্রথম ছবিই চিনতে ব্যর্থ হন তাইলে বাকী ছবি না দেখেই ফেরত যাওয়ার অনুরোধ করছি । ছবিটি বর্তমানে প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামে রাখা আছে । যদি কখনো ছবিটি বিক্রি করা হয় তাহলে নিঃসন্দেহে এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে দামী আর্টওয়ার্ক হবে কোন সন্দেহ নাই ।

ছবির নাম স্টারি নাইট(starry night) । আর্টিস্ট ভিনসেন্ট ভ্যান গগ (vincent van gogh) । ডাচ পোস্ট-ইমপ্রেশনিস্ট আর্টিস্টের এই ছবিটি শোভাবর্ধন করছে নিউ ইয়র্কের মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্টে। ছবিটিকে অনেক শিল্পবোদ্ধা ম্যাগনাম ওপাস বলে আখ্যায়িত করে থাকেন ।
নেটে সার্চ করলে একটু কনফিউজড হয়ে যাবেন তাই আগেই বলে রাখি ভ্যান গগের স্টারি নাইট এবং স্টারি নাইট ওভার দা রোন(starry night over the rhone) দুইটি ভিন্ন ছবি । নেটে অনেকগুলো সাইটই দেখলাম এই অমার্জনীয় ভূলটা করেছে ।
![]()
ছবির নাম দা কিস (the kiss) . আর্টিস্ট গুস্তাভ ক্লিমট (gustav klimt) । ১৯০৭ সালে আঁকা ক্লিমটের এই ছবিটাই তার সবচেয়ে বিখ্যাত ছবি । ছবিটি বর্তমানে ভিয়েনার বেলভেদর মিউজিয়ামে আছে । ক্লিমটের আঁকা এই ছবির প্রেক্ষাপট ও তার যৌনাকাঙ্খা সম্পর্কে জানতে এখানে গুতা দিন [

ছবির নাম লাঞ্চ অফ দা বোটিং পার্টি (luncheon of the boating party) . আর্টিস্ট হলেন পিয়েরে অগাস্ট রেনো (pierre auguste renoir) । ছবিটি উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ফ্রান্সের উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিনোদনময় জীবনের প্রতিচ্ছবি । ছবিটি বর্তমানে ওয়াশিংটনের দা ফিলিপস কালেকশনে রাখা আছে ।

ছবির নাম গার্ল উইথ এ পার্ল ইয়াররিং(Girl with a pearl earring) । আর্টিস্টের নাম জোহান ভারমিয়ার (johannes vermeer) । ডাচ এই মাস্টারপিসকে অনেকসময় বলা হয় মোনালিসা অফ দা নর্থ অথবা ডাচ মোনালিসা । ছবিটি বর্তমানে নেদারল্যান্ডের হেগে মরিটশুজ গ্যালারীতে রাখা আছে ।

ছবির নাম ক্যাফে টেরিস অ্যাট নাইট(Café Terrace at Night ) । আর্টিস্ট ভিনসেন্ট ভ্যান গগ । ১৮৮৭ সালে তেলরঙে আঁকা ভ্যান গগের এই আরেকটি মাস্টারপিস এখন রয়েছে নেদারল্যান্ডের ক্রোলার মুলার মিউজিয়ামে ।

ছবির নাম কর্নার অফ দা গার্ডেন অ্যাট মন্টগেরন (Corner of the Garden at Montgeron) । আর্টিস্টের নাম ক্লদ মনে (claude monet) । ফ্রেঞ্চ ইমপ্রেশনিস্ট পেইন্টিং এর জনক ক্লদ মনের ১৮৭৭ সালে আঁকা এই ছবিতে প্রকৃতির রং ও আলোর মিশ্রণের অভূতপূর্ব ব্যবহার ছবিটিকে এত জনপ্রিয় করেছে।

ছবির নাম দা ড্রিম (the Dream) । আর্টিস্ট পাবলো পিকাসো (pablo picasso) । ১৯৩২ সালে তেলরঙে আঁকা এই ছবিটা অবশ্য ইরোটিক ছবি হিসেবেই আলোচিত । যাদের চোখ এড়িয়ে গিয়েছে তারা নারীর মুখের উর্ধ্বাংশ খেয়াল করুন । উত্তেজিত পুরুষ জননাঙ্গের মতই কি লাগে না!

এই ছবিটা অনেকেরই চেনার কথা । সালভাদর দালির কথা উঠলেই এই ছবিটা প্রসঙ্গে চলে আসে । ছবির নাম দা পারসিসটেন্স অফ মেমোরী (The Persistence of Memory) । গলে যাওয়া পকেট ওয়াচের এই সারিয়েলিস্ট
ছবিটা অনেকের মতে আইনস্টাইনের থিওরি অফ রিলেটিভিটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আঁকা । ছবিটি আছে নিউইয়র্কের মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্টে ।

ছবির নাম ফ্রম দা লেক (from the lake) । আর্টিস্ট জর্জিয়া ও কিফ (goergia o keeffe) । বিংশ শতাব্দীর শুরুতে নিউইয়র্কে থাকাকালীন লেক জর্জের কোমল স্রোতের শৈল্পিক প্রকাশ ।

ছবির নাম দা স্ক্রিম (the scream) । নরওয়ের এডভার্ড মাঞ্চের (edvard munch) আঁকা এই ছবিটা ২০০৪ সালে নরওয়ের মাঞ্চ মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়ে গিয়েছিল । পরে ২০০৬ সালে ছবিটা পুনরুদ্ধার করা হয় এবং ২০০৮ থেকে পুনরায় প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত করা হয় ।

ছবির নাম সানফ্লাওয়ারস(sunflowers) । আর্টিস্ট ভিনসেন্ট ভ্যান গগ । আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ ১২টা সূর্যমুখী ফুলের এই ছবিটা কিন্তু অনেক জনপ্রিয় ।

ছবির নাম দি লাস্ট সাপার(The Last Supper) । আর্টিস্টের নাম লিওনার্দো দা ভিঞ্চি । ১৫ শতকের এই ম্যুরাল পেইন্টিং অবশ্য ড্যান ব্রাউনের উপন্যাসের কারণে সবারই খুব পরিচিত ।

ছবির নাম লা ম্যলিন দে লা গ্যালেত(Le Moulin de la Galette) । আর্টিস্ট অগাস্ট রেনো । ছবিতে প্যারিসিয়ানদের টিপিক্যাল রবিবার চিত্রায়িত হয়েছে । ১৮৭৬ সালে আঁকা এই ছবিটি আছে প্যারিসের মুজেই দি অরসে তো ।

ছবির নাম ভার্জিন অফ দা রকস(Virgin of the Rocks) তবে অনেকসময় ম্যাডোনা অফ দা রকস নামেও(Madonna of the Rocks) ডাকা হয় । আর্টিস্ট হলেন লিওনার্দো দা ভিঞ্চি । ছবিটার দুইটা ভার্সন আছে প্যারিসের ল্যুভর ও লন্ডনের ন্যাশনাল গ্যালারীতে ।
![]()
ছবির নাম দা বার্ক অফ দান্তে (The Barque of Dante) । তবে দান্তে এন্ড ভার্জিন ইন হেল (Dante and Virgin in Hell ) নামেও পরিচিত । ফরাসী নিও ক্ল্যাসিকাল পেইন্টার ইউজিন দেলাক্রয়ের(Eugene delacroix) ১৮২২ সালে আঁকা ছবিটা বর্তমানে রয়েছে প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামে ।

ছবির নাম হ্যাম্বলটোনিয়ান (Hambletonian) । জর্জ স্টাবস (George Stubbs) নামের এই ইংলিশ পেইন্টার ঘোড়ার ছবি আঁকার জন্য বিখ্যাত । আপাতদৃষ্টিতে খুব সাধারন মনে হলেও মালিকের প্রতি দুই পায়ে দাড়িয়ে থাকা ঘোড়ার enthusiasm সহ আরও কিছু বিষয় ছবিতে প্রাধান্য পেয়েছে ।

ছবিটির নাম নম্বর ৫,১৯৪৮ (No.5 ,1948) । ছবির আর্টিস্ট জ্যাকসন পোলক (Jackson pollock) । পোলক একজন আমেরিকান পেইন্টার যিনি অ্যাবস্ট্রাক্ট এক্সপ্রেশনিস্ট মুভমেন্টের জন্য বিখ্যাত । ছবিটা দেখে যদিও সাধারন দর্শক কিছুই বুঝতে পারে না তথাপি এটাই বর্তমানে সবচেয়ে বেশী দামে বিক্রিত পেইন্টিংস ।
সত্যতা যাচাইয়ের জন্য Click This Link

ছবির নাম ক্রাইস্ট ইন দা স্টর্ম অন দা লেক অফ গ্যালিলি (Christ in the storm on the lake of Galilee) . ছবির আর্টিস্ট রেমব্র্যান্ট ভ্যান রেইন (Rembrandt van rijn) । তাকে ধরা হয় ডাচ ইতিহাসের এবং ইউরোপীয়ান আর্ট হিস্ট্রির অন্যতম সেরা পেইন্টার । ১৬৩৩ সালে আঁকা রেমব্র্যান্ট এর এই মাস্টারপিস ১৯৯০ সালে ইসাবেলা স্টুয়ার্ট মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়ে যায় যা কিনা আজও পাওয়া যায় নি ।

এই ছবিটা চেনা চেনা লাগে?? কার ছবি কি বৃত্তান্ত বলব না । নিজেরাই খুঁজে বের করেন ।

পাবলো পিকাসোর গারসো আ লা পাইপ (garcon a la pipe/ boy with a pipe) ছবিটা ২০০৪ সালে ১০৪ মিলিয়ন ডলারে (মূল্যস্ফীতি অ্যাডজাস্ট করে বর্তমান টাকায় প্রায় ৮৪০ কোটি টাকায় বিক্রি হয় । পোস্ট লেখার সময় পিকাসোর এই বিখ্যাত পেইন্টিং চোখ এড়িয়ে যায় । প্রিয় ব্লগার রুশো ভাই বলায় বোনাস হিসেবে দিলাম ঢুকিয়ে
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



