somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত পেইন্টিংস !! আপনি কয়টা চিনেছেন??

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছবির নাম মোনালিসা । আর্টিস্ট লিওনার্দো দা ভিঞ্চি(leonardo da vinci) । যদি প্রথম ছবিই চিনতে ব্যর্থ হন তাইলে বাকী ছবি না দেখেই ফেরত যাওয়ার অনুরোধ করছি । ছবিটি বর্তমানে প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামে রাখা আছে । যদি কখনো ছবিটি বিক্রি করা হয় তাহলে নিঃসন্দেহে এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে দামী আর্টওয়ার্ক হবে কোন সন্দেহ নাই ।


ছবির নাম স্টারি নাইট(starry night) । আর্টিস্ট ভিনসেন্ট ভ্যান গগ (vincent van gogh) । ডাচ পোস্ট-ইমপ্রেশনিস্ট আর্টিস্টের এই ছবিটি শোভাবর্ধন করছে নিউ ইয়র্কের মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্টে। ছবিটিকে অনেক শিল্পবোদ্ধা ম্যাগনাম ওপাস বলে আখ্যায়িত করে থাকেন ।
নেটে সার্চ করলে একটু কনফিউজড হয়ে যাবেন তাই আগেই বলে রাখি ভ্যান গগের স্টারি নাইট এবং স্টারি নাইট ওভার দা রোন(starry night over the rhone) দুইটি ভিন্ন ছবি । নেটে অনেকগুলো সাইটই দেখলাম এই অমার্জনীয় ভূলটা করেছে ।




ছবির নাম দা কিস (the kiss) . আর্টিস্ট গুস্তাভ ক্লিমট (gustav klimt) । ১৯০৭ সালে আঁকা ক্লিমটের এই ছবিটাই তার সবচেয়ে বিখ্যাত ছবি । ছবিটি বর্তমানে ভিয়েনার বেলভেদর মিউজিয়ামে আছে । ক্লিমটের আঁকা এই ছবির প্রেক্ষাপট ও তার যৌনাকাঙ্খা সম্পর্কে জানতে এখানে গুতা দিন [


ছবির নাম লাঞ্চ অফ দা বোটিং পার্টি (luncheon of the boating party) . আর্টিস্ট হলেন পিয়েরে অগাস্ট রেনো (pierre auguste renoir) । ছবিটি উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ফ্রান্সের উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিনোদনময় জীবনের প্রতিচ্ছবি । ছবিটি বর্তমানে ওয়াশিংটনের দা ফিলিপস কালেকশনে রাখা আছে ।


ছবির নাম গার্ল উইথ এ পার্ল ইয়াররিং(Girl with a pearl earring) । আর্টিস্টের নাম জোহান ভারমিয়ার (johannes vermeer) । ডাচ এই মাস্টারপিসকে অনেকসময় বলা হয় মোনালিসা অফ দা নর্থ অথবা ডাচ মোনালিসা । ছবিটি বর্তমানে নেদারল্যান্ডের হেগে মরিটশুজ গ্যালারীতে রাখা আছে ।


ছবির নাম ক্যাফে টেরিস অ্যাট নাইট(Café Terrace at Night ) । আর্টিস্ট ভিনসেন্ট ভ্যান গগ । ১৮৮৭ সালে তেলরঙে আঁকা ভ্যান গগের এই আরেকটি মাস্টারপিস এখন রয়েছে নেদারল্যান্ডের ক্রোলার মুলার মিউজিয়ামে ।


ছবির নাম কর্নার অফ দা গার্ডেন অ্যাট মন্টগেরন (Corner of the Garden at Montgeron) । আর্টিস্টের নাম ক্লদ মনে (claude monet) । ফ্রেঞ্চ ইমপ্রেশনিস্ট পেইন্টিং এর জনক ক্লদ মনের ১৮৭৭ সালে আঁকা এই ছবিতে প্রকৃতির রং ও আলোর মিশ্রণের অভূতপূর্ব ব্যবহার ছবিটিকে এত জনপ্রিয় করেছে।


ছবির নাম দা ড্রিম (the Dream) । আর্টিস্ট পাবলো পিকাসো (pablo picasso) । ১৯৩২ সালে তেলরঙে আঁকা এই ছবিটা অবশ্য ইরোটিক ছবি হিসেবেই আলোচিত । যাদের চোখ এড়িয়ে গিয়েছে তারা নারীর মুখের উর্ধ্বাংশ খেয়াল করুন । উত্তেজিত পুরুষ জননাঙ্গের মতই কি লাগে না!


এই ছবিটা অনেকেরই চেনার কথা । সালভাদর দালির কথা উঠলেই এই ছবিটা প্রসঙ্গে চলে আসে । ছবির নাম দা পারসিসটেন্স অফ মেমোরী (The Persistence of Memory) । গলে যাওয়া পকেট ওয়াচের এই সারিয়েলিস্ট
ছবিটা অনেকের মতে আইনস্টাইনের থিওরি অফ রিলেটিভিটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আঁকা । ছবিটি আছে নিউইয়র্কের মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্টে ।


ছবির নাম ফ্রম দা লেক (from the lake) । আর্টিস্ট জর্জিয়া ও কিফ (goergia o keeffe) । বিংশ শতাব্দীর শুরুতে নিউইয়র্কে থাকাকালীন লেক জর্জের কোমল স্রোতের শৈল্পিক প্রকাশ ।


ছবির নাম দা স্ক্রিম (the scream) । নরওয়ের এডভার্ড মাঞ্চের (edvard munch) আঁকা এই ছবিটা ২০০৪ সালে নরওয়ের মাঞ্চ মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়ে গিয়েছিল । পরে ২০০৬ সালে ছবিটা পুনরুদ্ধার করা হয় এবং ২০০৮ থেকে পুনরায় প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত করা হয় ।


ছবির নাম সানফ্লাওয়ারস(sunflowers) । আর্টিস্ট ভিনসেন্ট ভ্যান গগ । আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ ১২টা সূর্যমুখী ফুলের এই ছবিটা কিন্তু অনেক জনপ্রিয় ।


ছবির নাম দি লাস্ট সাপার(The Last Supper) । আর্টিস্টের নাম লিওনার্দো দা ভিঞ্চি । ১৫ শতকের এই ম্যুরাল পেইন্টিং অবশ্য ড্যান ব্রাউনের উপন্যাসের কারণে সবারই খুব পরিচিত ।


ছবির নাম লা ম্যলিন দে লা গ্যালেত(Le Moulin de la Galette) । আর্টিস্ট অগাস্ট রেনো । ছবিতে প্যারিসিয়ানদের টিপিক্যাল রবিবার চিত্রায়িত হয়েছে । ১৮৭৬ সালে আঁকা এই ছবিটি আছে প্যারিসের মুজেই দি অরসে তো ।


ছবির নাম ভার্জিন অফ দা রকস(Virgin of the Rocks) তবে অনেকসময় ম্যাডোনা অফ দা রকস নামেও(Madonna of the Rocks) ডাকা হয় । আর্টিস্ট হলেন লিওনার্দো দা ভিঞ্চি । ছবিটার দুইটা ভার্সন আছে প্যারিসের ল্যুভর ও লন্ডনের ন্যাশনাল গ্যালারীতে ।


ছবির নাম দা বার্ক অফ দান্তে (The Barque of Dante) । তবে দান্তে এন্ড ভার্জিন ইন হেল (Dante and Virgin in Hell ) নামেও পরিচিত । ফরাসী নিও ক্ল্যাসিকাল পেইন্টার ইউজিন দেলাক্রয়ের(Eugene delacroix) ১৮২২ সালে আঁকা ছবিটা বর্তমানে রয়েছে প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামে ।


ছবির নাম হ্যাম্বলটোনিয়ান (Hambletonian) । জর্জ স্টাবস (George Stubbs) নামের এই ইংলিশ পেইন্টার ঘোড়ার ছবি আঁকার জন্য বিখ্যাত । আপাতদৃষ্টিতে খুব সাধারন মনে হলেও মালিকের প্রতি দুই পায়ে দাড়িয়ে থাকা ঘোড়ার enthusiasm সহ আরও কিছু বিষয় ছবিতে প্রাধান্য পেয়েছে ।




ছবিটির নাম নম্বর ৫,১৯৪৮ (No.5 ,1948) । ছবির আর্টিস্ট জ্যাকসন পোলক (Jackson pollock) । পোলক একজন আমেরিকান পেইন্টার যিনি অ্যাবস্ট্রাক্ট এক্সপ্রেশনিস্ট মুভমেন্টের জন্য বিখ্যাত । ছবিটা দেখে যদিও সাধারন দর্শক কিছুই বুঝতে পারে না তথাপি এটাই বর্তমানে সবচেয়ে বেশী দামে বিক্রিত পেইন্টিংস ।
সত্যতা যাচাইয়ের জন্য
Click This Link



ছবির নাম ক্রাইস্ট ইন দা স্টর্ম অন দা লেক অফ গ্যালিলি (Christ in the storm on the lake of Galilee) . ছবির আর্টিস্ট রেমব্র্যান্ট ভ্যান রেইন (Rembrandt van rijn) । তাকে ধরা হয় ডাচ ইতিহাসের এবং ইউরোপীয়ান আর্ট হিস্ট্রির অন্যতম সেরা পেইন্টার । ১৬৩৩ সালে আঁকা রেমব্র্যান্ট এর এই মাস্টারপিস ১৯৯০ সালে ইসাবেলা স্টুয়ার্ট মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়ে যায় যা কিনা আজও পাওয়া যায় নি ।




এই ছবিটা চেনা চেনা লাগে?? কার ছবি কি বৃত্তান্ত বলব না । নিজেরাই খুঁজে বের করেন ।



পাবলো পিকাসোর গারসো আ লা পাইপ (garcon a la pipe/ boy with a pipe) ছবিটা ২০০৪ সালে ১০৪ মিলিয়ন ডলারে (মূল্যস্ফীতি অ্যাডজাস্ট করে বর্তমান টাকায় প্রায় ৮৪০ কোটি টাকায় বিক্রি হয় । পোস্ট লেখার সময় পিকাসোর এই বিখ্যাত পেইন্টিং চোখ এড়িয়ে যায় । প্রিয় ব্লগার রুশো ভাই বলায় বোনাস হিসেবে দিলাম ঢুকিয়ে :-B
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:০৭
৫৪টি মন্তব্য ৪৮টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×