somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আবারও শিশু হত্যা:: তবে এবার ডেটিং করতে না দেওয়ায়

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রতিশোধের বলি হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার সাত বছরের শিশু খাদিজা মণি মিতু। বান্ধবীকে নিয়ে ঘরে থাকতে (ডেটিং) না দেওয়ায় মায়ের প্রতি শোধ নিতে খুন করা হয় তাঁর শিশু সন্তানকে। খুনের সঙ্গে জড়িত মাসুক মিয়া পুলিশের কাছে দেওয়া ১৬১ ধারা ও আদালেতর কাছে দেয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে এমন কথাই বলেছে।
সন্ধ্যায় ঘাতক মাসুক মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, মাসুকের দেওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন। তিনি জানান, মাসুকসহ কয়েকজন মিলে এ হত্যাকান্ড ঘটায়। তবে মুক্তিপণের টাকা চাওয়ার আগেই শিশুটিকে হত্যা করা হয়। মাসুক মিয়াকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।

কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বাড়াই গ্রামের বাসিন্দা, সৌদি আরব প্রবাসী মো. আল-আমিন মিয়ার মেয়ে খাদিজা মণি মিতু (৭) লাশ নিখোঁজের দু’দিন পর গত সোমবার সন্ধ্যায় উদ্ধার করে পুলিশ। মাসুক মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কসবা পৌর এলাকার ইমামপাড়ার মো. বাবরু মিয়ার বহুতল ভবনের পঞ্চম তলা থেকে পুলিশ তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। এর আগে গত শনিবার সকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে খাদিজা অপহরণের শিকার হয়। এ ঘটনায় তার মা রুনা আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ বিভিন্ন সময়ে মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ রক্তামাখা জামা, ছুরি ও ধর্মীয় বই উদ্ধার করে।

ঘাতক মাসুকের ১৬১ ধারার জবানবন্দি থেকে জানা যায়, সে গোপীনাথপুর ডিগ্রী কলেজের ছাত্র। প্রবাসী আল-আমিন তার মামাতো ভাই। সে সুবাদে মাসুম ওই বাসায় আসা যাওয়া করত। গত ১৩ ফেব্রুয়ারী সে তার প্রেমিকা ঢাকা কমার্স কলেজের ছাত্রী লাকী আক্তারকে নিয়ে সে বাসায় যায়। ঘন্টা খানেক সে বাসায় গল্প ও খাওয়া-দাওয়া শেষে তারা চলে আসেন। পরে ১৭ ফেব্রুয়ারী আবারো সেখানে প্রেমিকাকে নিয়ে সময় কাটাতে মামাতো ভাইয়ের বউ রুনা আক্তারের কাছে অনুমতি চায় সে। কিন্তু লোকে দুর্নাম করবে বলে বাধ সাধেন আল-আমিনের স্ত্রী রুনা আক্তার। এ কারণে সে রুনা আক্তারের সন্তান খাদিজা মণিকে খুনের পরিকল্পনা করে। সে ৩দিন পূর্বে পরিকল্পনা করেছিল কিভাবে তাকে হত্যা করবে। এ কারনে সে বাসা ভাড়া করে। শনিবার সকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে চিপস কিনে দেয়ার কথা বলে মাসুক মিতুকে অপরহণ করে নিয়ে যায়। পরে পাঁচতলা ভবনের একটি কক্ষে নিয়ে খাদিজা মণিকে শ্বাস রোধে হত্যা করে। পরে গলা কেটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। অপহরণের দু’ঘন্টার মধ্যে শিশুটিকে হত্যা করা হয়। আরো একাধিক লোক মাসুক মিয়াকে এ কাজে সহায়তা করে। হত্যা করার পর খাদিজার লাশটি একটি পলিথিনে পুড়ে ওই রুমের খোপড়িতে লুকিয়ে রাখে। হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি পৃথক বস্তায় ভরে রাখা হয়।

বেলা ৮টার সময় অপহরণকারী মাসুক মিয়া খাদিজার মা রুনা আক্তারের মোবাইল ফোনে বলে তার সন্তান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়েছে কিনা দেখার জন্য। রুনা আক্তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে খাদিজার কোন সন্ধান না পেয়ে তার সহপাঠী মায়মুনা আক্তারের কাছে মেয়ের বিষয়ে জানতে চায়। মায়মুনা জানায়, খাদিজার মামা মাসুক মিয়া তাকে চিপস কিনে দেয়ার কথা বলে নিয়ে গেছে।
কসবায় মিতু হত্যা :: ডেটিং করতে না দেয়ায় ভাবীর প্রতি শোধ নিতেই শিশু ভাতিজিকে খুন করে চাচা !

এদিকে সহপাঠিকে হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারিদের ফাঁসির দাবিতে মঙ্গলবার মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলসহ কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক ও অভিভাবকরা। সকালে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে তাঁরা মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আনিছুল হকসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়িরা সংহতি প্রকাশ করে খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যায় কসবা পৌর এলাকার ইমামপাড়ার মো. বাবরু মিয়ার বহুতল ভবনের পঞ্চম তলা থেকে পুলিশ মিতুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে।সূত্র
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×