অমৃতে আমার অরুচি আছে,খাইলেই গা চুলকায় । তবুও আমাদের নেতা- নেত্রী, রাজনৈতিক দলগুলো আমারে অমৃত- বাণী খাওয়াবেই!! মখা কইলেন, হরতাল সমর্থকদের টানাটানিতে নাকি বিল্ডিং খইসা পড়ছে!! ইন্ডিয়া এক রজনীকান্তরে নিয়া পারেনা আর আমাদের আছে হাজার হাজার বিরোধী দলীয় রজনীকান্ত!! এরা টান মাইরা ৮ তলা দালান ধসিয়ে দিতে পারে!!
প্রধানমন্ত্রী কইলেন, শ্রমিকরা নাকি তাদের মালামাল আনতে গিয়া দুর্ঘটনার স্বীকার হইছে। হ, বাংলাদেশের সব গার্মেন্টস মালিক হাজি মহসিন হইয়া গেছিলো!! তারা শ্রমিকদের এত সম্পত্তি দান করছিল যে সেইগুলা আনতে শ্রমিকরা হিমসিম খাচ্ছিল। এর জন্যই বলে, লোভে পাপ,পাপে মৃত্যু। ব্যাটা তোরা গরীব মানুষ, সম্পত্তির পাহাড় কেন গড়তে গেলি রানা প্লাজায়!! তোদের সম্পদের ভারেই তো বেচারা দালানটা ধসে পড়েছে!!
এতদিন হরতাল অমৃত খাইয়া পেট ভইরা বাঙ্গালী কইছে ,হরতাল নাকি বাংলালিংক দামে পাওয়া যায়। এখন দেখি রাষ্ট্রীয় শোকের বাজার দর ও বাংলালিংক দামের দিকে। ভাইসব ,আপনারা রাষ্ট্রীয় শোক ধুয়ে পানি খান। আপনাদের সকল কষ্ট, দুঃখ,ক্ষোভ, পরিবারের সদস্যকে হারানোর বেদনা এক নিমিষে গায়েব হয়ে যাবে!!!
হরতাল নামক DIALYSIS দিয়ে আমাদের বিরোধীদল বেঁচে আছে। সপ্তাহে কমপক্ষে দুইদিন না করালে অসুস্থ হয়ে পড়ে তারা। তবুও সকাল নয়টায় সাভারের ঘটনা পরে বিকাল চারটায় সারাদেশে হরতাল প্রত্যাহার করে তারা প্রমাণ করেছে, তারা কতটা মহান। দেশের মানুষ তাদের এই দরদের কথা রক্তের অক্ষরে লিখে রাখবে!!!
আমাদের হেফাজতে ইসলাম, জামায়াতে ইসলাম বেহেস্তিয় অমৃত তৈরির একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। তারা বলেছে, আল্লামা সফির অভিশাপে এই গজব নাজিল হইছে!!! আহা,কি অমৃত!! খাইলে আনন্দে বেহুশ হইয়া যাইতে হয়। তয় হুজুর, মূর্খের বেয়াদবি নিয়েন না। ফাটল ধরা দালান ভাইঙ্গা কি লাভ?? যদি দয়া কইরা এই গার্মেন্টস মালিকদের একটা হাইফাই দশ তলা বাড়ি ভাঙ্গতেন অভিশাপ দিয়া। তাইলে এই গুনাহগার বান্দা হুশ ফিরা পাইত!!!
আমাকে তো অনেক অমৃত খাওয়াইতে চাইলেন। কিন্তু দুঃখিত, খেতে পারছিনা বলে। আসলে আমার নাকটাই পচা!! অমৃত থেকে কেন যেন মুত্র আর বিষ্ঠার গন্ধ পাচ্ছে!!!!!!!!!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



