ফটোগ্রাফি একটি সৃজনশীল কাজ । এই শিল্পকে প্রতিষ্ঠিত করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে ফটোগ্রাফি সোসাইটি । এখন ফটোগ্রাফির গুণগত মান ও অনেক বেড়েছে। বাজারে এসেছে নানান ধরনের, ডিজিটাল ক্যামেরা, ডিএস এল আর, তাছাড়া বিভিন্ন মোবাইল ফোনেও এখন উন্নত মানের ফটো তোলা যায়।
সকল আলোকচিত্রকর কে ১৮১তম বিশ্ব আলোকচিত্রবিদ্যা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই।
১৮৩৭ সালে নাইসফোর নিপেক ও লুইস ডেগুরে ডেগুরে টাইপ ফটোগ্রাফিক সিস্টেম আবিস্কার করেন। এই উপায়ের নাম হল ড্যাগুইররিয়ো টাইপ। বিজ্ঞানী লুইস ড্যাগুইর সর্বপ্রথম ছবি তোলার ব্যাবহারিক এ উপায় আবিষ্কার করেন। তার নাম অনুসারেই ছবি তোলার এই উপায়ের নাম দেয়া হয় ড্যাগুইররিয়ো টাইপ ফটোগ্রাফি। তখন থেকেই ফটোগ্রাফিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। ১৮৩৯ সালের ১৯ আগস্ট সবার প্রথম ফরাসি সরকার ১৯ আগস্টকে বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন।
শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ফটোগ্রাফির অগ্ৰ যাত্রায় যে সকল মানুষ নিরলস কাজ করে গেছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই দিনটি পালন করা হয় ।সারা বিশ্বে 170 টির ও বেশি দেশে এই দিবসটি পালন করা হয়।
1939 সালের জানুয়ারি 9 তারিখে "ফ্রেন্স একাডেমি অফ সায়েন্স" আলোকচিত্রের এক উপায় আবিস্কার করেন।এই উপায়ের নাম হলো ড্যাগুইররিও টাইপ । নানা ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে এই প্রক্রিয়া কে কয়েক মাস পর 19 সে আগস্ট জনসাধারণের সামনে আনা হয় ।
বিজ্ঞানী লুইস ড্যাগুইর সর্বপ্রথম ছবি তোলার ব্যাবহারিক এর গুরুত্ব এবং উপায় আবিস্কার করেন। তার নাম অনুসারে ছবি তোলার এই উপায় এর নাম দেওয়া হয় "ড্যাগুইর টাইপ " ফটোগ্রাফি।
1839 সালের 19 সে আগস্ট "ফ্রেন্স একাডেমি অফ সায়েন্স" প্যারিসে একটি জনসভার আয়োজন করে ,, এবং সেখানে এই উপায় কি ভাবে ছবি তোলা হয়, সেটি সবাই কে দেখানো হয়।
মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই "ড্যাগুইররিও টাইপ" ফটোগ্রাফির জনপ্রিয়তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। "ড্যাগুইররিও টাইপ" ফটোগ্রাফি মুক্তি পাওয়ার সেই দিনটিকে স্মরণ করার উদ্দেশ্যে প্রতি বছর 19 সে আগস্ট বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস হিসেবে পালন করা হয় ।
বলতে গেলে একটা সময় অথবা একটা মোমেন্ট কে কোনো একটা মাধ্যমে আটকে ফেলা এটাই সহজ ফটোগ্রাফি’র সংজ্ঞা | Photos একটি গ্রীক শব্দ যার অর্থ হলো Light অর্থাৎ এবং Graphos – যার মানে হলো Drawing মানে আঁকা তাহলে Photography মানে দাড়াচ্ছে আলো দিয়ে আঁকা এক কোথায় যেটা আমরা সবসময় শুনে থাকি “আলোকচিত্র”।
এখন আপনি যদি আলোকচিত্র ধারণ করতে চান মানে ফটোগ্রাফি করতে চান তাহলে সবার আগে আপনার মাথায় থাকা লাগবে “আমি কেন ফটোগ্রাফি করব?” ”আমি কি ধরনের ফটোগ্রাফি করব? এইটা না যে “আমি কোন ক্যামেরা দিয়ে ফটোগ্রাফি করব ?”
যখন প্রথম ফটোগ্রাফি শুরু হয় তখন একটা কালো বাক্সের মধ্যে একটি পিন দিয়ে ফুটো করে সেটার মধ্যে দিয়ে যা আলো আসত সেই আলোটাকে একটা আলোক সংবেদনশীল কাগজের উপরে আলোর বিক্রিয়া ঘটিয়ে সাদা কালো ফটো তুলা হত – সেই প্রাচীন ক্যামেরার নাম ছিল “PINHOLE (পিনহোল)” ক্যামেরা সেই সময় থেকেই সবার মধ্যে ঢুকলো একটা জিনিস “CAPTURE THE MOMENTS” তখন না ছিল ক্যানন না ছিল নিকন না ছিল এখনকার এসব ফিচার মেগাপিক্সেল এর বাগাড়ম্বর – অথবা সেরকম ভালো সেন্সরের কাহিনী
মনে রাখবেন ক্যামেরা একটা মাধ্যম আর আপনি ফটো তুলবেন আপনার চোখ দিয়ে দেখে । আপনার মনন শক্তি ব্যবহার করে ক্যামেরা আপনার হয়ে ফটো তুলে দিবে না । ক্লিক আপনিই করছেন ক্যামেরার লেন্সটা এখানে আপনার চোখের সামনে একটা মাধ্যম । যার মধ্যে দিয়ে লাইট এসে ক্যামেরা’র সেন্সরে পড়বে তাঁর একটা রাসায়নিক বিক্রিয়া হবে অথবা ইলেক্ট্রিকাল এলগরিদম হবে (ডিজিটাল ক্যামেরার ক্ষেত্রে) তারপরে হয়ত সেটা ফিল্ম এ জমা পড়বে নাহলে মেমরি কার্ড কিন্তু এই প্রসেস তার আগেই –আপনি কিন্তু নিজের চোখে – নিজের মনে এঁকে ফেলেছেন সেই ফটো যেটা আপনি তুলতে চাচ্ছেন এটাই হলো ফটোগ্রাফি!!!!
একজন আর্টিস্ট আজ থেকে লক্ষ্ বছর আগে মাটির সাথে পানি আর শিকার করা পশুর রক্ত মিশিয়ে অন্ধকার গুহায় মশালের আগুনের আলোতে গুহাচিত্র একেছিলো সেও এক অর্থে একজন ফটোগ্রাফার পার্থক্য সে শিকারের কাহিনীটা লেন্স আর সেন্সরের সাহায্য নিয়ে একটা ফ্রেমে বন্দী করে রাখতে পারে নি তার কাছে কোনো ফিল্ম ছিল না ছিল না কোনো মেমরি কার্ড কিন্তু সে কিন্তু ঠিক পেরেছে সেই স্মৃতি সেই মোমেন্ট তা গুহার দেয়ালে ইতিহাসের পাতায় কালকের সাক্ষী করে রাখতে ।
এখন একবার ভাবুন তো ফটোগ্রাফি শুরু করবেন কিংবা হয়ত অনেকদিন হলো করছেন ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন একজিবিশন জিতেছেন কিন্তু আপনি পেরেছেন কি এমন একটা ফটো তুলতে যেটা কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে? আজকে থেকে এক হাজার বছর পরে সেই ফটো দেখে ভবিষ্যতের মানুষ আজকের পৃথিবীকে কল্পনা করবে?
এইজন্য বলছি ক্যামেরার ব্র্যান্ড নিয়ে মাথা ঘামাবেন না যদি শুরু করতে চান তাহলে মোটামুটি ভালো রেঞ্জের মধ্যে একটা ক্যামেরা কিনি শুরু করে দিন ৪০-৪৫ হাজার টাকার মধ্যে আপনি Canon 550D, 600D অথবা Nikon D3200, D5100 এইসব ক্যামেরা পেয়ে যাবেন যথেষ্ট ভালো ক্যামেরা । এগুলো অন্তত দুই বছর তো হেসে খেলে এসব ক্যামেরা দিয়ে ফটো তুলতে পারবেন তার পরে নাহয় নিজেকে আবিষ্কার করে যখন বুঝবেন যে নাহ এইটা আমার ফটোগ্রাফি’র ধরন তাই আমার এই ধরনের লেন্স অথবা এক ধরনের ক্যামেরা লাগবে তখন দেখে শুনে ভালো করে একটা ক্যামেরা আপগ্রেড করুন
আর ছোট্ট একটা কথা বলে শেষ করছি শুরুতেই ডিসিশন নিবেন না যে আপনি কি ধরনের ফটোগ্রাফি করবেন মনে রাখবেন ফটোগ্রাফারের স্টাইল তৈরী হতে ৫/৬ বছর এমনেই চলে যায় আর তার পছন্দের ধরন অথবা Genre ধরতে ও ভালো সময় কেটে যায় আপনি পোর্ট্রেট তুলবেন নাকি ল্যান্ডস্কেপ স্ট্রিট ফটোগ্রাফি করবেন নাকি মডেল ফটোগ্রাফি ফটো জার্নালিজম এর হাল ধরবেন নাকি কমার্শিয়াল ওয়েডিং ফটোগ্রাফি করবেন? দয়া করে ক্যামেরা কিনার আগে (মানে সোজা কোথায় ফটোগ্রাফি শুরু করার আগে আরকি) এই চিন্তা করে ফেলবেন না আগে শুরু করুন তুলতে থাকুন যা ভাল লাগে তাই .বাসায় টেবিল এর উপরে পড়ে থাকা কলার ছিলকে থেকে শুরু করে রাস্তায় বসে থাকা একাকী কুকুর । বন্ধুর হাস্যকর পোজ দেয়া থেকে শুরু করে একজন কৃষকের । ঠাটা পড়া রোদে জ্বল জ্বল করা পথ ঘাট থেকে শুরু করে বৃষ্টিস্নাত স্নিগ্ধ বিকেলে হাতিরঝিলের ফটো । জাস্ট তুলতে থাকুন
পড়তে চাইলে ফটোগ্রাফি
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোকচিত্র (ফটোগ্রাফি) নিয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। ঢাবির টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগে সম্পন্ন করা যেতে পারে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে এই বিভাগে পড়তে পারবেন।এ ছাড়া বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও আলোকচিত্র বিষয়ে পড়ানো হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট, কাউন্টার ফটো, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেকট্রনিক মিডিয়া অন্যতম।রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চার বছর মেয়াদি বিএসএস (ব্যাচেলর অব সোশ্যাল সায়েন্স) ইন ফটোগ্রাফি কোর্স।
এ ছাড়া পাঠশালায় রয়েছে এক মাস থেকে শুরু করে তিন বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদের ও বিভিন্ন ধাপের কোর্স।রাজধানীর মিরপুরের প্রতিষ্ঠান কাউন্টার ফটোতে রয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এক বছরের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স। এ ছাড়া আছে এক বছরের মেন্টরশিপ কোর্সসহ এক মাস, দুই মাস ও ছয় মাসের কোর্স।এ ছাড়া বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের মাধ্যমে পাঠশালা ও কাউন্টার ফটোর শিক্ষার্থীরা দেশের বাইরেও আলোকচিত্র বিষয়ে পড়তে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন।
আর ঘরে বসে শিখতে চাইলে অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স তো আছেই।কেন আলোকচিত্র নিয়ে পড়তে হবে?অনেকেরই ধারণা, আলোকচিত্র পুরোটাই একটি ব্যবহারিক বিষয়। এখানে খাতা-কলম ধরে পড়াশোনার জায়গা কম। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ঘরে বসে আপনি হয়তো ক্যামেরা চালানো শিখতে পারবেন। ছবির ফ্রেম, কম্পোজিশন কিংবা আলোক প্রক্ষেপণের মতো কারিগরি দিকগুলো হয়তো ছবি তুলতে তুলতে শিখে নিতে পারবেন। কিন্তু একজন পেশাদার আলোকচিত্রী হিসেবে নৈতিকতার শিক্ষা, ছবি যাচাই-বাছাই করা, ছবি নিয়ে বিশ্লেষণ করতে পারার জ্ঞান নিতে হলে এ বিষয়ে গভীরভাবে করা জরুরি। এ বিষয়ে কথা হয় পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের আলোকচিত্র বিভাগের প্রধান তানভীর মুরাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা পেশাও কিন্তু একদম প্র্যাকটিক্যাল একটি পেশা। তারপরও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট কয়েক বছর পড়াশোনার পর প্র্যাকটিক্যাল কাজ শেখার জন্য ইন্টার্নশিপ করে। ফটোগ্রাফিও অনেকটা সে রকম।
দায়িত্বশীল একজন আলোকচিত্রী হওয়ার জন্য তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক।’তবে ফটোগ্রাফি নিয়ে পড়াশোনা করার আগে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করাও জরুরি। বিষয়টির প্রতি আপনার ভালোলাগা ও প্রচুর আগ্রহ থাকলেই এই বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার গড়ার কথা ভাবা উচিত।ভালো ক্যামেরা থাকা কতটা জরুরি?আলোকচিত্র নিয়ে পড়াশোনা করতে হলে কিংবা ফটোগ্রাফি করতে হলে ভালো মানের একটি ক্যামেরা লাগবেই—এই ধারণা সঠিক নয়। শেখার শুরুটা হতে পারে খুব সাধারণ মানের ক্যামেরা দিয়ে।এই বিষয়ে কাউন্টার ফটোর একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর রিয়াদ আবেদীন বলেন, ‘শেখার জন্য শুরুতেই খুব ভালো ক্যামেরার দরকার নেই। দিন শেষে ক্যামেরা একটি যন্ত্র মাত্র। ভালো মানের ক্যামেরার চেয়েও বেশি প্রয়োজন হলো আগ্রহ। আগ্রহ থাকলে সাধারণ মানের ক্যামেরা দিয়েও ভালো ছবি তোলা সম্ভব।’আজকাল মোবাইল ফোনেও বেশ ভালো মানের ক্যামেরা রয়েছে। হাত পাকানোর জন্য মোবাইল ফোনও মন্দ নয়।
পেশা হিসেবে আলোকচিত্রীপেশা হিসেবে আলোকচিত্রী বেছে নেওয়া বেশ ভালো একটি সিদ্ধান্ত হতে পারে। কেননা, আলোকচিত্রকে ঘিরে এখন অনেক ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফটোগ্রাফার পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া চাকরির সুযোগ রয়েছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকা, টেলিভিশন কিংবা গণমাধ্যমে। বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, করপোরেট প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সংস্থাতেও রয়েছে ফটোগ্রাফার পদে কাজের সুযোগ।ইন্টারনেটের সহজলভ্যতায় দেশে ই-কমার্স ব্যবসা এখন বেশ জনপ্রিয়। এই ধরনের ব্যবসার প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে ফটোগ্রাফারদেরও চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক। কেননা, অনলাইনে ব্যবসায় পণ্যের ছবির মাধ্যমেই ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে হয়। আর ভালো মানের ছবির জন্য ডাক পড়ে ফটোগ্রাফারদের। আর বিয়ে, জন্মদিনসহ যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা চিন্তা করতে গেলে প্রয়োজনীয় সবকিছুর মধ্যে প্রথমেই আসে আলোকচিত্রীর নাম। এ ধরনের ইভেন্ট ফটোগ্রাফি করে বেশ ভালো আয় করা সম্ভব।এ ছাড়া ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফারদের কাজের সুযোগ রয়েছে বিশ্বব্যাপী। ভালো মানের ছবির জন্য প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এসব প্রতিযোগিতায় রয়েছে খ্যাতি আর ভালো অঙ্কের অর্থ পুরস্কার।
বর্তমানে দেশে ৩টি প্রধান ফটোগ্রাফি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। এগুলো হচ্ছে পাঠশালা, কাউন্টার ফটো ও বেগার্ট। এসব প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের ও মেয়াদের কোর্স পরিচালনা করে থাকে।
পাঠশালা
১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইন্সটিটিউট বা পাঠশালা দক্ষিণ এশিয়াতে ফটোগ্রাফি স্কুলের পথিকৃৎ। এ প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ফটোগ্রাফি কোর্স অফার করা হয়। বর্তমানে পাঠশালার সাথে আন্তর্জাতিক কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম চালু রয়েছে।যারা মাত্র ফটোগ্রাফি শুরু করছেন, তাদের জন্য রয়েছে এক মাসের বেসিক কোর্স। এর খরচ ৫০০০ টাকা। আর যারা এর আগে কিছুটা কাজ শিখেছেন, তাদের জন্য ফাউন্ডেশন কোর্স ভালো হতে পারে। এর বর্তমান খরচ ৭১০০ – ৭৬০০ টাকা। এছাড়া, প্রফেশনাল কোর্স ও মাঝে মাঝে বিশেষ কিছু ওয়ার্কশপে অংশ নেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
কাউন্টার ফটো
ছবির মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো কাউন্টার ফটো। প্রতিষ্ঠানটি ফটোগ্রাফি বিষয়ক বিভিন্ন কোর্স ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করে।একদম প্রাথমিক পর্যায়ের ফটোগ্রাফি শেখানোর জন্য কাউন্টার ফটোর রয়েছে এলিমেন্টারি কোর্স। ৫০০০ টাকা খরচ হয় এতে। এ কোর্স শেষে বা ফটোগ্রাফির খুঁটিনাটি নিয়ে মোটামুটি ধারণা থাকলে করতে পারেন অ্যাডভান্সড কোর্স। দুই মাসব্যাপী এ কোর্সের ভর্তি ফি ৭০০০ টাকা।কাউন্টার ফটো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। চাইলে এখানে ফটোগ্রাফিতে প্রফেশনাল ডিপ্লোমা কোর্স বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি নিতে পারেন। অন্যদিকে এ প্রতিষ্ঠানে রয়েছে বিভিন্ন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদের কাছে কাজ শেখার সুযোগ। সার্ক দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য ৫০০ ইউএস ডলার, এশিয়ার অন্য দেশগুলোর নাগরিক হলে ১০০০ এবং অন্য দেশের নাগরিকদের জন্য ২০০০ ইউএস ডলার ফির বিনিময়ে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা যায়।পাঠশালার মতো কাউন্টার ফটোতেও রয়েছে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম।
বেগার্ট ইন্সটিটিউট অফ ফটোগ্রাফি
১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের প্রথম ফটোগ্রাফি শিক্ষা কেন্দ্র বেগার্ট। এ প্রতিষ্ঠানে রয়েছে বেসিক ও অ্যাডভান্সড কোর্সে ভর্তির ব্যবস্থা। এছাড়া এক বছরের ডিপ্লোমা কোর্সেও ভর্তি হতে পারেন।
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ
ফরাসি সংস্কৃতি কেন্দ্র আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ তাদের ধানমন্ডি, উত্তরা ও গুলশান শাখায় স্কুল অফ সিনেমার অধীনে ফটোগ্রাফি কোর্স করিয়ে থাকে। এতে রয়েছে এক মাসব্যাপী শর্ট কোর্স, যার কোর্স ফি ৩৭০০ টাকা। এছাড়া, ৬ মাসব্যাপী ডিপ্লোমা ইন ডিজিটাল ফটোগ্রাফি কোর্সের খরচ প্রতি মাসে ৭৪০০ টাকা।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফটোগ্রাফিক সোসাইটি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হলেও এ সংগঠন সবার জন্য উন্মুক্ত প্রশিক্ষণ করিয়ে থাকে। প্রায় তিন মাসব্যাপী এ কর্মসূচির ফি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য দুই হাজার টাকা আর বাকিদের জন্য তিন হাজার টাকা।
ফটোগ্রাফি কোর্স করার অন্যান্য জায়গা
উপরিউক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়াও দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটোগ্রাফি ক্লাবগুলো নিজেদের সদস্যদেরকে প্রাথমিক পর্যায়ের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। অন্যদিকে বর্তমানে থ্রু দ্য লেন্সের মতোর বিভিন্ন সক্রিয় অনলাইন কমিউনিটির সাথে যুক্ত হবার ব্যবস্থা রয়েছে।শখের বশে হোক বা পেশা হিসাবে ফটোগ্রাফি বেছে নেবার জন্য হোক, ভালো ফটোগ্রাফি কোর্স করার মাধ্যমে ছবি তোলার জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়িয়ে নিতে পারেন যেকোন সময়।
তথ্যসূত্র ঃ প্রথম আলো সহ বিভিন্ন পেপার ও অনলাইন কলাম ।