রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশে কে ভাল আর কে খারাপ সেটার বিচার জনগণ করে আসছে, জনগণই করবে। তবে "জামায়েত ইসলামী" নামের এই দলের শরীর থেকে কোনদিনই যে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের কালিমা মুছবে না, সেটা আমি নিশ্চিত করেই বলতে পারি। তারা যত ভাল কাজই করুক না কেন, যেই কলঙ্ক তারা ৭১'এ নিজেদের গায়ে লাগিয়েছে, তা ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়।
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম তথা মুক্তিযুদ্ধের অনেক বিষয় নিয়েই অনেক বিতর্ক রয়েছে, সেটার মাঝে যুদ্ধাপরাধ হল হল একটি। এটা নিয়ে অনেক তক-বিতর্ক রয়েছে। সব তর্ক-বিতর্কের ঊর্দ্ধে উঠে একটি কথাই বলতে চাই, যুদ্ধাপরাধিদের কোন ক্ষমা নাই, সে যে দলেরই হোক না কেন। তাদের বিচার যেভাবেই হোক, সম্পন্ন হওয়া উচিত।
প্রায় সময়ই জামায়েত ইসলামীর নেতারা মুক্তিযুদ্ধকে হেয় প্রতিপন্ন করে কথা-বার্তা বলে। যেটা খুবই দু:খজনক। তখন যে কি ধরনের অনুভূতি হয়, বলে বুঝাতে পারব না। জামায়েত ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমদ আজ তাদের এক সম্মেলনে বলেন, "হাড্ডি তালাশ করে যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্ভব নয়" চিন্তা করে দেখুন মুখের ভাষা !!
দেখুন
কত ব্যাঙ্গাত্মকভাবে মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদ বীর সেনানী এবং অজস্র নিরীহ বাঙালির আত্মত্যাগকে তুলে ধরছেন। আরে , যেটা তোর কাছে হাড্ডি, সেটা আমাদের কোটি কোটি বাংলাদেশীদের কাছে সম্মান আর গৌরবের বিষয়। তাদের আত্মত্যাগের জন্যই আজও বেচে আছিস। আর নয়, তোদের ''পাক সার জমিন সাদ বাদ" থাকলে কবেই মীরজাফরদের মত অবস্থা হত।
আসলে ওদেরই বা দোষ দিব কেন? যখন তাদের গোড়া কেটে সমূলে উৎপাটনের দরকার ছিল, তখনতো কেউ তা করেনি। আর এখনতো সম্ভবই নয়। যেভাবে ডালা-পালা, শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে ছড়িয়ে গিয়েছে।। তারপরেও চাই অন্তত সেসময়ের চিন্হিত মুখগুলোর যাতে বিচার হয়।
আর যেই সম্মেলনে এটা বলেছেন, সেটা মূলত শিবিরের সম্মেলন ছিল। যারা তাদের আগামী দিনের কান্ডারী। বেশ ভাল ভাল কথাই শিখিয়ে যাচ্ছেন !! মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সম্মান কিভাবে করতে হয়, তার প্রকৃত উদাহরণ দিয়ে যাচ্ছেন।