somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজনৈতিক মেরুকরণ এবং মনোনয়নের গণতান্ত্রিক /অবাণিজ্যিক পন্থা

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এ কথা সর্বজন বিধিত যে ছোট দল হোক আর বড় দল হোক মনোনয়ন নিয়ে উপর মহলে দেন দরবার চলে। এটাও জানি এটি মুলত লেনদেন। দুই দল ভালো প্রার্থী না দিলে আমরা ভালো ভোট কিভাবে দিবো কাকে দিবো? গণতন্ত্রও কিভাবে মজবুত হবে?
গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ মানে এ দেশ শাসন করবে জনগণ তারাই দেশের মালিক। ১৬ কোটি মানুষ যেহেতু এক সাথে শাসন করতে পারে না ।সে জন্যই বাংলাদেশকে ৩০০টি সংসদীয় এলাকায় ভাগ করা হয়েছে। এই ৩০০টি এলাকার মানুষ মিলে ৩০০জন নির্বাচিত এমপি বানাবে তাদের প্রতিনিধি হিসাবে। সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদই সব কিছুর মুল। জনগণ মানে সংসদ। এই সংসদ থেকেই আবার নির্বাহী বিভাগ গঠন করা হবে। মুলত নির্বাহী বিভাগের প্রধানমন্ত্রী /মন্ত্রী তথা মন্ত্রীসভা যৌথভাবে সংসদের কাছে জবাবদিহী থাকে। মানে সংসদের অধীন হলো নির্বাহী বিভাগ। যেহেতু সংসদ মানেই জনগণ , জনগণ মানেই দেশের মালিক তাই তার কাছে সব বিভাগই অধীন । বর্তমান সংবিধান অনুসারে অভিযুক্ত বিচারপতির ইমপিসমেন্ট করার ক্ষমতাও সংসদের হাতেই অর্থ্যাৎ জনগণের হাতেই । ষোড়ষ সংশোধনী দ্রষ্টব্য।

রাজনীতির যে কোন মেরুকরণকেই রাষ্ট্রবিজ্ঞান নেগেটিভ হিসাবে জ্ঞান করে। কারণ এতে সিন্ডিকেট হয় এবং সিন্ডিকেট হলে সুষম প্রতিযোগীতা না হয়ে একটা অসম প্রতিযোগীতা হয়। ভারসাম্যমূলক অবস্থান নড়ে যায়। ধরেন আমি ঢাকা ১২ আসনের ভোটার এবং আমি জাতীয় পার্টির সমর্থক। আমি কখনো ভোট দিলে লাঙ্গলে দিবো। কিন্তু আমার আসনে এই প্রতীক নাই ।
আমাকে জোর করে বলা হচ্ছে তুমি অন্য প্রতীকে দাও । এভাবেও মেরুকরণ প্রক্রিয়া ভোটারদের ভোটাধিকার হরণ করছে। প্রত্যেক দল যদি আজ নিজ নিজ আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করতো তাহলে ভারসাম্যমূলক রাজনৈতিক পরিরস্থিতি তৈরী হতো।
বাংলাদেশে যেহেতু এখন জোট প্রথা খুব শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। বামের সাথে ডান, ডানের সাথে বাম। সেকুলারের সাথে নন সেকুলার, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সাথে স্বাধীনতা বিরোধী দল একাকার হয়ে একই প্রতীকে নির্বাচন করছে তাই সাধারণ জনগণের ভিন্ন চয়েজ কমে গেছে। জিতলে এই দুই জোট থেকেই জিতবে। তাই বাংলাদেশের ভাগ্য কিন্তু তখনই নির্ধারিত হয় যখন দুই জোট মনোনয়ন চুড়ান্ত করে ফেলে।

এবার দুই জোটের মনোনয়ন প্রক্রিয়া দেখে হতাশ হয়নি এমন মানুষ কম আছে। আজকে একজনকে দেয় আবার কালকে অন্যজনকে। এলাকার জনপ্রিয় মানুষটিকে ফেলে ভিন দেশ থেকে আগত পয়সাওয়ালা কাউকে দিয়ে দিচ্ছে। আমার কাছে মনে হয়েছে দুই জোটই কোন প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেননি। আমার নিজস্ব ভাবনা থেকে আমি মনোনয়ন প্রক্রিয়াটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য এবং ব্যাপক সংখ্যক মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা কমানোর জন্য কিছু প্রস্তাব পেশ করছি। যদিও রাজনৈতিক দল গুলি এসব জানে কিন্তু করবে না। তাদের নিজস্ব সুবিধার জন্য। বলতে গেলে খারাপ শুনায় তবুও বলি মনোনয়ন বাণিজ্যের জন্য। প্রস্তাব গুলি নিম্নরূপ :

১। রাজনৈকি দল গুলার কমিটি বিন্যাস হবে সংসদীয় আসন ভিত্তিক । ৩০০ আসনে ৩০০টি কমিটি।
বর্তমানে জেলা/উপজেলা ভিত্তিক কমিটি রয়েছে। বিভাগ ওয়ারী কমিটি বা অন্য তাদারকী কমিটি থাকতে পারে। সংসদীয় এলাকার সব ইউনিয়ন কমিটি মিলে একটা কমিটির কথা বলছি।
২। সেখান থেকে কাউন্সিলদের গোপন ভোটে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন এবং সভাপতিই চুড়ান্তভাবে এমপির জন্য নমিনেশন নিবেন। এখানে অধিকতর স্বচ্ছতার জন্য ঐ সংসদীয় এলাকার সব স্কুল /কলেজ এবং মসজিদের ইমামদের ভোটার হিসাবে রাখা যেতে পারে।
৩। তিনি কোন কারণে অযোগ্য হলে সাধারণ সম্পাদককে বিকল্প প্রার্থী করা যাবে।

এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হলে দল গুলাকে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হবে না। স্কুল কলেজ মাদ্রাসা এবং মসজিদের ইমামদেরকে অথিতি ভোটার হিসাবে ভোট বা মতামত নেয়া হলে তারাও গনতন্ত্রে অবদান রাখবে এবং যিনি এমপি পদে মনোনয়ন নিবেন তাকেও এলাকার সব প্রতিষ্ঠানের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে হবে এবং তারও দায়িত্ববোধ গড়ে উঠবে। এই ভাবে আমরা একটা সুষ্ঠু সমাক বিনির্মাণ করতে পারি।

এ,এস,এম এরশাদ
ব্লগার।
ফেইস বুক : asm.arshad
ইমেলই :[email protected]

সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×