এক সাংসদের ছিল একটি দুধেল গরুর ফার্ম।
আর ফার্মটি দেখাশুনা করত তার বিশ্বস্ত এক চেয়ারম্যান।
চেয়ারম্যান চড়া দামে গরুর দুধ বিক্রি করে আসছিল যা সাংসদ জানলেও গত সাড়ে চার বছরে না জানার ভান করে এড়িয়ে যেত কারণ এর বিশাল একটি অংশ তার পকেটে যেত। প্রতি কেজি দুধের দাম ৬০ টাকা তবে যদি কেউ ২৫০ গ্রাম কিনে তাকে এক কেজি দুধের দাম পরিশোধ করতে হত। আবার কেউ যদি ২কেজি ৫০০ গ্রাম দুধ কিনে তাকে ৩কেজি দুধের দাম গুণতে হয়।
প্রত্যেহ ৬টি গরুর দুধ দিয়ে এলাকাবাসীর একটা বিশাল অংশের চাহিদা পূরণ হত। যেহেতু এ এলাকায় গরুর দুধের ফার্ম ছিল একটাই তাই এলাকাবাসীর গত্যন্তর ছিলনা। অনন্যপায় হয়ে দুধের দাম চড়া দামে হলেও এলাকাবাসী তা কিনে নিজেদের চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করত। একদিন সবাই মিলে সাংসদের কাছে অভিযোগ করল, আপনার চেয়ারম্যান আমাদের কাছে দুধের দাম বেশী রাখে। ২৫০ গ্রাম কিংবা ৫০০ গ্রাম অথবা ৭৫০ গ্রাম কিনলে পুরো কেজির টাকাই রেখে দেয়। যেহেতু সামনে নির্বাচন তাই চেয়ারম্যান এবার একটু নড়ে চড়ে বসল, সবাইকে আশ্বস্ত করে বিদায় করল। তারপর দিন সাংসদ মাইকিং করে ঘোষণা করল আগামী সপ্তাহ হতে ২৫০ গ্রাম করে সবাই দুধ কিনতে পারবে সেক্ষেত্রে কাউকে আর ১কেজির দাম পরিশোধ করতে হবেনা। এবার এলাকাবাসীর আনন্দের আর সীমা নাই। এদিকে সাংসদ তার চেয়ারম্যানের সাথে এক সপ্তাহ ধরে বৈঠক করে অবশেষে সিদ্ধান্ত নিল, প্রতি ২৫০ গ্রাম দুধের দাম ৩০ টাকা দরে এখন যে যতটুকু পারে কিনতে পারবে। তাহলে আমাদের শোষণনীতি যেমন ঠিক থাকল আর আমার মদন(!) এলাকাবাসীর দাবীও পূরণ হল। এখন এলাকাবাসী ২৫০ গ্রাম দুধ কিনতে পারে তবে তা ১২০ টাকা কেজির দরে......

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




