সামান্য ক'টা টাকা পুজিঁ তাদের। রাস্তার ধারে একটি টেবিল আর একটি চেয়ার সাথে পুরাতন মান্ধাত্বা আমলের কয়েকটি মোবাইল সেট। সারাদিন একটাই কাজ- ১০ টাকা ফ্লেক্সির জন্য মোবাইলের বাটন চাপতে হয় কমপক্ষে ৩০-৩৫ বার। বিনিময়ে প্রতি ১০০০টাকায় পান ২৭টাকা। আর যদি ভুলক্রমে চাপতে গিয়ে ৫০ বা ১০০ টাকা অন্যের মোবাইলে চলে যায় তাহলে শেষ অর্জিত মুনাফা।
ওরা রাজনীতি করেও না- বুঝেওনা।
আর তাইতো ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করেছে আগামী ১৮-২১ তারিখ তাদের সেবা বন্ধ রাখবে। কিন্তু এর মধ্যেই যার যার প্রয়োজনমত আগেই ফ্লেক্সি করে রাখবে। কি হল লাভ, এমন অগ্রিম ঘোষণা করে।
সরকারের চাপে মোবাইল অপারেটরগুলো বাধ্য হয়েছে ১০ সেকেন্ড পালস চালু করতে কিন্তু অন্যদিকে অপারেটরগুলো আমাদেরকে বাধ্য করেছে অতিরিক্ত টাকা গুনতে। আসলে সবকিছুতেই সবদিক থেকেই এই শকুনগুলো নির্বিচারে শোষণ করেই চলেছে।
কেন আমার টাকায় চটকদার বিজ্ঞাপনে প্রতারিত করতে হবে, কেন আমার টাকায় সুন্দরী ভাড়া করে নাচাঁতে হবে, কেন এতটাকা গ্রহণের পরেও কৌশলে অপারেটরকর্মীদের ছাটাই করা হচ্ছে।
আসুন, আমরা এই সকল শোষণনীতির বিরুদ্ধে রুখেঁ দাড়াঁই, সোচ্চার হই তাদের সকল অপকর্ম ও অপকৌশলের বিরুদ্ধে।
আমরা যদি আগামী ১৮-২১ (৪দিন) আমাদের মোবাইলের ব্যবহারকে শুধুমাত্র প্রয়োজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখি তাহলে কিছুটা হলেও তাদের ঘোষিত কর্মসূচীর কিছুটা হলেও স্বার্থকতায় রুপ নেবে। আমরা যদি তাদের ব্যাপারে সহানুভূতিশীল হই আশাবাদী আমাদের ব্যাপারেও কেউ না কেউ কার্যকরী পদক্ষেপ নিবে।
Click This Link