somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালোবাসা, যারা এবারের এসএসসি-তে উত্তীর্ণ হতে পারেনি...

২৭ শে জুন, ২০০৮ সকাল ৭:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ক্লাস থ্রি থেকে টেন - এই দীর্ঘ সময়টি আমি ধানমন্ডি গভঃ বয়েজ হাই স্কুল-এ কাটিয়েছি। (ব্যাচ ১৯৯৭। কেউ আছেন নাকি ব্যাচমেট?)

ক্লাস থ্রি-তে যখন ভর্তি পরিক্ষা দেই তখন মনে আছে "ঢাকার সেরা দু'টো স্কুল" বলতেই সবাই বুঝতেন "গভঃ ল্যাব" আর "ধানমন্ডি বয়েজ"। আস্তে আস্তে সময় পাল্টাতে লাগলো। আমি টেনে উঠতে উঠতে ধানমন্ডি বয়েজের আর সেই আগের জৌলুস রইলো না। কেনো তা নিয়ে বিবিধ মতবাদ আছে। তবে বেশির ভাগই প্রাক্তন প্রধানশিক্ষিকা এবং তার চাটুকার ক'জন শিক্ষককে এর জন্য দায়ী করে থাকেন।

এসএসসি-র ফলাফল দিলেই আমি সংবাদপত্রে সেই সংক্রান্ত লেখাগুলো খুব মন দিয়ে পড়ি। আমার খুব ভালো লাগে। মনে হয় কি সব দিন কাটিয়ে এসেছি - সেই স্কুল! কত ঘটনা, কত গল্প, কত বন্ধু। ছাত্র-ছাত্রিদের হাসিমুখ দেখতে ভাল্লাগে। আর যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি তাদের জন্য খুব কষ্ট হয়। আমাদের দেশে এমন একটা ধারণা দেয়া হয় যে এসএসসি ফেল মানেই "লাইফ শেষ"। পাড়া-মহল্লায় সবাই আলাদা চোখে দেখে। বড়রা বাজে কথা শোনান। এই কষ্টের মধ্যে দিয়ে বাচ্চা ছেলে-মেয়ে গুলোকে যেতে হবে ভাবলেই মনটা কেমন ভারী হয়ে যায়।

সংবাদপত্রের খবরে আরেকটি জিনিস খেয়াল করি। সেটি হলো আমার স্কুলটি কেমন করলো। বেশ কয়েক বছর থেকেই খেয়াল করছি আমার স্কুল যেনো পুরানো জৌলুস আবার ফিরে পাচ্ছে। গত ৪/৫ বছর ধরেই ঢাকা বোর্ডের সেরা স্কুল তালিকায় ধানমন্ডি বয়েজের নাম দেখছি। এ বছরের ফলাফলের কথা আর কি বলবো! ২৮৯ জনের মধ্যে ২৮৯ জনই উত্তীর্ণ, এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১৩ জন। আমার তরফ থেকে আমার প্রাক্তন স্কুলটির প্রতিটি কর্মচারি, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র ও অবিভাবককে শুভেচ্ছা। আমার স্কুল আবারও আমাকে গর্বিত করেছে!

সব শেষে ভালোবাসা সারা দেশে যারা উত্তীর্ণ পারেনি কিংবা খুব খারাপ করেছে, তাদেরকে। তোমরা তোমাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করেছো। তোমাদেরকে হয়তো এমন বলা হয়েছে, এমন শেখানো হয়েছে - এই পরীক্ষাটি খারাপ মানেই জীবন শেষ। কথাটি ঠিক নয়। এই পরীক্ষার পরেও জীবনে আরও অ-নে-ক পরীক্ষা আসবে। সেসব পরীক্ষায় হয়তো তুমিই সবাইকে টপকে যাবে। মানুষ যত যাই বলুক, নিজের উপর বিশ্বাস হারাবে না।

সবাইকে ধন্যবাদ!

ব্যবহৃত ছবি: ধানমন্ডি গভঃ বয়েজ হাই স্কুলের প্রবেশদ্বার
ছবি কৃতজ্ঞতা: DGBHS Alumni Association (DExSA)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৫৫
১৮টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×