somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাতা ঝরাদের দিনগুলা

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পাতা ঝরাদের দিনগুলা ফুরায়া যাচ্ছে ধীরে ধীরে

সবুজ সৌন্দর্যের মতন অবিকল কিছু রোশনাই
পৃথিবীতে ফিরে আসবে, আশা করা যায়। আগেও
এই রকম আরো অসংখ্যবার ফিরে আসার বর্ণনা
পৃথিবীর মানচিত্রে দাগায়িত আছে, আমরা পড়ি--

আমরা আরো পড়তে পাই, এই পাতাঝরা দিনে
কিছু ডাহুক পাখি কম্বলহীন শীতার্ত হৃদয় নিয়া
শুয়ে আছে, আর কিছু মানুষ, কিংবা মানুষের
মতন আরো বেশি যূতচারী কিছু মেঘের বিন্যাস
মন আর মননের বিড়ম্বনা নিয়া শুইয়া থাকে…

এই অদ্ভুত অসভ্যতর পৃথিবীতে পাতা ঝরাদের
দিনগুলা ফুরায়ে যাবে ভাবি, এইসব খুন, ধর্ষণ;
হত্যা, মৃত্যু আর অপমৃত্যুর রাতগুলা পার হইয়া
একটা নতুন সৌন্দর্যময় সকাল আমাদের কাছে
ফিরে আসবে, আমরা আশা করি। আমরা আরো
আশা করি, এইসব নির্বিচারের কালগুলা কোনো
না কোনো একদিন ফুরায়া যাবে, সেইসব সবুজ
সৌন্দর্যময় সকালগুলার জন্য আমাদের না লেখা
কবিতা আর গান জমা রেখে আমরা পথ চলছি!

আমাদের চলতে হয়। এইসব পাতা ঝরাদের কাল
কোনো একদিন শেষ হলে, এই পৃথিবীতে আর
কোনো ডাহুক পাখি কম্বললহীন শুয়ে থাকবে না,
কোনো মানুষ, কিংবা মানুষের মতন কোনো হৃদয়
আর কুঁকড়ে-মুকড়ে থাকবে না এইসব বিচার আর
নির্বিচারের ভয় নিয়া। এইসব খুন, হত্যা, মৃত্যু আর
অপমৃত্যুর মিছিলগুলা মিলায়ে যাবে কোনো না
কোনো একদিন--আমরা আশা করি। আমরা আরো
আশা করি, এইসব কম্বলহীনতার দিনগুলা ফুরায়া
যাবে। সেই সবুজ সৌন্দর্যময় পাতা ঝরঝর সকালে
আমরা আবার নতুন পৃথিবীর কবিতা লিখতে বসব।

পাতাঝরার দিনগুলা একদিন ফুরায়া যাবে, জানি।

১০ জানুয়ারি, ’২০। পৌষের রাত।
মিরপুর, ঢাকা।

সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪০
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×