somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

অতনু কুমার সেন
ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করি না কখনোই, চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে। জানিনা কবে ভালো হতে পারব! আর আমি এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা, কিন্তু রেগে গেলে ভয়াবহ! স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, তার যদিও অধিকাংশই ভেঙ্গে যায়! আশার পিঠে আশা বেঁধে তবুও নির্লজ্

ইহা কেবলই একটি পলিটিক্যাল বিশ্লেষণ, কারও বিশ্বাস হতেও পারে নাও হতে পারে। তবে যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বতন্ত্রতায় বিশ্বাস করে তাদের জন্য এই লেখায় রয়েছে আগাম সতর্কবার্তা, তারা চাইলে এই দেশকে রক্ষ করতে পারবে, অন্যথায় 'জার্নি টু দা ডাউন' অবশ্যম্ভাবী....!

১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভারতকে চাপে রাখতে ও আমেরিকার লাগামের ঘোরা বানাতে সবকিছু করার চেস্টা করছে ইউএসএ। সম্প্রতী বছরগুলোতে ভারত যতো বেশী রাশিয়া ঘেঁষা হয়েছে, ততো বেশী আমেরিকা জ্বলেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও ভারতের উপড় অখুশী আমেরিকা।
চীনের বিরুদ্ধে ভারতকে কাজে লাগাতে আমেরিকার হাতে অবশ্যই ভারতের লাগাম থাকা চাই, এটা করার জন্য ভারতকে অস্থির করে রাখা জরুরী, সেই সাথে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতীকে ধীর করে দেয়াও জরুরী আমেরিকার জন্য। সেই সাথে সরকারের পরিবর্তনও জরুরী।

আর এসবের জন্য আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা, ব্রিটিশ মিডিয়া, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা এক সাথে কাজ করছে। দেখবেন, ভারতের ভিতরে সম্প্রতী জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে বহু মিডিয়া রাজনীতি (প্রোপাগান্ডা) চলেছে, সেই সাথে বিরোধীদের ক্ষমতায় না যেতে পারা ব্যর্থতাকে একটি টোপ হিসেবে ব্যবহার করেছে। আরও এক বছর পূর্ব থেকে মনিপুরে এথনিক ক্লাশ চাঙ্গা করা হয়েছে, এর প্রভাব কিছুটা মোদীর নির্বাচনেও পরেছে। নির্বাচনের পরে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান চলাকালেই ভারতের জম্মুতে পাকিস্তানী জঙ্★গীরা অনুপ্রবেশ করে গোপনে হামলা চালানো শুরু করে। এবং এই হামলা প্রায় দুইমাস ধরে অব্যাহত ছিল।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের কাছে বঙ্গোপসাগরে চীনের মোকাবেলায় ইউএস নেভীর বেস তৈরীর জন্য সেন্টমার্টিন দ্বীপ দাবী করেছিল আমেরিকা। বদলে হাসিনা সরকারকে লাইফটাইম ক্ষমতায় থাকার আশ্বাস দিয়ে ছিল বাইডেন প্রশাসন। আমেরিকার প্লান ছিল (বা আছে) এই অঞ্চলে একটি স্থায়ী বেস করার, যার জন্য স্থায়ী জমি চাই, এই জন্য একটি গোলাম দেশ দরকার, যে দেশ বাংলাদেশ বা ভারত বা মিয়ানমার হবে না, তাই একটি নতুন দেশ চাই, এই নতুন দেশ তৈরী করার প্লান ছিল (আছে) আমেরিকার। দেশটি হবে খ্রীস্টান অধ্যুষিত দেশ, (সম্ভবত) মিয়ানমার ও বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে এই টার্গেট ছিল (আছে)।

এই সব প্রস্তাবে হাসিনা সরকার রাজী হয়নি, পরন্তু এই সরকার বেশী ভারত ঘেঁষা ও চীন ঘেঁষা হচ্ছিল যা আমেরিকার পছন্দ ছিল না।
এমতাবস্থায় চিরাচরিত ভাবে আইএসআইকে নিজেদের মূল এজেন্ট বানিয়ে এদেশের কিছু লোকদের সাথে ডিল করে ও স্টুডেন্ট মুভমেন্টকে কাজে লাগিয়ে তাদের (আমেরিকার) উদ্দেশ্য পূর্ণ করেছে।

এর ফলে এই মুহূর্তে ভারত অনেকটা চাপে আছে।

ইতিমধ্যে, পাকিস্তান বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা ফ্রী এন্ট্রি দিয়েছে। যার অর্থই হইলো পাকিস্তানের বহু প্রত্যাশিত উদ্দেশ্যকে বাস্তবে পরিণত করা। (একটু পরে লিখছি)

অন্যদিকে ভারতের জন্য চাপ কি?
- ভারতের জন্য চাপ হইলো, নর্থইস্ট রাজ্যগুলোতে নিরাপত্তা স্থির রাখা। এটাকে ও কাশ্মীরকে অস্থির করে রেখে আমেরিকা চাইবে ভারতের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক চাপ বাড়াতে। ফলে একদিকে মোদীর জন্য দেশের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা সামাল দেয়া, সাথে খালিস্তান মুভমেন্ট মাথাচাড়া দিলেও অবাক হবার কিছু থাকবে না। কারন এই খালিস্তানিদের আমেরিকা ইতিমধ্যে দুধকলা দিয়ে পুষতেছে তাদের দেশে।
আমেরিকা জানে মোদীকে না সড়াতে পারলে ভারতে কন্ট্রোল করে লাগামের ঘোড়া বানানো যাবে না।

তবে এই সব চ্যালেঞ্জ কতটা কঠিন হাতে মোকাবেলা করতে পারবে মোদী সরকার এটা এখন দেখার মত বিষয়।
অন্যদিকে হাসিনা যদি ভারতে থাকতে চায় তবে ভারত কি করবে সেটাও দেখার বিষয়, হাসিনা ইউরোপ বা আমেরিকা মহাদেশে (সম্ভবত) ভিসা বা আশ্রয় পাবে না। কারন আমেরিকা এইসব অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে। তাই যদি হাসিনা ভারতে থাকে এবং বাংলাদেশ ফেরত চায় হাসিনাকে, তাহলে ভারত মোদীর আমলে অন্তত হাসিনাকে হস্তান্তর করবে না।

এখন বলি পাকিস্থানের উদ্দেশ্য কি?

পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকে এই দেশ নিয়ে ওদের সবসময় একটা প্লান ছিল, এই দেশের সার্বিক অগ্রগতি রুখে দেয়ার। ওদের সাথে স্বাধীনতা পরবর্তী সম্পর্ক তৈরী হবার পর থেকে এদেশে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ওরা যেরকম একটা রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ঠিক তেমনি এদেশকেও অস্থির করে রাখার সব রকম এলিমেন্ট সাপ্লাই করা হয়েছে। তাদের প্রত্যক্ষ মদদে গুলশানে হামলা হয়েছিল, তাদের থেকে আলাদা হয়ে এই বাংলাদেশ কিছুটা অগ্রগতি এনেছিল। যদি এতোদিন অবিভক্ত পাকিস্তান থাকতো তবে বর্তমানে যে অবস্থায় এই দেশ আছে তার থেকেও বাজে অবস্থায় থাকতো, অর্থাৎ বর্তমান পাকিস্তানের মত থাকতো।

এবং বর্তমানের সুযোগ কাজে লাগিয়ে পাকিস্তান চাচ্ছে এদেশকে শেষ করে দিতে, এই জন্যই তারা ভিসা ফ্রী এন্ট্রি দিয়েছে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য।
তারা এর মাধ্যমে এই দেশের অভ্যন্তরে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিকল্পনাগুলো প্রতিষ্ঠা করবে। ভারতের সাথে দ্বন্দ্ব বাড়িয়ে দেবার সব রকম চেস্টা করবে। এগুলো করা হবে কেবল পাকিস্তানের ও আমেরিকার স্বার্থ হাসিল করার জন্য, এর বিনিময়ে বাংলাদেশ ও এদেশের ১৭ কোটি জনগণ পাবে নিরাপত্তাহীন জীবন, ভঙ্গুর রাষ্ট্র ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক দৈন্যদশা ও খাদ্যসঙ্কট।

সবকিছুর মূল কথা হইলো, এদেশের উপড় আন্তর্জাতিক চক্রান্তের নজড় বেশ ভালোভাবে রয়েছে। এখন দেখার বিষয় এদেশের সরকার প্রধানেরা এইসব কিভাবে গ্রহণ করে। কিভাবে দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে। যদিও এসব চ্যালেঞ্জিং হবে কারন এই দেশের জনগণের কিছু অংশ অবশ্যই আন্তর্জাতিক চক্রান্তের গোলাম হবার জন্য মরিয়া। এর পিছনে রয়েছে তাদেরও কিছু ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করা, যার বলি হতে পারে এদেশের সকল জনগণ।

দেখা যাক সময় কি বলে....

( উপড়ের লেখা কেবলই একটি পলিটিক্যাল বিশ্লেষণ, কারও বিশ্বাস হতেও পারে নাও হতে পারে। তবে যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বতন্ত্রতায় বিশ্বাস করে তাদের জন্য এই লেখায় রয়েছে আগাম সতর্কবার্তা, তারা চাইলে এই দেশকে রক্ষ করতে পারবে, অন্যথায় 'জার্নি টু দা ডাউন' অবশ্যম্ভাবী....!!)

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×