
দুর্বল পায়ে হেটে এসে বুড়ো কড়ই গাছটির নিচে দাঁড়ায় ক্লান্ত সোরাব আলী কিংবা হরিপদ রায়
কাঁপা কাঁপা হাতে হালের গরূ দুটো বাধে সেই গাছের নিচে, পিঠে হাত বুলিয়ে দেয় পরম মমতায়,
তারপর পাশেই বসে পড়ে, তেনা তেনা গামছায় ঘাম মুছে একটু দূরে হাটের পানে চায়,
তার মাথায় কুলোয়না দুশ টাকা চাঁদা দেয়নি বলে তাকে হাটে গরু তুলতে দিলনা, এখন কি উপায়?
শুন্য দৃষ্টিতে অপেক্ষা করে যদি হাট ফেরতা কেউ কিনে নেয় গরু দুটো,
ভাবতে ভাবতে গরুগুলোর সামনে খড়পাতা ধরে দু এক মুঠো,
আর এক সপ্তাহ পরে আদরের মেয়েটার বিয়ে, কত্ত খরচ ভেবে পায়না,
পাত্রের গঞ্জে বড় দোকান আছে , তাই নানা রকম বায়না ।
তবে পাত্র শুনেছে খুব ভালো, তাই শেষ সম্বল এই হালের বলদ দুটো বেচতে আজ হচ্ছে ,
প্রানীদুটো কি বুঝতে পেরে তাই সেই কাল হতে দুচোখে জ্বল ঝরাচ্ছে?
দু চোখ ভিজে আসে তার, আবারো মমতায় হাত বুলায় গলায় পিঠে,
ভেবে অস্থির হয়, অভাব এসেযে কড়া নাড়ে নিষ্ঠুর হাতে ।
একবার মনে হয় ফিরে যায়, তারপর আবার যেই মেয়েটার মুখ মনে পড়ে,
কালো মেয়েটা কিছুতো দিতে থুতে হবে,সব দ্বিধা এক নিমিষে ফেলে ছুড়ে ,
আবার হাটের পানে চলে, লুঙ্গির খুট থেকে দুটাকা দশটাকা গুনে কোনমতে দুশ টাকা মিলায়,
যেভাবে হক আজ এদের মায়া ছাড়াতেই হবে, মেয়ের বিয়ে যে দরজায়।
দড়ি ছাড়িয়ে আবার বলদ দুটো নিয়ে চলে হাটের পথে সে,
আগামী বছর কিভাবে কাটবে কে জানে, নানা ভাবনা মনের আকাশে,
প্রয়োজনে নিজের কাধেই চড়াবে জোয়াল, লাঙ্গল ধরবে ছোট ছেলে,
অভাবের জোয়াল সেই কবে কাঁধে উঠেছে, তা নহয় আরেকটু ভারী হবে,
তবু ভালো তার কাল মেয়েটাতো সুখে রবে........................ ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



