somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মধ্যরাতের মিসকল! একটি সত্য ঘটনা।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাত আনুমানিক একটা সোয়া একটা হবে। আমি শুয়ে শুয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ইতিহাসের স্বপ্নভঙ্গ পড়ছি। আমি যখন বই পড়ি তখন আশে পাশে যারা থাকে তারা আমাকে কোন ডিষ্ট্রার্ব করেনা। তবে তারা কেউ না করলেও বেশ কিছুক্ষন ধরে মিসকল আসছে আমার মোবাইলে। অপরিচিত নাম্বার। এতে বেশ বিরক্ত বোধ করছি। মোবাইলে তেমন ক্রেডিটও নাই যে ওই নাম্বারে ফোন করে একটু ঝাল মেটাবো।
অনেক্ষন পর আমার মনযোগের মায়রে বাপ কইরা ফোনটা বেজে উঠলো। এবার মিস কল নয়। লম্বা সময় ধরে ফোনটা বাজছে। ধরলাম ফোনটা। অপর প্রান্তে কোন একটি মেয়ে,
- হ্যালো...
- হ্যালো, কাকে চাচ্ছেন।আমি কিছুটা বিরক্ত তবে অপরিচিত কাররই সাথে প্রথম সাক্ষাতেই কোনদিন খারাপ ব্যবহার করিনা। অপর প্রান্তের মেয়েটা একটু চুপ থেকে বলল,
- জ্বি এইটা টুম্বার নাম্বার না?
- জ্বি না। এইটা আমার নাম্বার।
- সরি ভাই ভুল নাম্বারে ডায়াল করেছি কিছু মনে করবেন না। সরি।
ফোনটা কেটে দিলো মেয়েটি। আমি আবার মনোযোগ দেবো পড়াই তখনই আবারো ফোন।
- হ্যালো। অপরপ্রান্ত থেকে আবারো সেই মেয়েটি।
- জ্বি আপনি আবারো রং নাম্বারে ডায়াল করেছেন।
- ওহহো সরি ভাই।
মেয়েটি ফোনটা কেটে দিলো। আমি উঠে এক গ্লাস পানি পান করে আবারো পড়ায় মনোযোগ দেয়ার চেষ্টা করতে থাকলাম। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কেবল মাত্র দুইটি কাঁচা শামুক খেয়েছেন। তার নাকি বেশ লাগছে। আবারো মিস কল। এবার ভাবলাম ফোনটা বন্ধ করে দেয়া উচিৎ। ফোনটা হাতে নিয়ে নাম্বারটা দেখলাম। একটু অবাক হলাম এই ভেবে যে, মিসকলটা এসেছে এই মাত্র যেই মেয়েটির সাথে কথা হল সেই নাম্বার থেকে। বুজতে পারলাম না ঘটনাটা আসলে কি ঘটছে। অতপর কোন ভাবনার অবকাশ নতুন করে সৃষ্টি না করতে ফোনটা বন্ধ করে দিলাম।

দু'দিন পরের ঘটনা। রাত তখন সারে এগারোটা বাজে। আমি বসে কম্পিউটারে গান শুনছি। এমন সময় আমার ফোনটা বেজে উঠলো। ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলাম অপরিচিত নাম্বার। ফোনটা রিসিভ করলাম,
- হ্যালো, কে বলছেন?
- হ্যালো...অপরপ্রান্তে একটি মহিলার গলা। উচ্চারনে বরিশালের টান। টুম্পা আছে?
আমি এবার অবাক হলাম। এই টুম্পা শালিটা কে? রাগ হলো আমার নাম্বারে কেন তাকে চাওয়া হচ্ছে। আমার কি হল জানিনা মুখ ফসকেই বের হয়ে গেল কথাটা,
- জ্বি আছে। ওকে দেয়া যাবেনা, ঘুমাচ্ছে।
- তুমি কে বাবা?
- কেন জানেন না?
- কি জানবো?
- আমি ওর হাজব্যান্ড। বলেই ভাবছি কি বললাম। কিন্তু যা হবার তা হয়ে গেছে। অপর প্রান্তের মহিলা একটু চুপ মেরে গেলেন। তারপর হতাশার সুরে বললেন,
- কি বেয়াদপ মাইয়ারে বাবা। বিয়া করছে তয় মোরেই জানায় নাই।
বলেই মহিলাটা ফোন রেখে দিলো। আমি ভাবনায় পরে গেলাম। কাজটাকি ঠিক হলো?
এরপর কয়দিন পেরিয়ে গেছে জানিনা। একদিন একটি মেয়ে ফোন করেই অভিযোগের সুরে জানতে চাইলো,
- ভাই আপনি যে কাজটা করেছেন তা কি ঠিক হয়েছে?
আমি কিছুই বুঝলাম না কি করেছি। তবে অনুমান করার চেষ্টা করছি। তখনই মেয়েটি আবার বলল,
- আপনি আমার মামিকে বলেছেন আপনি আমার হাজব্যান্ড। জানেন বাসায় আমাকে নিয়ে কি কান্ডটাইনা ঘটেছে।
পরে আমি মেয়েটির কাছে জানলাম সে রোকেয়া হলে থাকে। নিজের ফোন নেই। তাই বান্ধবির নাম্বারটা ব্যবহার করে সে। আমিও বুঝাতে চেষ্টা করলাম কি ভাবে কি হলো। মেয়েটি সব বুঝলো। এরপর আমার সাথে ওর একবার দেখাও হয়েছে। তবে আমারা কেউ কারো প্রেমে পরিনি।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×