আজকে আমাদের সময় পত্রিকায় পড়লাম, বিবিসির একজন আরজেকে বরখাস্ত করা হয়েছে কারণ তিনি রাণীর মৃত্যুর মিথ্যা খবর দিয়ে মজা করেছিলেন। এতে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় এবং ফলশ্রুতিতে ঐ আরজেকে চাকরি হারাতে হয়। কারণ হিসাবে বলা হয়, এমন মজা করা রাণীর মর্যাদার পরিপন্থী।
মজার ব্যাপার হলো, এখন সারা দুনিয়ার বাক-স্বাধীনতার ধ্বজাধারীরা নিশ্চুপ। কেউ কোন কথা বলছেন না। কারো ঐ আরজে-র বাক-স্বাধীনতা নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই। অথচ কয়েকদিন আগে যখন তসলিমা নাসরিন, সালমান রুশদি এবং ডেনমার্কের কার্টুনিস্ট যখন আমাদের প্রিয় ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করলো, অবমাননা করেছিলো, তখন অতি-উৎসাহী বাক-স্বাধীনতার তল্পিবাহকরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রচুর বাক্য ব্যয় করেছিলো। তাদের মতে ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু বললে মোল্লা-মৌলবাদীদের গায়ে লাগে কেন? তারা কি বাক-স্বাধীনতা হরণ করতে চায় কী না ইত্যাদি। ইংল্যান্ডেও তো কয়েকদিন আগে ব্লাসফেমি আইন উঠিয়ে নেয়া হলো। তখনো একটি মুভি নিয়ে বেশ শোরগোল হয়েছিলো (নামটা মনে পড়ছে না)। যদি খোদার বিরুদ্ধে কিছু বললে সেটা বাক-স্বাধীনতা হয়, তাহলে রাণীকে নিয়ে মজা করলে কেন সেটা বাক-স্বাধীনতা হবে না?
এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড সত্যিই আমার মাথায় ঢুকে না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


