somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পানি নিয়ে ভাবনা আর না আর না!!

১৫ ই অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৩:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পানি আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রত ভাবে জড়িত। পানি ছাড়া আমরা একটা দিনও কল্পনা করতে পারি না। ঢাকা শহরে থাকেন অথচ আপনি পানির ভোগান্তিতে ভুগেননি, এমন মানুষ খুজে পাওয়া যাবে না এই দুনিয়ায়। শুধু ঢাকা নয়, আমাদের অন্যান্য শহরেও অবস্থা একই। আসুননা একটু চিন্তা করি কিভাবে আমরা ওয়াসাকে একটু রেহাই দিতে পারি, সাথে ডেসা আর নিজের পকেটকেও!!

আচ্ছা চলুন একটা অংক করি। জটিল না খুবই সহজ।

ধরুন আপনি চার-তালা একটা বিল্ডিংয়ে থাকেন। সেখানে মানুষ বসবাস করেন ২০ জন এবং এই ২০ জনই প্রতিদিন টয়লেট ব্যবহারের পরে ফ্লাস করেন। অনেকেই হয়ত জানেন, একবার টয়লেট ফ্লাস করার জন্য প্রায় ২০ লিটার পানির প্রোয়জন হয়। তাহলে কি দাড়াল?

২০ গুনন ২০ = ৪০০ লিটার পানি লাগছে প্রতিদিন একটা এক ইউনিটের ৪তালা বিল্ডিংয়ে ২০ জন মানুষের জন্য। অবশ্য এই সংখ্যা আরও বেশি হবে।

যাইহোক এই পানিটা আসছে ওয়াসা থেকে। বিনিময়ে আমাদের বিল দিতে হচ্ছে। আবার এই পানিকে তুলতে হচ্ছে আমাদের বাড়ীর ছাদের ওভারহেড ট্যাংকে মটর ব্যবহার করে, যা কিনা প্রচুর কারেন্ট ব্যবহার করছে। কারেন্টের বিলটা আবার দিতে হচ্ছে ডেসা কে!!

অথচ আমরা যদি আমাদের বিল্ডিং প্লান একটু পরিবর্তন করি (ছবি দ্রস্টব্য) তাহলে কিন্তু আমাদের অনেক পানি আমরা সেভ করতে পারি। সাথে আমাদের কষ্টার্জিত টাকাও।

আমরা প্রিতিদিন অন্যান্য কাজে যেমন, রান্নাঘরের কাজে, বাথরুমে গোছল বা কাপড় কাচা বা হাত-মুখ ধোয়ার জন্য প্রচুর পানি ব্যবাহার করি। আমরা যদি এই পানি কে সরাসরি সুয়ারেজে ফেলে না দিয়ে প্রতি তালায় অন্য একটা রিসারভারে রাখি (ছবি দ্রস্টব্য) এবং এই পানিটাকে অন্য একটা লাইনের মাধ্যমে আমাদের কমোডের ফ্লাসে ট্রান্সফার করি, তাহলে অতি সহজেই এই পানিটাকে ব্যবহার করতে পারি টয়লেট ফ্লাস করার জন্য (ছবি দ্রস্টব্য)।

এই পদদ্ধতিতে আমরা আমাদের অর্থ, পানি, এবং ইলেকট্রিসিটি বাচাতে পারি।

আমি প্রকৌশলি না, একজন অনুজীববিজ্ঞানের ছাত্র। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আমি বলতে পারি এই পদ্ধতি ব্যবহরের জন্য সাস্থ্যগত কোন সমস্যা দেখা যাবার সম্ভবনা নাই বললেই চলে।

আমরা যদি এই সিস্টেমটা ডেভেলপ করতে পারি আমাদের বাসা-বাড়ীতে, অফিসে, এবং হালের হাই-রাইজ এপার্টমেন্টে তাহলে আমরা প্রতিদিন প্রচুর পরিমান পানির বাচাতে পারব।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:০৪
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×