আচ্ছা চলুন একটা অংক করি। জটিল না খুবই সহজ।
ধরুন আপনি চার-তালা একটা বিল্ডিংয়ে থাকেন। সেখানে মানুষ বসবাস করেন ২০ জন এবং এই ২০ জনই প্রতিদিন টয়লেট ব্যবহারের পরে ফ্লাস করেন। অনেকেই হয়ত জানেন, একবার টয়লেট ফ্লাস করার জন্য প্রায় ২০ লিটার পানির প্রোয়জন হয়। তাহলে কি দাড়াল?
২০ গুনন ২০ = ৪০০ লিটার পানি লাগছে প্রতিদিন একটা এক ইউনিটের ৪তালা বিল্ডিংয়ে ২০ জন মানুষের জন্য। অবশ্য এই সংখ্যা আরও বেশি হবে।
যাইহোক এই পানিটা আসছে ওয়াসা থেকে। বিনিময়ে আমাদের বিল দিতে হচ্ছে। আবার এই পানিকে তুলতে হচ্ছে আমাদের বাড়ীর ছাদের ওভারহেড ট্যাংকে মটর ব্যবহার করে, যা কিনা প্রচুর কারেন্ট ব্যবহার করছে। কারেন্টের বিলটা আবার দিতে হচ্ছে ডেসা কে!!
অথচ আমরা যদি আমাদের বিল্ডিং প্লান একটু পরিবর্তন করি (ছবি দ্রস্টব্য) তাহলে কিন্তু আমাদের অনেক পানি আমরা সেভ করতে পারি। সাথে আমাদের কষ্টার্জিত টাকাও।
আমরা প্রিতিদিন অন্যান্য কাজে যেমন, রান্নাঘরের কাজে, বাথরুমে গোছল বা কাপড় কাচা বা হাত-মুখ ধোয়ার জন্য প্রচুর পানি ব্যবাহার করি। আমরা যদি এই পানি কে সরাসরি সুয়ারেজে ফেলে না দিয়ে প্রতি তালায় অন্য একটা রিসারভারে রাখি (ছবি দ্রস্টব্য) এবং এই পানিটাকে অন্য একটা লাইনের মাধ্যমে আমাদের কমোডের ফ্লাসে ট্রান্সফার করি, তাহলে অতি সহজেই এই পানিটাকে ব্যবহার করতে পারি টয়লেট ফ্লাস করার জন্য (ছবি দ্রস্টব্য)।
এই পদদ্ধতিতে আমরা আমাদের অর্থ, পানি, এবং ইলেকট্রিসিটি বাচাতে পারি।
আমি প্রকৌশলি না, একজন অনুজীববিজ্ঞানের ছাত্র। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আমি বলতে পারি এই পদ্ধতি ব্যবহরের জন্য সাস্থ্যগত কোন সমস্যা দেখা যাবার সম্ভবনা নাই বললেই চলে।
আমরা যদি এই সিস্টেমটা ডেভেলপ করতে পারি আমাদের বাসা-বাড়ীতে, অফিসে, এবং হালের হাই-রাইজ এপার্টমেন্টে তাহলে আমরা প্রতিদিন প্রচুর পরিমান পানির বাচাতে পারব।