কপি পেষ্ট:
পদ্মাসেতু দুর্নীতিতে জড়িত মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের আত্মীয়-স্বজন গ্রেফতার এড়াতে কানাডা থেকে পালাতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ভাসানী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
“পদ্মাসেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তির আগেই কানাডীয় কোম্পানির সঙ্গে ঘুষ লেনদেন হয়েছে” অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে কানাডা সরকার তদন্ত করেছে। জড়িতদের গ্রেফতারে উদ্যোগ নিয়েছে। ভয়ে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের আত্মীয়-স্বজন কানাডা থেকে এখন পালাতে শুরু করেছে।”
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চতুর্থ কারামুক্তি বার্ষিকী ও সংগঠনের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহিলাদল এই আলোচনা সভা আয়োজন করে। ১৯৭৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বিএনপির অঙ্গসংগঠন হিসেবে মহিলাদল প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে সভায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া সিরাজ, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, মহিলাদল নেত্রী সুলতানা আহমেদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
পদ্মাসেতু দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সৈয়দ আবুল হোসেনকে প্রধানমন্ত্রী দেশপ্রেমিক বলেছেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “তার মতো একজন দুর্নীতিবাজ যদি দেশপ্রেমিক হন, তবে আমাদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে।”
হলমার্কের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির ঘটনা তেমন কোনো বড় কিছু নয় মর্মে দেওয়া অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, “অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছেন।”
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি কি দেখেন না, প্রতিদিন দেশ রসাতলে যাচ্ছে।”
ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা রয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ব্যাংকিং খাতে আওয়ামী লীগ নেতাদের দুর্নীতির ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ওপর থেকে জনগণের আস্থা কমে যাচ্ছে।”
শিক্ষাঙ্গনগুলোর অস্থির পরিবেশ সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশকে মেধাশূন্য করতেই শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে।”
তারেক রহমানকে হত্যা করতে না পেরে ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, “যখনই তারেক রহমানের দেশে ফেরার কথা ওঠে, তখনই সরকার তার বিরুদ্ধে নতুন মামলা দিচ্ছে। আর নির্দিষ্ট কিছু মিডিয়া তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়।”
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীরা অনেকেই জেল খেটেছেন। মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। দেশ রক্ষায় সামনে আমাদের আরও কঠিন সংগ্রামে অবর্তীণ হতে হবে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




